‘বাস্তবায়ন হওয়া’ চার প্রকল্প বাস্তবে নেই
- প্রকাশের সময় : ০১:৫৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
- / ৪৩ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : রাঙামাটির বরকল উপজেলায় সড়ক সংস্কার, নলকূপ স্থাপন ও কমিউনিটি সেন্টারের ঘর নির্মাণের চারটি প্রকল্পের অস্তিত্ব পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কাগজ-কলমে বাস্তবায়ন হওয়া এসব প্রকল্পের অনুসন্ধানে নেমে প্রমাণ মিলেছে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের। টাকা আত্মাসাৎ করেছেন জেলা পরিষদের প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও অন্য সদস্যরা। ইতোমধ্যে চার প্রকৌশলীসহ ৯ জনের নামে চারটি মামলা করেছে দুদক।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক আহমদ ফরহাদ হোসেন এসব মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়–য়া, সাবেক নির্বাহী পরিচালক কাজী আবদুস সামাদ, সহকারী পরিচালক জ্যোতির্ময় চাকমা, উপসহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সমৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজের’ মিলন তালুকদার, ‘মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজের’ চিংহেন রাখাইন, ‘মেসার্স অমলেন্দু চাকমা’র অমলেন্দু চাকমা, জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা ও ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ। এদের মধ্যে রিগ্যান চাকমা ও বিরল বড়–য়াকে সব মামলায় আসামি করা হয়েছে। আর জ্যোতির্ময় চাকমা, সবির কুমার চাকমা ও কাজী আবদুস সামাদকে তিন মামলায়, চিংহেন রাখাইনকে দুই মামলায় এবং মামুনুর রশিদকে এক মামলা আসামি করা হয়েছে।
আরোও পড়ুন । বিদেশ যাওয়ার আগে জমি-ফ্ল্যাটসহ সব সম্পদের তথ্য দিতে হবে
এক মামলার এজাহারে বলা হয়, জেলা পরিষদ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরকল উপজেলার ‘সুবলংবাজারে পানির ব্যবস্থাকরণসহ গভীর নলকূপ স্থাপন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সাত লাখ টাকার এ প্রকল্প অনুমোদনের পর নির্ধারিত সময়ে কাগজ-কলমে পাম্প, ট্যাংকসহ ৩৩টি উপকরণ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে সেই নলকূপের কোনো অস্তিত্ব মেলেনি।
আরেক মামলায় বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সুবলং ইউনিয়নে ‘সুবলং কমিউনিটি সেন্টারের জন্য ঘর ও পাকা সিঁড়ি নির্মাণ’ নামে একটি প্রকল্প নেয় জেলা পরিষদ। ৯ লাখ টাকার এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে জানালেও বাস্তবে তা পাওয়া যায়নি। একইভাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পূর্ব এরাবুনিয়া মৎস্য বাঁধ থেকে হারুন টিলা এলাকার আহাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার নামে প্রকল্প অনুমোদন দেয় জেলা পরিষদ। এই প্রকল্পেও কোনো কাজ না করেই ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভূষণছড়া ইউনিয়নের ‘কামিনী চাকমার জমিতে মৎস্য বাঁধ ও পাকা সেচ ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্পের দুটি অংশের জন্য ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে জেলা পরিষদ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা লিখিত দেন যে, প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আসামিরা আট লাখ ৫৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সূত্র : আমাদের সময়
বেলী/হককথা