নিউইয়র্ক ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাখমুত থেকে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার হুমকি ওয়াগনার প্রধানের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৮ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন হুমকি দিয়েছেন, ইউক্রেনের বিধ্বস্ত শহর বাখমুত থেকে নিজ সেনাদের সরিয়ে নেবেন তিনি। অস্ত্রের অভাবে ওয়াগনার সেনারা শহরটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অভিযোগ করে এমন হুমকি দিয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগার সেমন পেগভের সঙ্গে দুই দিন আগে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। তার এই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় অংশটি প্রকাশ করা হয় গতকাল শনিবার।

ওই সাক্ষাৎকারেই প্রিগ্রোজিন জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত অস্ত্র না থাকায় বাখমুতে তার সেনারা অন্তত পাঁচগুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিন আমরা অসংখ্য মরদেহ কফিনে রাখি এবং বাড়িতে পাঠাই।’

প্রিগোজিন জানিয়েছেন, তিনি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুর কাছে চিঠি লিখে যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

‘যদি অস্ত্রের ঘাটতি পূরণ না হয় আমরা বাধ্য হব— ভয়ার্ত ইঁদুরের মতো এদিকে ওদিক পালিয়ে না যেতে— সেনা প্রত্যাহার করতে অথবা মরতে।’ সাক্ষাৎকারে বলেন প্রিগোজিন।

ওয়াগনার প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাখমুত থেকে কিছু সেনা নিয়ে প্রত্যাহার করা হতে পারে। কিন্তু যদি এটি করা হয় তাহলে যুদ্ধের অন্যান্য সম্মুখভাবে রাশিয়ার অবস্থানগুলো ভেঙে পড়বে।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে একটি অডিও প্রকাশ করেন ওয়াগনার বস। ওই অডিওতে তিনি অভিযোগ করেন, অস্ত্রের অভাবে নিজের ৯০ সেনাকে হারিয়েছেন তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার জানিয়েছে, প্রিগোজিন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন, তাকে যেন প্রতিদিনের জন্য ৪ হাজার গোলা দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৮০০ গোলা।

এছাড়া এ সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রিগোজিন বাখমুত থেকে নিজ সেনাদের প্রত্যাহারের যে হুমকি দিয়েছেন, সেটি ইঙ্গিত করছে তিনি আশঙ্কা করছেন, বাখমুতে যদি ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা আক্রমণ চালায় তাহলে রুশ বাহিনী হয়ত টিকতে পারবে না।- সূত্র: আল জাজিরা

নাছরিন/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাখমুত থেকে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার হুমকি ওয়াগনার প্রধানের

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন হুমকি দিয়েছেন, ইউক্রেনের বিধ্বস্ত শহর বাখমুত থেকে নিজ সেনাদের সরিয়ে নেবেন তিনি। অস্ত্রের অভাবে ওয়াগনার সেনারা শহরটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অভিযোগ করে এমন হুমকি দিয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগার সেমন পেগভের সঙ্গে দুই দিন আগে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। তার এই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় অংশটি প্রকাশ করা হয় গতকাল শনিবার।

ওই সাক্ষাৎকারেই প্রিগ্রোজিন জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত অস্ত্র না থাকায় বাখমুতে তার সেনারা অন্তত পাঁচগুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিন আমরা অসংখ্য মরদেহ কফিনে রাখি এবং বাড়িতে পাঠাই।’

প্রিগোজিন জানিয়েছেন, তিনি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুর কাছে চিঠি লিখে যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

‘যদি অস্ত্রের ঘাটতি পূরণ না হয় আমরা বাধ্য হব— ভয়ার্ত ইঁদুরের মতো এদিকে ওদিক পালিয়ে না যেতে— সেনা প্রত্যাহার করতে অথবা মরতে।’ সাক্ষাৎকারে বলেন প্রিগোজিন।

ওয়াগনার প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বাখমুত থেকে কিছু সেনা নিয়ে প্রত্যাহার করা হতে পারে। কিন্তু যদি এটি করা হয় তাহলে যুদ্ধের অন্যান্য সম্মুখভাবে রাশিয়ার অবস্থানগুলো ভেঙে পড়বে।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে একটি অডিও প্রকাশ করেন ওয়াগনার বস। ওই অডিওতে তিনি অভিযোগ করেন, অস্ত্রের অভাবে নিজের ৯০ সেনাকে হারিয়েছেন তিনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার জানিয়েছে, প্রিগোজিন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছেন, তাকে যেন প্রতিদিনের জন্য ৪ হাজার গোলা দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৮০০ গোলা।

এছাড়া এ সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রিগোজিন বাখমুত থেকে নিজ সেনাদের প্রত্যাহারের যে হুমকি দিয়েছেন, সেটি ইঙ্গিত করছে তিনি আশঙ্কা করছেন, বাখমুতে যদি ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা আক্রমণ চালায় তাহলে রুশ বাহিনী হয়ত টিকতে পারবে না।- সূত্র: আল জাজিরা

নাছরিন/হককথা