সৌদি সফরের আমন্ত্রণ পেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
- প্রকাশের সময় : ০১:০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
- / ৩৯ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সরকারি সফরের জন্য ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির কাছে আমন্ত্রণপত্র এসেছে বলে জানিয়েছে ইরান সরকার। দুই দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে সম্মত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এ খবর জানা গেল। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইরান বলেছে, সৌদি বাদশা সালমান এক চিঠির মাধ্যমে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে সৌদি সরকার এখনো এ ব্যাপারে কিছু বলেনি।
আরোও পড়ুন । আবারও অনাস্থা ভোটের মুখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশিদি এ আমন্ত্রণ সম্পর্কে টুইটারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসি এ আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দুই দেশের সহযোগিতা প্রসারিত করতে ইরানের প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছেন।এ ছাড়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরান ও সৌদি আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং কোথায় বৈঠকটি হতে পারে সে ব্যাপারে তিনটি সম্ভাব্য জায়গার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে তিনি জায়গাগুলো নাম বলেননি এবং কোন সময়ে বৈঠকটি হতে পারে, সে ব্যাপারেও বিস্তারিত কিছু বলেননি। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার বলেছেন, চীনের মধ্যস্থতায় কয়েক দিনের আলোচনার পর দুই দেশের সম্পর্ক অপ্রত্যাশিতভাবে উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। উভয়ই ঘোষণা করেছে যে তারা দুই মাসের মধ্যে পুনরায় দূতাবাস খুলবে এবং বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।
আরোও পড়ুন । ভারতকে লজ্জায় ডুবালো অস্ট্রেলিয়া
শিয়াদের ধর্মগুরু শেখ নিমর আল নিমরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর ২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইরানের বিক্ষোভকারীরা তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা করে। এরপর ওই বছরের জানুয়ারিতে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। এ ঘটনার দীর্ঘ সাত বছর পর গত ১০ মার্চ চীনের মধ্যস্থতায় রাজধানী বেইজিংয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকের পর সৌদি আরব ও ইরান বৈরিতা ভুলে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে শুরু করতে রাজি হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, আলোচনার পর উভয় দেশ দুই মাসের মধ্যে নতুন করে দূতাবাস খুলতে রাজি হয়েছে।
সাথী / হককথা