নিউইয়র্ক ০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চার হাজার বছর পূর্বের মরদেহে পাওয়া গেলো প্লেগের ডিএনএ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
  • / ৫১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ইংল্যান্ডে একটি প্রাচীন গণকবর খুঁড়তে গিয়ে প্লেগের ব্যাক্টেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। তারা সেখানে যে ব্যাক্টেরিয়ার ডিএনএ পান, মূলত সেটিই মানবদেহে প্লেগ ছড়াতে ভূমিকা রাখতো। হাজার হাজার বছর ধরেই বৃটেনসহ গোটা বিশ্বে প্লেগ ছিল মানুষের সবথেকে বড় আতঙ্কের নাম। এবার এই রোগের সবথেকে প্রাচীনতম ডিএনএ’র সন্ধান মিললো। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। খবরে জানানো হয়, কবরে থাকা হাড়ের মধ্যে প্লেগের জীবাণুর ওই ডিএনএ পাওয়া গেছে। এর বয়স চার হাজার বছর। মঙ্গলবার ‘ন্যাচার কমিউনিকেশনস’ জার্নালে এর বিস্তারিত প্রকাশিত হয়। এতদিন এই ব্যাক্টেরিয়ার যে প্রাচীনতম ডিএনএ’র সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল নতুন আবিষ্কার তার থেকেও কয়েক হাজার বছর বেশি প্রাচীন।

২০১৮ সালে ক্যামব্রিজশায়ারের এডিক্স হিল নামে পরিচিত একটি সমাধিস্থলে ১৫০০ বছর আগের প্লেগ আক্রান্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এটিই ছিল এতদিন সবথেকে পুরানো প্লেগের ডিএনএ।প্লেগ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির নমুনা দুটি ভিন্ন গণকবরে পাওয়া গেছে। একটি দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সমারসেট কাউন্টিতে এবং অন্যটি ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সীমান্তের কাছে কামব্রিয়ার উত্তর-পশ্চিম কাউন্টিতে।

সাইটগুলির মধ্যে দূরত্ব সেই আমলের হিসেবে অনেক বেশি। ফলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে, নিওলিথিক যুগের শেষের দিকে ও ব্রোঞ্জ যুগের শুরুতেও প্লেগ ব্যাপক আকারে বিস্তার করেছিল। মাত্র কয়েক শতাব্দীর মধ্যে এত বিশাল এলাকাজুড়ে এই রোগ ছড়িয়েছে যে বুঝাই যাচ্ছে মানুষ সে সময় প্রচুর চলাফেরা করতো। সবাই আসেপাশের অঞ্চলের মধ্যে যুক্ত ছিল।

গবেষকরা কিভাবে চার হাজার বছর পূর্বের ব্যাকটেরিয়া সনাক্ত করলেন ? রিপোর্টে বলা হয়েছে, গবেষণা দলটি দুটি সাইট জুড়ে ৩৪ জন মানুষের কঙ্কাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। গবেষকরা এই প্রাচীন মানুষের দাঁতের মধ্যে ছিদ্র করে ডেন্টাল পাল্প বের করেছেন। আর সেখানেই সংক্রামক রোগের ডিএনএর অবশিষ্টাংশ আটকে ছিল। হাজার বছর আগের মরদেহ থেকে রোগজীবাণুর নমুনা সনাক্ত করা সম্ভব বলে জানান গবেষকরা। এই আবিষ্কার আমাদের প্লেগের মতো রোগকে বুঝতে এবং কোন জিনের কারণে সংক্রামক রোগ ছড়ায় তা নির্ণয়ে সহায়তা করবে। সূত্র : মানবজিমন
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চার হাজার বছর পূর্বের মরদেহে পাওয়া গেলো প্লেগের ডিএনএ

প্রকাশের সময় : ০১:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ইংল্যান্ডে একটি প্রাচীন গণকবর খুঁড়তে গিয়ে প্লেগের ব্যাক্টেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। তারা সেখানে যে ব্যাক্টেরিয়ার ডিএনএ পান, মূলত সেটিই মানবদেহে প্লেগ ছড়াতে ভূমিকা রাখতো। হাজার হাজার বছর ধরেই বৃটেনসহ গোটা বিশ্বে প্লেগ ছিল মানুষের সবথেকে বড় আতঙ্কের নাম। এবার এই রোগের সবথেকে প্রাচীনতম ডিএনএ’র সন্ধান মিললো। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। খবরে জানানো হয়, কবরে থাকা হাড়ের মধ্যে প্লেগের জীবাণুর ওই ডিএনএ পাওয়া গেছে। এর বয়স চার হাজার বছর। মঙ্গলবার ‘ন্যাচার কমিউনিকেশনস’ জার্নালে এর বিস্তারিত প্রকাশিত হয়। এতদিন এই ব্যাক্টেরিয়ার যে প্রাচীনতম ডিএনএ’র সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল নতুন আবিষ্কার তার থেকেও কয়েক হাজার বছর বেশি প্রাচীন।

২০১৮ সালে ক্যামব্রিজশায়ারের এডিক্স হিল নামে পরিচিত একটি সমাধিস্থলে ১৫০০ বছর আগের প্লেগ আক্রান্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এটিই ছিল এতদিন সবথেকে পুরানো প্লেগের ডিএনএ।প্লেগ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির নমুনা দুটি ভিন্ন গণকবরে পাওয়া গেছে। একটি দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সমারসেট কাউন্টিতে এবং অন্যটি ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সীমান্তের কাছে কামব্রিয়ার উত্তর-পশ্চিম কাউন্টিতে।

সাইটগুলির মধ্যে দূরত্ব সেই আমলের হিসেবে অনেক বেশি। ফলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে, নিওলিথিক যুগের শেষের দিকে ও ব্রোঞ্জ যুগের শুরুতেও প্লেগ ব্যাপক আকারে বিস্তার করেছিল। মাত্র কয়েক শতাব্দীর মধ্যে এত বিশাল এলাকাজুড়ে এই রোগ ছড়িয়েছে যে বুঝাই যাচ্ছে মানুষ সে সময় প্রচুর চলাফেরা করতো। সবাই আসেপাশের অঞ্চলের মধ্যে যুক্ত ছিল।

গবেষকরা কিভাবে চার হাজার বছর পূর্বের ব্যাকটেরিয়া সনাক্ত করলেন ? রিপোর্টে বলা হয়েছে, গবেষণা দলটি দুটি সাইট জুড়ে ৩৪ জন মানুষের কঙ্কাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। গবেষকরা এই প্রাচীন মানুষের দাঁতের মধ্যে ছিদ্র করে ডেন্টাল পাল্প বের করেছেন। আর সেখানেই সংক্রামক রোগের ডিএনএর অবশিষ্টাংশ আটকে ছিল। হাজার বছর আগের মরদেহ থেকে রোগজীবাণুর নমুনা সনাক্ত করা সম্ভব বলে জানান গবেষকরা। এই আবিষ্কার আমাদের প্লেগের মতো রোগকে বুঝতে এবং কোন জিনের কারণে সংক্রামক রোগ ছড়ায় তা নির্ণয়ে সহায়তা করবে। সূত্র : মানবজিমন
সুমি/হককথা