মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ওয়াসার এমডি হন তাকসিম
- প্রকাশের সময় : ১১:২০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
- / ৫০ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এমডি পদে নিয়োগ পাওয়ার সময় তাকসিম তথ্য গোপন করেছিলেন। তিনি যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তা তাঁর আবেদনপত্রে উল্লেখ ছিল না। এটা জানলে তাঁকে আমি এমডি পদে নিয়োগ দিতাম না। আমার হাত দিয়েই তিনি এমডি পদে বসেছিলেন।’
কানাডায় অবস্থানরত গোলাম মোস্তফা সমকালের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান। গত ২১ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে গোলাম মোস্তফাকে বোর্ড চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ১৭ মে মন্ত্রণালয়ে তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন গোলাম মোস্তফা। এর পর তাঁর অব্যাহতির আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয় গোলাম মোস্তফা বলেন, তাকসিম এ খান ঢাকা ওয়াসাকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পদের মতো পরিচালনা করছেন। সরকারি সব সংস্থার আইন আছে, নিয়মকানুন আছে। সংস্থাগুলো সে অনুযায়ী চলে। তাকসিম এ খান কোনো কিছু মানেন না। কারও কথাই শোনেন না। অনেক দিন ধরেই তিনি ওয়াসা বোর্ডকে অসহযোগিতা করে আসছিলেন। বোর্ড মিটিংয়ে এমডির থাকার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তাঁর অনুপস্থিতিতে কোনো মিটিং করতে দিতেন না। তিনি প্রতিষ্ঠানকে অনিয়ম, অপচয় আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন।
আরোও পড়ুন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ সম্ভাবনাও হুমকিতে
‘বোর্ড সচিব’ নামে ওয়াসার অর্গানোগ্রামে কোনো পদ নেই। তাকসিম নিজের আজ্ঞাবহ এক প্রকৌশলীকে এ পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। বলা যায় তিনিই প্রশাসনের প্রধান। অথচ ওয়াসায় একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ডিএমডি (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) আছেন। তিনি স্বউদ্যোগে অনেক কাজ শুরু করায় এবং বেশকিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ায় এমডি তাঁকে গুরুত্বহীন করে রেখেছেন; তাঁকে বরখাস্ত করার চেষ্টাও করেছেন ভুয়া অভিযোগ তুলে। বোর্ড সচিব এমডির পার্সোনাল কর্মকর্তার মতো কাজ করেন। গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, আমি বারবার বোর্ডের জন্য দু’জন নিজস্ব কর্মকর্তা নিয়োগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি এমডির টালবাহানার কারণে। এভাবেই তাকসিম ক্ষমতার দাপট দেখাতেন, বোর্ডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজের সুবিধামতো থাকাকালীন তিনি বোর্ডসভা করতে বাধা দিয়েছেন। সূত্র : সমকাল
সুমি/হককথা