নিউইয়র্ক ০১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৬১ বছর পর স্কুলের বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব হোসেন বিশ্বাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • / ৮২ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক : দীর্ঘ ৬১ বছর পর মাসিক টিউশন ফির বকেয়া টাকা পরিশোধ করলেন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। এখন তার বয়স ৮০ বছর। গত সোমবার স্কুলে হাজির হয়ে তার কাছে স্কুলের বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধে করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তার কাছে স্কুলের পাওনা ছিল ২৪ টাকা। এর পরিবর্তে তিনি স্কুলে ৩০০ টাকা জমা দেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষণ প্রসাদ সাহা বলেন, গত সোমবার তিনি স্কুলে ছিলেন না। উপস্থিত শিক্ষকদের কাছে শুনেছেন, সোমবার দুপুরের দিকে একজন বয়স্ক ব্যক্তি স্কুলে উপস্থিত হয়ে নিজেকে প্রাক্তন ছাত্র পরিচয় দেন। তারপর তার অভিপ্রায়ের কথা বলেন। অফিস রুমে গিয়ে ৩০০ টাকা জমা দেন। স্কুলের কেরানি হাদিকুর রহমান বলেন, সোহরাব হোসেনের কথায় সবাই বিস্মিত হয়ে যান। তার ইচ্ছামতো ২০০ টাকা জমা নেন।

সোবরাব হোসেন বিশ্বাস বলেন, ১৯৬২ সালে তার বয়স ছিল ১৯ বছর। সবে বিয়ে করেছেন। ইচ্ছা হলো স্কুলে পড়াশোনা করার। এর আগে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেছিলেন। তখন বাড়ির কাছে হাইস্কুল ছিল না। ৫-৬ মাইল দূরের ফুলহরি হাইস্কুলে গিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিকে ভর্তি হন। তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাসিক বেতন ছিল চার টাকা। ছয় মাস ঐ স্কুলে পড়েন। এরমধ্যে চার মাসের বেতন বাকি পড়ে। বেতন বাকির জন্য পরীক্ষা দিতে পারেননি। স্কুল ছেড়ে তামাক ও সুপারির ব্যবসা শুরু করেন। সকলের বাকি বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তার ইচ্ছা মৃত্যুর আগে সব দেনা পরিশোধ করবেন। তার মনে পড়ে স্কুলের চার মাসের বেতন ২৪ টাকা বাকি ছিল। তিনি এখন দেনামুক্ত হয়েছেন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৬১ বছর পর স্কুলের বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব হোসেন বিশ্বাস

প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : দীর্ঘ ৬১ বছর পর মাসিক টিউশন ফির বকেয়া টাকা পরিশোধ করলেন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। এখন তার বয়স ৮০ বছর। গত সোমবার স্কুলে হাজির হয়ে তার কাছে স্কুলের বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধে করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তার কাছে স্কুলের পাওনা ছিল ২৪ টাকা। এর পরিবর্তে তিনি স্কুলে ৩০০ টাকা জমা দেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষণ প্রসাদ সাহা বলেন, গত সোমবার তিনি স্কুলে ছিলেন না। উপস্থিত শিক্ষকদের কাছে শুনেছেন, সোমবার দুপুরের দিকে একজন বয়স্ক ব্যক্তি স্কুলে উপস্থিত হয়ে নিজেকে প্রাক্তন ছাত্র পরিচয় দেন। তারপর তার অভিপ্রায়ের কথা বলেন। অফিস রুমে গিয়ে ৩০০ টাকা জমা দেন। স্কুলের কেরানি হাদিকুর রহমান বলেন, সোহরাব হোসেনের কথায় সবাই বিস্মিত হয়ে যান। তার ইচ্ছামতো ২০০ টাকা জমা নেন।

সোবরাব হোসেন বিশ্বাস বলেন, ১৯৬২ সালে তার বয়স ছিল ১৯ বছর। সবে বিয়ে করেছেন। ইচ্ছা হলো স্কুলে পড়াশোনা করার। এর আগে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেছিলেন। তখন বাড়ির কাছে হাইস্কুল ছিল না। ৫-৬ মাইল দূরের ফুলহরি হাইস্কুলে গিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিকে ভর্তি হন। তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাসিক বেতন ছিল চার টাকা। ছয় মাস ঐ স্কুলে পড়েন। এরমধ্যে চার মাসের বেতন বাকি পড়ে। বেতন বাকির জন্য পরীক্ষা দিতে পারেননি। স্কুল ছেড়ে তামাক ও সুপারির ব্যবসা শুরু করেন। সকলের বাকি বকেয়া পরিশোধ করেছেন। তার ইচ্ছা মৃত্যুর আগে সব দেনা পরিশোধ করবেন। তার মনে পড়ে স্কুলের চার মাসের বেতন ২৪ টাকা বাকি ছিল। তিনি এখন দেনামুক্ত হয়েছেন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা