নিউইয়র্ক ০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের বাংলাদেশী শিক্ষিকা আবেদা খানমের হোমটাউন হিরোর মর্যাদা লাভ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫
  • / ১৫০০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশী শিক্ষিকা আবেদা খানম নিউইয়র্কে ‘হোমটাউন হিরো’র মর্যাদা লাভ করেছেন। কুইন্সের রবার্ট ওয়াগনার জুনিয়র সেকেন্ডারী স্কুল অব টেকনোলিজির বায়োলজির শিক্ষিকা তার মেধা আর কর্মদক্ষতা গুণে এই গৌরব অর্জন করেছেন। গত ১ অক্টোবর বৃহষ্প্রতিবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন। উল্লেখ্য, সিটির অন্যতম জনপ্রিয় হোম টাউন পত্রিকা ডেইলি নিউজ প্রতিবছর ‘হোমটাউন হিরোস ইন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে থাকে। ডেইলি নিউজ-এর বিচারকদের ভাষায় আবেদা খানম নিউইয়র্ক সিটির ডিসটিংগুইশড লিস্ট অব টিচার্সে তার নাম লেখান। আবেদা খানমের সাথে আরো ১০জন চলতি বছর এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। উক্ত অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটি স্কুল চ্যান্সেলর কারমেন ফারিনা, সিটি ইউনিভার্সিটি কিউনি’র চ্যান্সেলর জেমস মিলিকেন, ডেইলি নিউজ-এর প্রেসিডেন্ট ও এডিটর ইন চীফ কলিন মাইলার উপস্থিত ছিলেন।
আবেদা খানম উক্ত স্কুলে ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। শিক্ষিকা আবেদার স্বপ্ন আলেম দ্বীন আর শিক্ষার পাশাপাশি খাঁটি মুসলমান হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। স্বপ্ন তার আরো উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি বায়োলজীতে পিএইডি ডিগ্রি নেয়া। মেধা-মনন, আচার-ব্যবহার, শিক্ষা-যোগ্যতায় আবেদা খানম এখন নিউইয়র্ক সিটির শিক্ষা বিভাগে অতি পরিচিত নাম। দেশী-বিদেশী নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই তিনি এখন এক আদর্শিক ‘আইডল’। খবর উিএনএ’র।
নিউইয়র্কের সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত মদিনা মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মরহুম মাওলানা সামির উদ্দিন আহমেদের কন্যা আবেদা খানম। ১১ বছর বয়সে সেই ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র আসেন। তার দেশের বাড়ী সিলেটের বিয়ানীবাজার। বড় হয়েছেন ইট-পাথরে তৈরী বিশালাকারের ভবন বেষ্টিত ম্যানহাটানের লোয়ার ইস্ট সাইডে। লেখা পড়া করেছেন ব্রুকলীন ইন্টরন্যাশনাল হাই স্কুল, ব্রুকলীন কলেজ, আর হান্টার কলেজে। ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন ব্রুকলীন কলেজ থেকে। শিক্ষকতা তার পেশা। ইতিপূর্বে লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজেও শিক্ষকতা করেছেন ৯ বছর। আর একজন সফল শিক্ষক হিসেবে অর্জন করেছেন ইউনাইটেড ফেডারেশন অব টিচার্স কর্তৃক চলতি বছরের এক্সিলেন্স ইন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’২০১৫। সম্মানিত এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তিনি নিজেকে যেমন গর্বিত মনে করেন, তেমনি তাকে নিয়ে গর্বিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ববিখ্যাত নিউইয়র্ক টাইমসসহ নিউইয়র্কের ডেইলী নিউজ, নিউইয়র্ক টিচার প্রভৃতি মিডিয়া। চলতি বছরের জুলাই মাসে ডেইলী নিউজ পত্রিকা তাদের ‘হোমটাউন হিরোজ এডুকেশন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
Abeda Khanam Pic-1শিক্ষিকা আবেদা খানম বলেন, তারা ছয় ভাই-বোন। এর মধ্যে পাঁচ ভাই। ছোট তিন ভাই তার সাথে থাকেন। স্বামী মওলানা আবু তাহের চৌধুরী (ফাহিম) আর দুই ছেলে সহ ভাইদের নিয়ে তিনি বসবাস করেন নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এস্টেটে। তার শখ বাগান তথা ফার্ম করা। বাড়ীর ব্যাকইয়ার্ডে রয়েছে তার ছোট-খাটো বাগান। নিজ হাতেই তার রক্ষণা-বেক্ষণ করেন। তার কর্মস্থলেও রয়েছে নিজের গড়া ফার্ম। যা তার কর্মস্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। ভালোবাসেন হাওর-বাওড় ভ্রমণ আর ফিশিং করতে। খুঁজে বেড়ান নদ-নদী, গ্রামবাংলা। আরো ভালোবাসেন বাংলা সংস্কৃতি।
ইংরেজী ভাষাতো বটেই। বাংলা সহ হিন্দী আর পাঞ্জাবী ভাষাতেও রয়েছে তার দক্ষতা। একাধিক ভাষা জানার কারণে তার ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ করে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সাথে ‘কমিউনিকেশন’-এ তার অনেক সুবিধা হয়। ফলে সহজেই মন জয় করে নিতে পারেন শিক্ষার্থীদের। বুঝেন তাদের মনে কথা। তার ভাষায় ‘ক্লাশের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র-ছাত্রীও তার প্রিয়। মেধা-শিক্ষা আর আচার-ব্যবহার দিয়ে তিনি শিক্ষার্থীসহ সবার মন জয় করতে চান’। তিনি বাসা-বাড়ী আর কর্মস্থলসহ সিটির শিক্ষা বিভাগের অনেকেরই মন জয় করেছেন। তার কথা ‘শিক্ষক হিসেবে রেসপেক্ট পেতে হলে শিক্ষার্থীদেরও রেসপেক্ট করতে হবে’। তার এতো কিছু অর্জনের পিছনের মানুষ তার বাবা মওলানা সামির উদ্দিন আহমেদ। বাবার কথা বলতে গিয়ে জানালেন, ‘বাবা খুব আদর করতেন। আর কোন কাজে যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য সকল কিছুই শিখিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন’।
আবেদা খানম বললেন, তার কষ্টের কথা। ছোট তিন ভাইকে সাথে রেখে মানুষ করতে গিয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পরও ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আরো উচ্চ শিক্ষা নেয়া হয়নি তার। সম্ভব হয়নি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। তবে তিনি আশাবাদী। ভাইয়েরা বড় হয়েছেন, সন্তানরাও বড় হচ্ছে। ভবিষ্যতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নিতে চান।
স্কুল-কলেজ আর কর্মজীবনে একাধিক সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করেছেন আবেদা খানম। উল্লেখিত অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও অর্জন করেছেন আরো অনেক অ্যাওয়ার্ড। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত ধর্মভীরু তিনি। ইসলামিক কায়দার পোশাক-পরিচ্ছেদ পড়ে বিশেষ করে মাথায় হিজাব পড়ে অনেকেরই বিশেষ দৃষ্টি কারলেও কোনদিন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখী হননি। অসম্মানও করেনি কেউ তাকে। বরং সম্মানই পাচ্ছেন, বললেন- শিক্ষিকা আবেদা খানম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের বাংলাদেশী শিক্ষিকা আবেদা খানমের হোমটাউন হিরোর মর্যাদা লাভ

প্রকাশের সময় : ০৯:১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশী শিক্ষিকা আবেদা খানম নিউইয়র্কে ‘হোমটাউন হিরো’র মর্যাদা লাভ করেছেন। কুইন্সের রবার্ট ওয়াগনার জুনিয়র সেকেন্ডারী স্কুল অব টেকনোলিজির বায়োলজির শিক্ষিকা তার মেধা আর কর্মদক্ষতা গুণে এই গৌরব অর্জন করেছেন। গত ১ অক্টোবর বৃহষ্প্রতিবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাজিও তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন। উল্লেখ্য, সিটির অন্যতম জনপ্রিয় হোম টাউন পত্রিকা ডেইলি নিউজ প্রতিবছর ‘হোমটাউন হিরোস ইন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে থাকে। ডেইলি নিউজ-এর বিচারকদের ভাষায় আবেদা খানম নিউইয়র্ক সিটির ডিসটিংগুইশড লিস্ট অব টিচার্সে তার নাম লেখান। আবেদা খানমের সাথে আরো ১০জন চলতি বছর এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। উক্ত অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটি স্কুল চ্যান্সেলর কারমেন ফারিনা, সিটি ইউনিভার্সিটি কিউনি’র চ্যান্সেলর জেমস মিলিকেন, ডেইলি নিউজ-এর প্রেসিডেন্ট ও এডিটর ইন চীফ কলিন মাইলার উপস্থিত ছিলেন।
আবেদা খানম উক্ত স্কুলে ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। শিক্ষিকা আবেদার স্বপ্ন আলেম দ্বীন আর শিক্ষার পাশাপাশি খাঁটি মুসলমান হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। স্বপ্ন তার আরো উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি বায়োলজীতে পিএইডি ডিগ্রি নেয়া। মেধা-মনন, আচার-ব্যবহার, শিক্ষা-যোগ্যতায় আবেদা খানম এখন নিউইয়র্ক সিটির শিক্ষা বিভাগে অতি পরিচিত নাম। দেশী-বিদেশী নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই তিনি এখন এক আদর্শিক ‘আইডল’। খবর উিএনএ’র।
নিউইয়র্কের সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত মদিনা মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি মরহুম মাওলানা সামির উদ্দিন আহমেদের কন্যা আবেদা খানম। ১১ বছর বয়সে সেই ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র আসেন। তার দেশের বাড়ী সিলেটের বিয়ানীবাজার। বড় হয়েছেন ইট-পাথরে তৈরী বিশালাকারের ভবন বেষ্টিত ম্যানহাটানের লোয়ার ইস্ট সাইডে। লেখা পড়া করেছেন ব্রুকলীন ইন্টরন্যাশনাল হাই স্কুল, ব্রুকলীন কলেজ, আর হান্টার কলেজে। ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন ব্রুকলীন কলেজ থেকে। শিক্ষকতা তার পেশা। ইতিপূর্বে লাগোর্ডিয়া কমিউনিটি কলেজেও শিক্ষকতা করেছেন ৯ বছর। আর একজন সফল শিক্ষক হিসেবে অর্জন করেছেন ইউনাইটেড ফেডারেশন অব টিচার্স কর্তৃক চলতি বছরের এক্সিলেন্স ইন এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড’২০১৫। সম্মানিত এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তিনি নিজেকে যেমন গর্বিত মনে করেন, তেমনি তাকে নিয়ে গর্বিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ববিখ্যাত নিউইয়র্ক টাইমসসহ নিউইয়র্কের ডেইলী নিউজ, নিউইয়র্ক টিচার প্রভৃতি মিডিয়া। চলতি বছরের জুলাই মাসে ডেইলী নিউজ পত্রিকা তাদের ‘হোমটাউন হিরোজ এডুকেশন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
Abeda Khanam Pic-1শিক্ষিকা আবেদা খানম বলেন, তারা ছয় ভাই-বোন। এর মধ্যে পাঁচ ভাই। ছোট তিন ভাই তার সাথে থাকেন। স্বামী মওলানা আবু তাহের চৌধুরী (ফাহিম) আর দুই ছেলে সহ ভাইদের নিয়ে তিনি বসবাস করেন নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এস্টেটে। তার শখ বাগান তথা ফার্ম করা। বাড়ীর ব্যাকইয়ার্ডে রয়েছে তার ছোট-খাটো বাগান। নিজ হাতেই তার রক্ষণা-বেক্ষণ করেন। তার কর্মস্থলেও রয়েছে নিজের গড়া ফার্ম। যা তার কর্মস্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। ভালোবাসেন হাওর-বাওড় ভ্রমণ আর ফিশিং করতে। খুঁজে বেড়ান নদ-নদী, গ্রামবাংলা। আরো ভালোবাসেন বাংলা সংস্কৃতি।
ইংরেজী ভাষাতো বটেই। বাংলা সহ হিন্দী আর পাঞ্জাবী ভাষাতেও রয়েছে তার দক্ষতা। একাধিক ভাষা জানার কারণে তার ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ করে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সাথে ‘কমিউনিকেশন’-এ তার অনেক সুবিধা হয়। ফলে সহজেই মন জয় করে নিতে পারেন শিক্ষার্থীদের। বুঝেন তাদের মনে কথা। তার ভাষায় ‘ক্লাশের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র-ছাত্রীও তার প্রিয়। মেধা-শিক্ষা আর আচার-ব্যবহার দিয়ে তিনি শিক্ষার্থীসহ সবার মন জয় করতে চান’। তিনি বাসা-বাড়ী আর কর্মস্থলসহ সিটির শিক্ষা বিভাগের অনেকেরই মন জয় করেছেন। তার কথা ‘শিক্ষক হিসেবে রেসপেক্ট পেতে হলে শিক্ষার্থীদেরও রেসপেক্ট করতে হবে’। তার এতো কিছু অর্জনের পিছনের মানুষ তার বাবা মওলানা সামির উদ্দিন আহমেদ। বাবার কথা বলতে গিয়ে জানালেন, ‘বাবা খুব আদর করতেন। আর কোন কাজে যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য সকল কিছুই শিখিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন’।
আবেদা খানম বললেন, তার কষ্টের কথা। ছোট তিন ভাইকে সাথে রেখে মানুষ করতে গিয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পরও ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আরো উচ্চ শিক্ষা নেয়া হয়নি তার। সম্ভব হয়নি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। তবে তিনি আশাবাদী। ভাইয়েরা বড় হয়েছেন, সন্তানরাও বড় হচ্ছে। ভবিষ্যতে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নিতে চান।
স্কুল-কলেজ আর কর্মজীবনে একাধিক সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করেছেন আবেদা খানম। উল্লেখিত অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও অর্জন করেছেন আরো অনেক অ্যাওয়ার্ড। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত ধর্মভীরু তিনি। ইসলামিক কায়দার পোশাক-পরিচ্ছেদ পড়ে বিশেষ করে মাথায় হিজাব পড়ে অনেকেরই বিশেষ দৃষ্টি কারলেও কোনদিন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখী হননি। অসম্মানও করেনি কেউ তাকে। বরং সম্মানই পাচ্ছেন, বললেন- শিক্ষিকা আবেদা খানম।