নিউইয়র্ক ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

র‌্যাবের অভিযানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ৫০ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিক ‍উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তাজুল ইসলাম তানুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রোববার (২৮ মে) রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার তানু ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি। ঘটনার দিন ইউনিয়ন পরিষদের কাজে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশে নিজ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আতিক উল্লাহ চৌধুরী। ওইদিন রাতে বাসায় ফিরে না আসলে তার পরিবারের লোকজন মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পায়।

আরোও পড়ুন । পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ

পরে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর আতিক উল্লাহর ছেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। ওই সময় থানায় অবস্থানকালীন সময়ে তিনি খবর পান কোন্ডা ১০ম শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দেয়াল ভেঙে পড়ে আছে। পরে তার ছেলে সেই স্থানে গিয়ে আগুনে পোড়া ও বিকৃত একটি লাশ দেখতে পান। একপর্যায়ে পুলিশের সহায়তায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিকালে লাশের সঙ্গে থাকা একটি এটিএম কার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্র দেখে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর লাশ শনাক্ত করেন তার ছেলে। এরপর নিহতের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। যারমধ্যে বাকিরা গ্রেফতার হলেও তাজুল ইসলাম তানু পলাতক ছিলেন।

যে কারণে চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহকে হত্যা

র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত করিম জানান, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী সঙ্গে নির্বাচনের প্রার্থিতা ও দলীয় সভাপতির পদ নিয়ে মৃত্যুদণ্ড আসামি গুলজারের বিরোধ চলছিল। ওই শত্রুতার জের ধরে গুলজার বেশ কয়েকবার আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে বিভিন্ন প্রকার হুমকিও দিয়েছিলেন। তবে আতিক উল্লাহ চৌধুরী তার কথায় কর্ণপাত না করলে গুলজার ও তাজুল ইসলাম তানু মিলে আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরে পরিকল্পনামতো শম্পা নামে এক নারীর মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে কোন্ডা হাসপাতালের গেটের কাছে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে গেলে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর পাঞ্জাবী ছিঁড়ে তার মুখ চেপে ধরেন আসামিরা। এরপর হাসপাতালের নিচু জায়গায় নিয়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। পরে তাজুল ইসলাম তানুর পরিকল্পনায় নিজেদের মোটরসাইকেলের পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। গ্রেফতার তাজুল ইসলাম তানুর বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাও রয়েছে জানিয়ে র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত করিম বলেন, তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

র‌্যাবের অভিযানে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ১২:০১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিক ‍উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তাজুল ইসলাম তানুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রোববার (২৮ মে) রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার তানু ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি। ঘটনার দিন ইউনিয়ন পরিষদের কাজে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশে নিজ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আতিক উল্লাহ চৌধুরী। ওইদিন রাতে বাসায় ফিরে না আসলে তার পরিবারের লোকজন মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পায়।

আরোও পড়ুন । পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির হিসাব-নিকাশ

পরে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর আতিক উল্লাহর ছেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। ওই সময় থানায় অবস্থানকালীন সময়ে তিনি খবর পান কোন্ডা ১০ম শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দেয়াল ভেঙে পড়ে আছে। পরে তার ছেলে সেই স্থানে গিয়ে আগুনে পোড়া ও বিকৃত একটি লাশ দেখতে পান। একপর্যায়ে পুলিশের সহায়তায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিকালে লাশের সঙ্গে থাকা একটি এটিএম কার্ড ও ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্র দেখে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর লাশ শনাক্ত করেন তার ছেলে। এরপর নিহতের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। যারমধ্যে বাকিরা গ্রেফতার হলেও তাজুল ইসলাম তানু পলাতক ছিলেন।

যে কারণে চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহকে হত্যা

র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত করিম জানান, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী সঙ্গে নির্বাচনের প্রার্থিতা ও দলীয় সভাপতির পদ নিয়ে মৃত্যুদণ্ড আসামি গুলজারের বিরোধ চলছিল। ওই শত্রুতার জের ধরে গুলজার বেশ কয়েকবার আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে বিভিন্ন প্রকার হুমকিও দিয়েছিলেন। তবে আতিক উল্লাহ চৌধুরী তার কথায় কর্ণপাত না করলে গুলজার ও তাজুল ইসলাম তানু মিলে আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরে পরিকল্পনামতো শম্পা নামে এক নারীর মাধ্যমে চেয়ারম্যানকে কোন্ডা হাসপাতালের গেটের কাছে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে গেলে আতিক উল্লাহ চৌধুরীর পাঞ্জাবী ছিঁড়ে তার মুখ চেপে ধরেন আসামিরা। এরপর হাসপাতালের নিচু জায়গায় নিয়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। পরে তাজুল ইসলাম তানুর পরিকল্পনায় নিজেদের মোটরসাইকেলের পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। গ্রেফতার তাজুল ইসলাম তানুর বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাও রয়েছে জানিয়ে র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত করিম বলেন, তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা