নিউইয়র্ক ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েলের কারাগারে অনশনরত ফিলিস্তিনির মৃত্যু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ৭৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর সঙে যুক্ত ছিলেন ফিলিস্তিনি বন্দী খাদের আদনান। প্রায় তিন মাস অনশনের পর ইসরায়েলি কারাগারে মারা গেছেন তিনি। ইসরায়েলি কারা কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদনান নিজের চিকিৎসা করাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ভোরে কক্ষে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় বলে ইসরায়েলি কারাগার পরিষেবা জানিয়েছে। এর আগে, ইসলামি জিহাদ গ্রপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে তাকে আটক করেছিল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ‘অবৈধভাবে’ আটকে রাখায় তিন মাস আগে আমরণ অনশন শুরু করেন আদনান। ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার পরপরই আদনান অনশন শুরু করেছিলেন তিনি। ইসরায়েল বর্তমানে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রেখেছে। ইসরায়েলি মানবাধিকার গ্রুপ হ্যামোকডের মতে, যা সংখ্যা ২০০৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।

আরোও পড়ুন । জাপানকে ঘিরে আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা

আদনানের মৃত্যুর খবর শুনে গাজার ডাব্লিউএইডি প্রিজনার্স অ্যাসোসিয়েশন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ‘খাদের আদনানকে ঠান্ডা মাথায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি অনুসারে, বিনা অভিযোগে ৪৪ বছর বয়সী আদনানকে আটকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি ৮৭ দিন খাবার খাননি। এর আগেও তিনি অধিকারকর্মী অনশন করেছিলেন। ২০১৫ সালে আটকের পর টানা ৫৫ দিন কোনো কিছু খাননি তিনি। ওই সময় কথিত ‘প্রশাসনিক আটক’-এর অধীনে তাকে আটক করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ‘কালো আইনের’ অধীনে যাদের আটক করা হয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ না এনে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা হয়। সূত্র : আলজাজিরা

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের কারাগারে অনশনরত ফিলিস্তিনির মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর সঙে যুক্ত ছিলেন ফিলিস্তিনি বন্দী খাদের আদনান। প্রায় তিন মাস অনশনের পর ইসরায়েলি কারাগারে মারা গেছেন তিনি। ইসরায়েলি কারা কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদনান নিজের চিকিৎসা করাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ভোরে কক্ষে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় বলে ইসরায়েলি কারাগার পরিষেবা জানিয়েছে। এর আগে, ইসলামি জিহাদ গ্রপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে তাকে আটক করেছিল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ‘অবৈধভাবে’ আটকে রাখায় তিন মাস আগে আমরণ অনশন শুরু করেন আদনান। ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার পরপরই আদনান অনশন শুরু করেছিলেন তিনি। ইসরায়েল বর্তমানে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রেখেছে। ইসরায়েলি মানবাধিকার গ্রুপ হ্যামোকডের মতে, যা সংখ্যা ২০০৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।

আরোও পড়ুন । জাপানকে ঘিরে আঞ্চলিক বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা

আদনানের মৃত্যুর খবর শুনে গাজার ডাব্লিউএইডি প্রিজনার্স অ্যাসোসিয়েশন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ‘খাদের আদনানকে ঠান্ডা মাথায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি অনুসারে, বিনা অভিযোগে ৪৪ বছর বয়সী আদনানকে আটকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি ৮৭ দিন খাবার খাননি। এর আগেও তিনি অধিকারকর্মী অনশন করেছিলেন। ২০১৫ সালে আটকের পর টানা ৫৫ দিন কোনো কিছু খাননি তিনি। ওই সময় কথিত ‘প্রশাসনিক আটক’-এর অধীনে তাকে আটক করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ‘কালো আইনের’ অধীনে যাদের আটক করা হয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ না এনে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা হয়। সূত্র : আলজাজিরা

বেলী / হককথা