নিউইয়র্ক ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাইডেন সরে দাঁড়ালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন কে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯৭ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: বিবিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। দিন দিন তার জনসমর্থন কমতির দিকে। বর্তমানে তার জনসমর্থন ৪০ শতাংশের নিচে। এবার যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা নিয়ে এখনো সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। অবশ্য ৮০ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, শিগগিরই তিনি প্রার্থিতার ঘোষণা দেবেন। তবে যাকে নিয়ে এত কথাবার্তা, সেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজ থেকে এখনো কিছু জানাননি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হোক এটা অধিকাংশ নেতাকর্মী চান না। তারা চান- আগামী নির্বাচনে দল থেকে অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। তবে তিনি নির্বাচনে লড়তে চাইলে কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন না। তবে বাইডেন যদি নিজে থেকেই সরে যান, তাহলে কী হবে। এদিকে ইতিমধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির দুজন নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেছেন। এ দুজন ছাড়া আরও কয়েকজন এই কাতারে শামিল হতে পারেন। দেখা যাক, কারা তারা।

ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন। ছবি: বিবিসি

ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন: আত্মোন্নয়নবিষয়ক শিক্ষাগুরু ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন হলেন প্রথম ডেমোক্র্যাট যিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনের লড়তে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন এবং মার্চ মাস থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণাও শুরু করেছেন। সত্তর-বছর বয়সি মিসেস উইলিয়ামসন দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে আন্দোলন করছেন।

রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। ছবি: বিবিসি

রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র: ভ্যাকসিন-বিরোধী আন্দোলনকর্মী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র হোয়াইট হাউসের জন্য লড়াইয়ের জন্য তার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এপ্রিলের পর থেকে প্রচারাভিযান শুরু করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। প্রয়াত যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা। প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল ববি কেনেডির ছেলে। রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বংশের ১২তম সদস্য যিনি রাজনৈতিক পদে নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।

কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি

কমলা হ্যারিস : একজন বয়স্ক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে যিনি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন তিনি হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি একজন সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সিনেটর হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সি কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রথম এশীয়-আমেরিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০২০ সালে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অদৃশ্য বাধার পাঁচিলটি ভেঙে ফেলতে সক্ষম হন।

বার্নি স্যান্ডার্স। ছবি: বিবিসি

বার্নি স্যান্ডার্স : প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ালে ৮১ বছর বয়সি বার্নি স্যান্ডার্সকে মনোনয়ন দেওয়ার যুক্তি অনেকের কাছে অর্থবোধক নাও হতে পারে। ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের এই সিনেটর রাজনীতির মাঠে আছেন অনেক দিন। বেশির ভাগ ভোটারই তাকে বামশক্তির একজন আদর্শ বাহক হিসাবে দেখে থাকেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও স্যান্ডার্স ভোটের সময় ডেমোক্র্যাটদের সাথেই থাকেন।

বেলী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাইডেন সরে দাঁড়ালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন কে

প্রকাশের সময় : ০১:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। দিন দিন তার জনসমর্থন কমতির দিকে। বর্তমানে তার জনসমর্থন ৪০ শতাংশের নিচে। এবার যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা নিয়ে এখনো সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। অবশ্য ৮০ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, শিগগিরই তিনি প্রার্থিতার ঘোষণা দেবেন। তবে যাকে নিয়ে এত কথাবার্তা, সেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজ থেকে এখনো কিছু জানাননি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হোক এটা অধিকাংশ নেতাকর্মী চান না। তারা চান- আগামী নির্বাচনে দল থেকে অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। তবে তিনি নির্বাচনে লড়তে চাইলে কেউ তাকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন না। তবে বাইডেন যদি নিজে থেকেই সরে যান, তাহলে কী হবে। এদিকে ইতিমধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির দুজন নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেছেন। এ দুজন ছাড়া আরও কয়েকজন এই কাতারে শামিল হতে পারেন। দেখা যাক, কারা তারা।

ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন। ছবি: বিবিসি

ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন: আত্মোন্নয়নবিষয়ক শিক্ষাগুরু ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন হলেন প্রথম ডেমোক্র্যাট যিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনের লড়তে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন এবং মার্চ মাস থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণাও শুরু করেছেন। সত্তর-বছর বয়সি মিসেস উইলিয়ামসন দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে আন্দোলন করছেন।

রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র। ছবি: বিবিসি

রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র: ভ্যাকসিন-বিরোধী আন্দোলনকর্মী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র হোয়াইট হাউসের জন্য লড়াইয়ের জন্য তার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এপ্রিলের পর থেকে প্রচারাভিযান শুরু করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। প্রয়াত যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা। প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল ববি কেনেডির ছেলে। রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র বংশের ১২তম সদস্য যিনি রাজনৈতিক পদে নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।

কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি

কমলা হ্যারিস : একজন বয়স্ক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে যিনি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন তিনি হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি একজন সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সিনেটর হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সি কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রথম এশীয়-আমেরিকান ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০২০ সালে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অদৃশ্য বাধার পাঁচিলটি ভেঙে ফেলতে সক্ষম হন।

বার্নি স্যান্ডার্স। ছবি: বিবিসি

বার্নি স্যান্ডার্স : প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ালে ৮১ বছর বয়সি বার্নি স্যান্ডার্সকে মনোনয়ন দেওয়ার যুক্তি অনেকের কাছে অর্থবোধক নাও হতে পারে। ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের এই সিনেটর রাজনীতির মাঠে আছেন অনেক দিন। বেশির ভাগ ভোটারই তাকে বামশক্তির একজন আদর্শ বাহক হিসাবে দেখে থাকেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও স্যান্ডার্স ভোটের সময় ডেমোক্র্যাটদের সাথেই থাকেন।

বেলী / হককথা