১২২ বছর বয়স তার!
- প্রকাশের সময় : ০১:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
- / ৩৮ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে মো. নুরুল ইসলাম ওরফে ফুরু নামে এক ব্যক্তি ১২২ বছরে পা রেখেছেন। তিনি উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের সাড়াসিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী, তার জন্ম ৩ মে ১৯০২ সালে। বয়সের কারণে কুঁজো হয়ে গেলেও তার উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বাবা মৃত ওমর আলী, মা মৃত সবুরজান। ধারণা করা হচ্ছে টাঙ্গাইলের মধ্যেই তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ।
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবেই চেয়ারে বসে আছেন মো. নুরুল ইসলাম। এলাকার সবাই তাকে ফুরু বলেই চেনেন। হাঁটা-চলা আগের মতো করতে পারেন না। তাই বাড়িতে বসেই দিন কাটায়। ছোট বেলা থেকেই তিনি গরুর গাড়ি দিয়ে মালামাল নেওয়া-আনার কাজ করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ সব কিছুই তার মনে আছে। মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমার সমবয়সী যারা ছিল, তারা কেউ নাই। অনেকের ছেলেও মারা গেছে। আমি এখনো অনেক ভালো আছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ইমানের সঙ্গে মারা যেতে পারি। সখীপুরের তৎকালীন অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কথা শুনলে গল্প মনে হবে। এই সখীপুরে তখন ভয়ংকর জঙ্গল ছিল। সেই জঙ্গলে বাঘ এবং হরিণ থাকতো। বন্য পশুর সাথে যুদ্ধ করতাম। বাড়ি থেকে একা একা বের হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে থাকতাম। এতো রাস্তা ঘাট ছিল না। পায়ে হেঁটে কালিহাতীর আওলাতৈল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল ও ৮০ কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ গেছি।
আরোও পড়ুন । বিদেশে অর্থ পাচারে শীর্ষে আমলারা
পারিবারিকভাবে তিনি দুটি বিয়ে করেছেন। তাদের ঘরে মজিবর ও শাজাহান নামে দুটি ছেলে এবং হাজেরা খাতুন নামের একটি মেয়ের জন্ম হয়। প্রায় তিন বছর আগে ছেলে মজিবর মারা গেছে। তার ৬৫ বছরের ছেলে শাজাহান মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে আমার বাবা এখনো অনেক শক্ত আছেন। নিজের কাজ নিজে করতে পারেন। বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। কালিয়া ইউনিয়নের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এস এম কামরুল হাসান বলেন, আমার জানা মতে উনার বয়সের মানুষ এই সখীপুর নয়, সারা টাঙ্গাইলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবাই তাকে ফুরু নামেই চেনেন। উনি অনেক ভালো মানুষ। তার নাতী জেসন রহুল বলেন, আমার ধারণা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ১২২ বছরের কোনো মানুষ বেঁচে নেই। আমার দাদার চার প্রজন্ম এখনো বেঁচে আছেন, এটা মনে করে আমি খুব আনন্দ পাই। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আমার দাদা এখনো বেঁচে আছেন। সূত্র : মানবজমিন
বেলী/হককথা