নিউইয়র্ক ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রতিদিন বিমানে করে অফিসে যান যে শহরের বাসিন্দারা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
  • / ৯৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : রাস্তায় সারি দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। অভিজাত এলাকায় এমন দৃশ্য প্রায়ই নজরে পড়ে। তবে ভাবুন তো, রাস্তার ধারে এমনই সারি দিয়ে যদি বিমান দাঁড়িয়ে থাকে? বিমানগুলো কোনও সংস্থার নয়। ওখানে যারা বাস করেন, তাদেরই নিজস্ব বিমান। প্রাইভেট গাড়িতে করে যেমন অফিসে যাতায়াত করেন অনেকে, তেমনই বিমানে করে অফিস যান সেখানকার বাসিন্দারা। সত্যিই এমন একটি এলাকার অস্তিত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গ্রামেই এমন বাসিন্দারা রয়েছেন। তাদের যাতায়াতের জন্য বাড়ির সামনে দাঁড় করানো থাকে প্রাইভেট বিমান। সেই বিমানে করেই তারা বাজারে যান, বেড়াতে যান, এমনকী অফিসেও যান।

আরোও পড়ুন । মাইক পেন্সের ঘোষণা, লড়তে হবে বস ট্রাম্পের সঙ্গে

ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যামেরন এয়ারপার্ক নামের এক এলাকায় গেলে এমন দৃশ্যই দেখা যাবে। এই জায়গাটি পুরোপুরি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। অনুমতি ছাড়া এখানে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কেউ বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ করলে তবেই সেখানে প্রবেশ করা যাবে। এই ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি বড় ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন আমেরিকার বেশ কয়েক জায়গায় এয়ারফিল্ড তৈরি করা হয়েছিল। সেই এয়ারফিল্ডগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়। পরে সেই জায়গাগুলোকে রেসিডেন্সিয়াল এয়ার পার্কে পরিণত করা হয়েছে। এর ফলেই তৈরি হয় ক্যামেরন এয়ারপার্ক নামের এই এলাকা। অবসরপ্রাপ্ত মিলিটারি পাইলটদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে ওই এয়ারপার্ক। এরপর ধীরে ধীরে বেড়েছে পাইলটদের সংখ্যা।

১৯৬৩ সালে এই শহরটি তৈরি হওয়ার পর সব মিলিয়ে ১২৪ জন‌ এখানে থাকেন। ক্যামেরন এয়ারপার্কের সব বাসিন্দাদেরই বিমান ও হ্যাঙ্গার রয়েছে।‌ এমনকী রাস্তাও ১০০ ফিট চওড়া সেখানে। বিমান যাতে কোনও বাধা ছাড়াই উড়তে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। এছাড়াও ল্যান্ড করার সময় বাড়ির সামনে এসে যাতে নামা যায়, তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এয়ারপোর্টে অবতরণেরও অনুমতি দেওয়া হয় ওই বিমানগুলিকে। এমনই আরেঅটি এয়ারপারশক হল স্প্রুস ক্রিক। সেখানে ৫০০০ জন বাসিন্দা, ১৩০০ বাড়ি ও ৭০০ হ্যাঙ্গার। ফলে একেবারেই অন্যরকম জীবন উপভোগের সুযোগ পান তারা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রতিদিন বিমানে করে অফিসে যান যে শহরের বাসিন্দারা

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

হককথা ডেস্ক : রাস্তায় সারি দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। অভিজাত এলাকায় এমন দৃশ্য প্রায়ই নজরে পড়ে। তবে ভাবুন তো, রাস্তার ধারে এমনই সারি দিয়ে যদি বিমান দাঁড়িয়ে থাকে? বিমানগুলো কোনও সংস্থার নয়। ওখানে যারা বাস করেন, তাদেরই নিজস্ব বিমান। প্রাইভেট গাড়িতে করে যেমন অফিসে যাতায়াত করেন অনেকে, তেমনই বিমানে করে অফিস যান সেখানকার বাসিন্দারা। সত্যিই এমন একটি এলাকার অস্তিত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গ্রামেই এমন বাসিন্দারা রয়েছেন। তাদের যাতায়াতের জন্য বাড়ির সামনে দাঁড় করানো থাকে প্রাইভেট বিমান। সেই বিমানে করেই তারা বাজারে যান, বেড়াতে যান, এমনকী অফিসেও যান।

আরোও পড়ুন । মাইক পেন্সের ঘোষণা, লড়তে হবে বস ট্রাম্পের সঙ্গে

ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যামেরন এয়ারপার্ক নামের এক এলাকায় গেলে এমন দৃশ্যই দেখা যাবে। এই জায়গাটি পুরোপুরি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। অনুমতি ছাড়া এখানে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কেউ বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ করলে তবেই সেখানে প্রবেশ করা যাবে। এই ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি বড় ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন আমেরিকার বেশ কয়েক জায়গায় এয়ারফিল্ড তৈরি করা হয়েছিল। সেই এয়ারফিল্ডগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়। পরে সেই জায়গাগুলোকে রেসিডেন্সিয়াল এয়ার পার্কে পরিণত করা হয়েছে। এর ফলেই তৈরি হয় ক্যামেরন এয়ারপার্ক নামের এই এলাকা। অবসরপ্রাপ্ত মিলিটারি পাইলটদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে ওই এয়ারপার্ক। এরপর ধীরে ধীরে বেড়েছে পাইলটদের সংখ্যা।

১৯৬৩ সালে এই শহরটি তৈরি হওয়ার পর সব মিলিয়ে ১২৪ জন‌ এখানে থাকেন। ক্যামেরন এয়ারপার্কের সব বাসিন্দাদেরই বিমান ও হ্যাঙ্গার রয়েছে।‌ এমনকী রাস্তাও ১০০ ফিট চওড়া সেখানে। বিমান যাতে কোনও বাধা ছাড়াই উড়তে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। এছাড়াও ল্যান্ড করার সময় বাড়ির সামনে এসে যাতে নামা যায়, তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এয়ারপোর্টে অবতরণেরও অনুমতি দেওয়া হয় ওই বিমানগুলিকে। এমনই আরেঅটি এয়ারপারশক হল স্প্রুস ক্রিক। সেখানে ৫০০০ জন বাসিন্দা, ১৩০০ বাড়ি ও ৭০০ হ্যাঙ্গার। ফলে একেবারেই অন্যরকম জীবন উপভোগের সুযোগ পান তারা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

বেলী/হককথা