নিউইয়র্ক ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রোমানিয়া অভিমুখী ৫৮৩ অনিয়মিত অভিবাসী ও ১১ পাচারকারী আটক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৮৯ বার পঠিত

তুরস্কে ৫৮৩ জন অনিয়মিত অভিবাসী ও মানবপাচার চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি : হুরিয়াত ডেইলি নিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে এক যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫৮৩ জন অনিয়মিত অভিবাসী ও মানবপাচার চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এসব অভিবাসী পাচারচক্রের সহায়তায় তুরস্ককে ব্যবহার করে কৃষ্ণ সাগর হয়ে রোমানিয়ায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানটি চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। একটি বেআইনি প্রতিষ্ঠান সমুদ্রপথে অভিবাসীদের পাচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন খবর পাওয়ার পর তুর্কি পুলিশের জেন্ডারমেরি শাখা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এমআইটি) এবং কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে তুর্কি গণমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, দীর্ঘ ১০ মাসের প্রযুক্তিগত এবং গোয়েন্দা নজরদারির পর এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়েছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে শুরুতে তুরস্কের অর্নভুতকয় উপকূল থেকে নৌকায় যাত্রা করা বেশ কিছু অনিয়মিত অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। আরেক দল অভিবাসীকে নৌকায় ওঠার আগে পাশের একটি বন থেকে আটক করা হয়। এভাবে মোট ৫৮৩ জন বিদেশি নাগরিক আটক হয়। প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায়, কৃষ্ণ সাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্ক থেকে রোমানিয়া যেতে অভিবাসীদের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করে থাকে পাচারচক্রের সদস্যরা। ফাতিহ জেলার পাঁচটি বাড়িতে অর্থ আদান-প্রদান এবং দুটি রেস্তোরাঁকে প্রায়ই অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

আরোও পড়ুন । দক্ষিণ কোরিয়া-জার্মানির অভিন্ন ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

আরেকটি যৌথ অভিযানে পাচারকারী দলের ১৫ সন্দেহভাজনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের সবাই বিদেশি নাগরিক। তবে আটককৃতদের মধ্যে চারজন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে জামিনে অস্থায়ী মুক্তি পেয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে ও বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ছয়টি মাছ ধরার নৌকা, ৯টি অস্থায়ী জেট স্কি-সদৃশ নৌকা, ১০টি গাড়ি, ৩৫টি পাসপোর্ট, একটি পিস্তল, ১২টি লাইফ জ্যাকেট, ২৫টি মোবাইল ফোন, এক জোড়া দুরবিন, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ এবং নথি জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাচারচক্রের সদস্যরা তুরস্কে বসবাসের অনুমতি রয়েছে এমন আত্মীয়দের সাহায্য নিয়ে অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যবহার করা রেস্তোঁরাগুলো খুলেছেন। সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রোমানিয়া অভিমুখী ৫৮৩ অনিয়মিত অভিবাসী ও ১১ পাচারকারী আটক

প্রকাশের সময় : ০২:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে এক যৌথ অভিযান চালিয়ে ৫৮৩ জন অনিয়মিত অভিবাসী ও মানবপাচার চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এসব অভিবাসী পাচারচক্রের সহায়তায় তুরস্ককে ব্যবহার করে কৃষ্ণ সাগর হয়ে রোমানিয়ায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানটি চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। একটি বেআইনি প্রতিষ্ঠান সমুদ্রপথে অভিবাসীদের পাচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন খবর পাওয়ার পর তুর্কি পুলিশের জেন্ডারমেরি শাখা, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এমআইটি) এবং কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে তুর্কি গণমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, দীর্ঘ ১০ মাসের প্রযুক্তিগত এবং গোয়েন্দা নজরদারির পর এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয়েছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে শুরুতে তুরস্কের অর্নভুতকয় উপকূল থেকে নৌকায় যাত্রা করা বেশ কিছু অনিয়মিত অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। আরেক দল অভিবাসীকে নৌকায় ওঠার আগে পাশের একটি বন থেকে আটক করা হয়। এভাবে মোট ৫৮৩ জন বিদেশি নাগরিক আটক হয়। প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায়, কৃষ্ণ সাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্ক থেকে রোমানিয়া যেতে অভিবাসীদের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করে থাকে পাচারচক্রের সদস্যরা। ফাতিহ জেলার পাঁচটি বাড়িতে অর্থ আদান-প্রদান এবং দুটি রেস্তোরাঁকে প্রায়ই অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

আরোও পড়ুন । দক্ষিণ কোরিয়া-জার্মানির অভিন্ন ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব

আরেকটি যৌথ অভিযানে পাচারকারী দলের ১৫ সন্দেহভাজনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের সবাই বিদেশি নাগরিক। তবে আটককৃতদের মধ্যে চারজন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে জামিনে অস্থায়ী মুক্তি পেয়েছেন। সন্দেহভাজনদের বাড়িতে ও বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ছয়টি মাছ ধরার নৌকা, ৯টি অস্থায়ী জেট স্কি-সদৃশ নৌকা, ১০টি গাড়ি, ৩৫টি পাসপোর্ট, একটি পিস্তল, ১২টি লাইফ জ্যাকেট, ২৫টি মোবাইল ফোন, এক জোড়া দুরবিন, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ এবং নথি জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাচারচক্রের সদস্যরা তুরস্কে বসবাসের অনুমতি রয়েছে এমন আত্মীয়দের সাহায্য নিয়ে অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যবহার করা রেস্তোঁরাগুলো খুলেছেন। সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস

বেলী/হককথা