আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যেকোনো পরিকল্পনায় দক্ষিণ কোরিয়াকে যুক্ত করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল এ বিষয়ে একটি যুগান্তকারী চুক্তি করেন। এতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র পরমাণুসজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া কোনো ধরনের পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করবে না বলে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউলের সঙ্গে গতকাল বুধবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চুক্তির কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য হোয়াইট হাউজ আমন্ত্রণ জানায়। এই দুই মিত্র রাষ্ট্র ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেছেন। ওয়াশিংটন ঘোষণা নামে চুক্তিটিকে সফরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। বর্ধিত প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য এটিকে একটি ‘অভূতপূর্ব’ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে পারমানবিক অস্ত্রসহ যেকোনো হামলা ঠেকাতে মিত্র দেশকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক নৌপথ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে রাশিয়া

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া রেকর্ডসংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। তারা প্রতিবেশী দেশে যেকোনো সময় পরমানু হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমানবিক অস্ত্র নিয়ে এমন ঘোষণা দিল দক্ষিণ কোরিয়া। গত মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘ওয়াশিংটন ঘোষণা’ হলো বহু মাস ধরে আলোচনার ধারাবাহিক পদক্ষেপের ফলাফল এবং এটি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছিলেন, চুক্তির অধীনে সিউল ‘তার অ-পারমাণবিক অবস্থা বজায় রাখবে এবং অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অবস্থানের সমস্ত শর্ত মেনে চলবে’। ১৯৭৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়া অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি অনুমোদন করেছিল। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, দেশ দুটি যুক্তরাষ্ট্র-রিপাবলিক অব কোরিয়া বা দক্ষিণ কোরিয়া (আরওকে) নিউক্লিয়ার কনসালটেটিভ গ্রুপ (এনসিজি) প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি ‘নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ প্রক্রিয়া যা পারমাণবিক ও কৌশলগত পরিকল্পনার বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবে এবং আমাদের রিপাবলিক অফ কোরিয়ার মিত্রদেরকে আমরা কীভাবে বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলার পরিকল্পনা সম্পর্কে চিন্তা করা যায় সে সম্পর্কে আরও আলোকপাত করা হবে।’ সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী / হককথা