‘আগামী প্রজন্মকে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব জানাতে হবে’

- প্রকাশের সময় : ০১:৩৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ৭৭ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আমাদের জাতীয় জীবনে ১৭ এপ্রিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই আগামী প্রজন্মকে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব জানাতে হবে। তিনি বলেন, বাঙালি গর্বিত জাতি। যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৬ এর অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহিদুল ইসলাম পিন্টু এবং পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। স্পিকার বলেন, আমাদের স্বাধীনতা কারও দানে পাওয়া নয়। তাই এই দেশের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও আনুগত্য বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সঠিক ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়াই হবে মুজিবনগর দিবস আয়োজনের স্বার্থকতা। এ সময় তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও ডা. এস এ মালেক স্মরণে পীরগঞ্জবাসীর মধ্যে ঈদ উপহার ও উন্নয়ন বার্তার লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
ফিকামলি তত্ত্বের জনক বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুল ওয়াদুদ অনুষ্ঠানটি পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সেন্ট্রাল কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন ইলিয়াস এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান এম এ মান্নান বক্তব্য রাখেন। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সংগঠনটি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, দর্শন ও কর্ম সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। এই পরিষদ সারাদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকার অসহায়, দুঃস্থ মানুষকে সাহায্য ও সেবাসামগ্রী প্রদান করে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের একনিষ্ঠ কর্মী ডা. এস এ মালেক স্মরণে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যদের পীরগঞ্জে আগমণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি পীরগঞ্জ পুরাতন উপজেলা পরিষদ মাঠে উপস্থিত হয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর সকলের জীবনে শান্তি ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় স্পিকারের নিজস্ব তহবিল থেকে পীরগঞ্জবাসীর মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫০০ জনকে শুকনো খাবার, ১ হাজার ৬০০ জনকে শাড়ি ও লুঙ্গি ইত্যাদি ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও স্পিকার পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া, বড় আলমপুর, রায়পুর এবং পীরগঞ্জ ইউনিয়নস্থ উপকারভোগীদের মাঝে ৪৪টি সেলাইমেশিন, ৪০টি স্প্রে মেশিন, ৪০টি হুইলচেয়ার এবং ২০০টি বাইসাইকেলসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার কাবিটা এবং ৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য কাবিখা হিসেবে বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায়, উপজেলা প্রশাসনের সদস্য, স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ঢাকা মেইল
বেলী / হককথা