বাংলাদেশ ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য আজ বুধবার (৩ মে) শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। চার ধাপের এই শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। বুধবার (৩ মে) নির্বাচন কমিশন ভবনের বেজমেন্ট সভাকক্ষে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনার মো. আলমগীর।

কমিশন জানিয়েছে, বর্তমানে যে ৩০০টি আসন রয়েছে সেগুলোর খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে ১৯ মার্চের ভেতরে আপত্তি উপস্থাপন করতে বলা হয়। ৩৮টি আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের পক্ষে-বিপক্ষে ১৮৬টি আবেদন পড়েছে। কুমিল্লা অঞ্চলের আবেদনগুলোর শুনানি হবে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ৭ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের শুনানি, ১১ মে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের শুনানি এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুনানি হবে আগামী ১৪ মে সকাল ১০ থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

জানা যায়, ১৮৬ দাবি-আপত্তির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে। রাজশাহীতে ৪৩টি, বরিশালে ২৯টি, ঢাকা অঞ্চলে ১৮টি, খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে আবেদন পড়েছে। অন্যদিকে সিলেট ও রংপুর অঞ্চল থেকে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি। ইতোমধ্যে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম-সচিব মো. আবদুল বাতেন স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্টদের জন্য পাঁচটি নির্দেশনা রয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো- শুনানিতে শুধু গেজেটে বর্ণিত নীতিমালার ব্যত্যয়-সংক্রান্ত আপত্তি/পরামর্শগুলো বিবেচনা করা হবে; নতুনভাবে উত্থাপিত কোনো আপত্তি/পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না এবং ১৯ মার্চের পর প্রাপ্ত আপত্তি/পরামর্শ বিবেচনা করা হবে না; আপত্তিকারী/পরামর্শকারী বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৌঁসুলি/আইনজীবী ছাড়া অন্য কেউ তার পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না; আপত্তিকারী, পরামর্শকারীকে শুনানিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে; কোনো অবস্থাতেই আপত্তি পরামর্শ শুনানির তারিখ ও সময় পরিবর্তন করা হবে না; এবং স্থান সংকুলানের সমস্যা হলে শুনানি কক্ষে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

আরোও পড়ুন । স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন 

প্রথম দিকে প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতা বজার রাখার কথা বলেছিল ইসি। এতে শুধু প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে গেলেই ইসিকে ৪৫ আসনে হাত দিয়ে হতো। পরে তদবির ও বিতর্কের ভয়ে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে ইসি। পরে নূরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া সংসদীয় আসনের সীমানা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া সীমানা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। আবেদনের শুনানি শেষে জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী / হককথা