নিউইয়র্ক ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঘূর্ণিঝড় মোখা : মিয়ানমারে ঝুঁকিতে দেড় কোটির বেশি মানুষ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩
  • / ৮৩ বার পঠিত

ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন মানুষ। ছবি : এএফপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উপকূলের কাছে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বাংলাদেশের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সীমান্ত দিয়ে এটি সরাসরি মিয়ানমারে আঘাত হানতে যাচ্ছে। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে যে, ঘূর্ণিঝড় মোখা কারণে মিয়ানমারে ১৭ মিলিয়ন (১ কোটি ৭০ লাখ) মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ইলেভেন মিয়ানমার ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রাখাইন রাজ্য ছাড়াও চিন, শান এবং সাগাইং, ম্যাগওয়ে, বাগো এবং মান্দালয় অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

ডব্লিউএফপির অ্যাডভান্সড ডিজাস্টার অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ম্যাপিং বিভাগ আগেই জানিয়েছিল যে, ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারে অঞ্চল ও সময় ভেদে ৬০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সর্বোচ্চ গতিতে আঘাত হানা অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে রাখাইন, চিন রাজ্য এবং সাগাইং। এসব এলাকার অন্তত দেড় লাখ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। এদিকে দ্য ইরাওয়াদ্দির খবরে বলা হয়েছে, মোখা রবিবার বিকেলে মিয়ানমারের সিত্তওয়ের কাছে আঘাত হানতে পারে। তার আগেই কয়েক লাখ রাখাইন নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন।

আরোও পড়ুন । ইসরায়েল-ইসলামিক জিহাদের যুদ্ধবিরতিতে মিসরের সফলতা

মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারও এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। আর জান্তা কর্তৃপক্ষ সিত্তওয়ে, কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরগুলোতে রেড এলার্ট জারি করেছে। আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন যে, বুধবার থেকে তারা প্রায় এক লাখ দুই হাজার রাখাইন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সরবরাহ করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঝড়ের পরে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বেলী /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড় মোখা : মিয়ানমারে ঝুঁকিতে দেড় কোটির বেশি মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উপকূলের কাছে চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বাংলাদেশের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সীমান্ত দিয়ে এটি সরাসরি মিয়ানমারে আঘাত হানতে যাচ্ছে। দেশটির কয়েকটি রাজ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে যে, ঘূর্ণিঝড় মোখা কারণে মিয়ানমারে ১৭ মিলিয়ন (১ কোটি ৭০ লাখ) মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ইলেভেন মিয়ানমার ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রাখাইন রাজ্য ছাড়াও চিন, শান এবং সাগাইং, ম্যাগওয়ে, বাগো এবং মান্দালয় অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

ডব্লিউএফপির অ্যাডভান্সড ডিজাস্টার অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ম্যাপিং বিভাগ আগেই জানিয়েছিল যে, ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারে অঞ্চল ও সময় ভেদে ৬০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সর্বোচ্চ গতিতে আঘাত হানা অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে রাখাইন, চিন রাজ্য এবং সাগাইং। এসব এলাকার অন্তত দেড় লাখ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। এদিকে দ্য ইরাওয়াদ্দির খবরে বলা হয়েছে, মোখা রবিবার বিকেলে মিয়ানমারের সিত্তওয়ের কাছে আঘাত হানতে পারে। তার আগেই কয়েক লাখ রাখাইন নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন।

আরোও পড়ুন । ইসরায়েল-ইসলামিক জিহাদের যুদ্ধবিরতিতে মিসরের সফলতা

মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারও এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। আর জান্তা কর্তৃপক্ষ সিত্তওয়ে, কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরগুলোতে রেড এলার্ট জারি করেছে। আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন যে, বুধবার থেকে তারা প্রায় এক লাখ দুই হাজার রাখাইন বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সরবরাহ করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ঝড়ের পরে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বেলী /হককথা