আশা করি যুক্তরাষ্ট্র আর নিষেধাজ্ঞা দেবে না- কৃষিমন্ত্রী
- প্রকাশের সময় : ১২:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
- / ৪৩ বার পঠিত
বাংলােদশ ডেস্ক : আমেরিকা আর নিষেধাজ্ঞা দেবে না, তারা বাস্তবতা বুঝবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, লিখতে পারে। আমার ধারণা প্রধানমন্ত্রী যেগুলো বলেছেন, সঠিকই বলেছেন। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যন্তরীণ সব বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ আমরা কোনোদিনই কামনা করি না। তিনি বলেন, জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে আমাদের বাস্তববাদী হতে হচ্ছে। বাস্তবতার আলোকে দেশ ও জাতির স্বার্থে, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গি দমনে অনেক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। সেটার জন্য যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটা কতোটা যুক্তিসঙ্গত? কৃষিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় নির্বাচন হতে হবে, সেটা কোনোদিনই হবে না। সংবিধানবহির্ভূত কিছু হবে না। তবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হওয়া দরকার।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রতিদিন বিএনপি যেসব অভিযোগ আনছে, এর সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে কিছু বিদেশি শক্তি। এসব মিলিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। দেশের মানুষ পূর্ণ বাকস্বাধীনতা ভোগ করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি বুঝি না স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) কেন দেবে। আমার ধারণা তারা স্যাংশনস দেবে না। তারা বাস্তবতাটা বুঝবে। তারা একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে আমাদের সহযোগিতা করবে। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি একজন আশাবাদী মানুষ। পত্রিকায় যে রিপোর্টই আসুক। আমেরিকা আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে আমি মনে করি না। নিষেধাজ্ঞা যদি দেয় একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের এর মধ্যদিয়েই চলতে হবে।
পিয়াজের কেজি ৮০ টাকা গ্রহণযোগ্য নয়; ২-৩ দিনের মধ্যে আমদানির সিদ্ধান্ত: এদিকে পিয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী। একইসঙ্গে, দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরও ২-৩ দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পিয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরোও পড়ুন । সরকার পতনের দিনক্ষণ জানা থাকলে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা যেতো
মন্ত্রী বলেন, গতবছর দেশে পিয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভাল ছিল। পিয়াজের দাম কম ছিল, কৃষক কম দাম পেয়েছিল। সে বছর দাম বাড়বে এই আশায় মজুত করে রাখা পিয়াজ পচে গিয়েছিল। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেজন্য, এবছর পিয়াজের কী অবস্থা আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের নিকট, গুদামে ও আড়তদারের নিকট কি পরিমাণ পিয়াজ আছে, তা দেখতে গত ২-৩ দিন মাঠ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা খোঁজখবর নিয়েছেন। মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, যথেষ্ট পিয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরও বাড়বে- এই আশায় বাজারে বিক্রি করছে না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, পিয়াজের দাম বেশি হওয়ায় মধ্যম আয়ের, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত চাষির স্বার্থটা দেখতে চাচ্ছি। কারণ, গতবছর কৃষকেরা দাম কম পাওয়ায় এ বছর পিয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় ২ লাখ টনের মতো। আমরা উচ্চপর্যায়ে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি। গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষেণ করছি। ২-৩ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পিয়াজ আমদানি করা হবে কিনা।
বেলী/হককথা