ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুল ইনজেকশন পুশে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
- প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
- / ৪৩ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমাড়শীল মোড়ে আলিফ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরাফাত (১৬ মাস) নামের এক শিশুকে ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে শিশুর স্বজনেরা। তাদের অভিযোগ, শিশুটিকে আলিফ জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ইশরাতের দেওয়া ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশের কারণে শিশুটি মারা যায়।
আরোও পড়ুন । সিরাজুল আলম খানের ইন্তেকালে জাফর মাহমুদের শোক প্রকাশ
জানা যায়, সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের প্রবাসী নাছির সওদাগরের ১৬ মাস বয়সের সন্তান আরাফাতকে শনিবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার উরুতে অপারেশন করার জন্য শহরের কুমারশীল মোড়স্থ আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ডা. মামুন মোহরের অধীনে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার সময় শিশুটিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ইশরাত শিশুটিকে ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করলে শিশুটির পুরো শরীরে খিঁচুনি উঠে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়। মৃত্যুর কথা শুনে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্টাফ শিশুর লাশটিকে ফেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
শিশু আরাফাতের মা মারুফা বেগম বলেন, আজ দুপুরে তার শিশু সন্তানকে সদর হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ডা. মামুন মোহরের কাছে চিকিৎসা নিতে আসি। পরে তিনি অপারেশন করবেন বলে ভর্তি দেন। আলিফ জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ ইশরাত ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশের কারণে তার শিশুর খিঁচুনি উঠে কাঁপতে কাঁপতে মারা যায়। ডাক্তারের অবহেলার কারণে তার শিশু মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন এবং শিশু হত্যার বিচারের দাবি করেন তিনি।
১ নম্বর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ শিহাবুর রহমান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসেছি। শিশুর স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আরাফাত নামের এক শিশুকে পায়ের ফোড়া অপারেশনের জন্য আলিফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তাকে ওটিতে নিয়ে হাসপাতালের স্টাফ ইশরাত ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করার পর খিঁচুনি ওঠে শিশুটি মারা যায়। পরে রাতে আমরা লাশ উদ্ধারকরে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরহাসপাতাল মর্গে রাখি। এব্যাপারে সার্জারি চিকিৎসক মামুন মোহর ও হাসপাতাল মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র : ঢাকা মেইল
বেলী/হককথা