নিউইয়র্ক ০১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তৃতীয় বিশ্বে লাখে চার জন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • / ৪৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর দেশে ৩ হাজার ব্রেইন টিউমার সার্জারি হচ্ছে। বিশ্বমানের এসব সার্জারি করছেন দেশের তরুণ নিউরো সার্জনরা। তারা যথেষ্ট পারদর্শী। তাদের নেতৃত্বে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্রেইন টিউমার অপারেশনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে ব্রেন টিউমার সার্জারি: সাফল্যের ৫২ বছর’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন। সেমিনার শুরুর আগে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।সেমিনারে বলা হয়, উন্নত বিশ্বে প্রতি ১ লাখে ১৫ জন মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। তবে তৃতীয় বিশ্বের প্রতি ১ লাখে ৪ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। রেডিয়েশনসহ বিভিন্ন কারণে ব্রেন টিউমার হতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন-এর সভাপতি ও বিএসএমএমইউয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সালে বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিউরো সার্জারিতে এম এস কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের ২০টি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিউরোসার্জারি চালু আছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হন।

প্রতি বছর দেশে ৩ হাজার ব্রেইন টিউমার সার্জারি হচ্ছে। নিউরোসার্জিক্যাল সেন্টারগুলোকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত করলে এবং দেশের সকল জেলা হাসপাতালে নিউরোসার্জারি চালু থাকলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্রেন টিউমার, হেড ইনজুরি প্রভৃতি বিষয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাবে। সময়মতো ব্রেন টিউমার অপারেশন করলে এটি ভালো হয় এবং মৃত্যুঝুঁকি ও পঙ্গুত্ব কমে যায় বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী দিনে বিএসএমএমইউয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগে গামা নাইফ সার্জারি চালু করতে চাই। সবাই সহযোগিতা করলে ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট হেলথ ব্যবস্থা চালু করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নিউরো সার্জন ডা. ইসমে আজম জিকো ও নিনস্ এর নিউরো সার্জন ডা. জিয়াউদ্দিন ব্রেন টিউমারের ওপর পৃথক তিনটি পেপারের প্রেজেন্টেশন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তৃতীয় বিশ্বে লাখে চার জন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত

প্রকাশের সময় : ০১:২৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

হককথা ডেস্ক : বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর দেশে ৩ হাজার ব্রেইন টিউমার সার্জারি হচ্ছে। বিশ্বমানের এসব সার্জারি করছেন দেশের তরুণ নিউরো সার্জনরা। তারা যথেষ্ট পারদর্শী। তাদের নেতৃত্বে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্রেইন টিউমার অপারেশনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে ব্রেন টিউমার সার্জারি: সাফল্যের ৫২ বছর’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন। সেমিনার শুরুর আগে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।সেমিনারে বলা হয়, উন্নত বিশ্বে প্রতি ১ লাখে ১৫ জন মানুষ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। তবে তৃতীয় বিশ্বের প্রতি ১ লাখে ৪ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। রেডিয়েশনসহ বিভিন্ন কারণে ব্রেন টিউমার হতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন-এর সভাপতি ও বিএসএমএমইউয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সালে বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিউরো সার্জারিতে এম এস কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের ২০টি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিউরোসার্জারি চালু আছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হন।

প্রতি বছর দেশে ৩ হাজার ব্রেইন টিউমার সার্জারি হচ্ছে। নিউরোসার্জিক্যাল সেন্টারগুলোকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সুসজ্জিত করলে এবং দেশের সকল জেলা হাসপাতালে নিউরোসার্জারি চালু থাকলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্রেন টিউমার, হেড ইনজুরি প্রভৃতি বিষয়ে চিকিৎসার সুযোগ পাবে। সময়মতো ব্রেন টিউমার অপারেশন করলে এটি ভালো হয় এবং মৃত্যুঝুঁকি ও পঙ্গুত্ব কমে যায় বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী দিনে বিএসএমএমইউয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগে গামা নাইফ সার্জারি চালু করতে চাই। সবাই সহযোগিতা করলে ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট হেলথ ব্যবস্থা চালু করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের নিউরো সার্জন ডা. ইসমে আজম জিকো ও নিনস্ এর নিউরো সার্জন ডা. জিয়াউদ্দিন ব্রেন টিউমারের ওপর পৃথক তিনটি পেপারের প্রেজেন্টেশন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা