নিউইয়র্ক ০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শুরু কমনওয়েলথ বাণিজ্য সম্মেলন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • / ৩৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায়, প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন (ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম)। কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত ৫৬টি দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে দুদিনব্যাপী এ আয়োজন। কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউআইসি) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এতে সহায়তা করবে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য ও সিডব্লিউআইসি’র ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার, বাংলাদেশে সংগঠনটির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। আয়োজকরা আশা করছেন, সম্মেলনে সব দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সালমান এফ রহমান বলেন, এই সম্মেলন আমাদের জন্য সম্মানের। ইতোমধ্যে আমরা অনেক দেশ থেকে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা পেয়েছি। এর মধ্যে আফ্রিকার দেশ-নাইজেরিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং ঘানা থেকে প্রতিনিধি দল আসবে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য থেকে আমরা বড় একটি প্রতিনিধি দল আশা করছি।

তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা খুঁজে দেখার। তবে সবার জন্য উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি হবে। সালমান এফ রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পারস্পরিক সহযোগিতার স্বপ্ন নিয়ে কমনওয়েলথে যোগ দেন। তখন দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকে উন্নতি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। দেশের মানুষের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিবিসিসিআই গত বছর, বড় একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে জাপান, চীন ও ভারতের জন্য বিশেষ অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। রফতানি বাড়ছে এবং কানেক্টিভিটির কারণে নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজার আগের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। লর্ড সোয়ার বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানোর একটি বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।

জিল্লুর হোসেন বলেন, কমনওয়েলথ সদস্যদের রাষ্টপ্রধান, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ফলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয় তুলে ধরতে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হবে। ফোরামের লক্ষ্য হলো অংশীদারত্ব বাড়ানো ও মজবুত করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আয়োজনে অফিসিয়াল অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আর এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অপূর্ব সুযোগ। বক্তারা বলেন, এই ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজের সম্পর্কে অন্য দেশকে অবহিত করার পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আগে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও মাল্টাসহ অন্যান্য দেশে হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শুরু কমনওয়েলথ বাণিজ্য সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ১২:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায়, প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন (ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম)। কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত ৫৬টি দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে দুদিনব্যাপী এ আয়োজন। কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউআইসি) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এতে সহায়তা করবে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য ও সিডব্লিউআইসি’র ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার, বাংলাদেশে সংগঠনটির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। আয়োজকরা আশা করছেন, সম্মেলনে সব দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সালমান এফ রহমান বলেন, এই সম্মেলন আমাদের জন্য সম্মানের। ইতোমধ্যে আমরা অনেক দেশ থেকে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা পেয়েছি। এর মধ্যে আফ্রিকার দেশ-নাইজেরিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং ঘানা থেকে প্রতিনিধি দল আসবে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য থেকে আমরা বড় একটি প্রতিনিধি দল আশা করছি।

তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা খুঁজে দেখার। তবে সবার জন্য উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি হবে। সালমান এফ রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পারস্পরিক সহযোগিতার স্বপ্ন নিয়ে কমনওয়েলথে যোগ দেন। তখন দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকে উন্নতি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। দেশের মানুষের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিবিসিসিআই গত বছর, বড় একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে জাপান, চীন ও ভারতের জন্য বিশেষ অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। রফতানি বাড়ছে এবং কানেক্টিভিটির কারণে নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজার আগের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। লর্ড সোয়ার বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানোর একটি বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।

জিল্লুর হোসেন বলেন, কমনওয়েলথ সদস্যদের রাষ্টপ্রধান, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ফলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয় তুলে ধরতে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হবে। ফোরামের লক্ষ্য হলো অংশীদারত্ব বাড়ানো ও মজবুত করা, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আয়োজনে অফিসিয়াল অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আর এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অপূর্ব সুযোগ। বক্তারা বলেন, এই ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজের সম্পর্কে অন্য দেশকে অবহিত করার পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আগে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও মাল্টাসহ অন্যান্য দেশে হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা