নিউইয়র্ক ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নির্বাচনে আসুন, ১০ শতাংশ ভোট পান কিনা দেখুন : বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ৫০ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘দয়া করে নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না। নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আপনারা ১০ শতাংশ ভোট পান কিনা সেটি পরখ করে দেখুন।’ আজ শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ. লীগের সাবেক সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও সাবেক বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের মৃত্যুতে আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমরা ওয়াকওভার চাই না, নির্বাচনী খেলায় আপনারা আসুন। আমরা খেলে বিজয় লাভ করতে চাই, আওয়ামী লীগ খেলে আপনাদের গোল দিতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে পালিয়ে যেতে চান।’ বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

আরোও পড়ুন । নারকোটিক্স কন্ট্রোল সার্ভিস এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এস এম আবুল কালাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এখন দুই ভীতি, একটা হচ্ছে নির্বাচন ভীতি, আরেকটা হচ্ছে মানুষ। সে জন্য বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিশেষ করে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর বিএনপির মাথা আরো বেশি খারাপ হয়েছে।

কারণ এখন বিএনপি আর নির্বাচন প্রতিহত এবং বর্জন করার কথা বলতে পারবে না, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। ১৯৭৯ সালের নির্বাচন সময়ে জিয়াউর রহমান আমাদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছিল। চট্টগ্রাম শহরে বিএনপির ক্যাডারদের দা, কিরিচ আর লোহার রডসহ নামিয়ে দিয়ে মহড়া দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ঠিকমতো ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

সেই নির্বাচনেও আমরা ৩৩/৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আসলে আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করেন তাহলে তারাই ১০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে না।’ বিএনপিকে কেন মানুষ ভোট দেবে প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সাড়ে তিন হাজার মানুষ পুড়িয়েছে। তন্মধ্যে ৫০০ জন মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে। চার হাজারের মতো গাড়ি পুড়িয়েছে এবং মানুষের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। বিএনপি এ জন্য মানুষের কাছে যেতে ভয়।

নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়, বিনয়ের কোনো বিকল্প নাই। সমস্ত ভালো কাজ করেও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বা অন্য কোনো অঙ্গসংগঠনের কয়েকজনের উদ্ধত আচরণের কারণে আমাদের সমস্ত সাফল্য ম্লান হতে পারে না। কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে দল এবং সরকারের বদনাম করলে দল তাদের দায়িত্ব নেবে না, দলে তাদের কোনো জায়গা হবে না। নতুন কোনো দাবি দেওয়া নয়, এত দিন যাবৎ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেসব উন্নয়ন করেছে, জনগণের কাছে সেটি প্রচার করুন। সূত্র : কালের কণ্ঠ

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নির্বাচনে আসুন, ১০ শতাংশ ভোট পান কিনা দেখুন : বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘দয়া করে নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না। নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আপনারা ১০ শতাংশ ভোট পান কিনা সেটি পরখ করে দেখুন।’ আজ শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ. লীগের সাবেক সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও সাবেক বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের মৃত্যুতে আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন আমরা ওয়াকওভার চাই না, নির্বাচনী খেলায় আপনারা আসুন। আমরা খেলে বিজয় লাভ করতে চাই, আওয়ামী লীগ খেলে আপনাদের গোল দিতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে পালিয়ে যেতে চান।’ বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

আরোও পড়ুন । নারকোটিক্স কন্ট্রোল সার্ভিস এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এস এম আবুল কালাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এখন দুই ভীতি, একটা হচ্ছে নির্বাচন ভীতি, আরেকটা হচ্ছে মানুষ। সে জন্য বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিশেষ করে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর বিএনপির মাথা আরো বেশি খারাপ হয়েছে।

কারণ এখন বিএনপি আর নির্বাচন প্রতিহত এবং বর্জন করার কথা বলতে পারবে না, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। ১৯৭৯ সালের নির্বাচন সময়ে জিয়াউর রহমান আমাদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছিল। চট্টগ্রাম শহরে বিএনপির ক্যাডারদের দা, কিরিচ আর লোহার রডসহ নামিয়ে দিয়ে মহড়া দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ঠিকমতো ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

সেই নির্বাচনেও আমরা ৩৩/৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আসলে আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করেন তাহলে তারাই ১০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে না।’ বিএনপিকে কেন মানুষ ভোট দেবে প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সাড়ে তিন হাজার মানুষ পুড়িয়েছে। তন্মধ্যে ৫০০ জন মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে। চার হাজারের মতো গাড়ি পুড়িয়েছে এবং মানুষের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। বিএনপি এ জন্য মানুষের কাছে যেতে ভয়।

নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়, বিনয়ের কোনো বিকল্প নাই। সমস্ত ভালো কাজ করেও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বা অন্য কোনো অঙ্গসংগঠনের কয়েকজনের উদ্ধত আচরণের কারণে আমাদের সমস্ত সাফল্য ম্লান হতে পারে না। কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে দল এবং সরকারের বদনাম করলে দল তাদের দায়িত্ব নেবে না, দলে তাদের কোনো জায়গা হবে না। নতুন কোনো দাবি দেওয়া নয়, এত দিন যাবৎ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেসব উন্নয়ন করেছে, জনগণের কাছে সেটি প্রচার করুন। সূত্র : কালের কণ্ঠ

বেলী/হককথা