কোন দিকে যাবে ইউক্রেন যুদ্ধ

- প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৩৬ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে ট্যাংক দিয়ে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য। অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটো জোটের কাছে শুধু ট্যাংক নয়, যুদ্ধবিমানও চাইছেন—তবে এখনো কোনো দেশই তা দেওয়ার স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি। আব্রামস বা লেপার্ডের মতো ট্যাংক এবং এফ-সিক্সটিনের মতো যুদ্ধবিমান দেওয়া হলে তা ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে। অন্যদিকে, রাশিয়াও সহজে রণে ভঙ্গ দেবে—এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই যুদ্ধ অনেক লম্বা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, আধুনিক ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন রাশিয়ার বিরুদ্ধে রণক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে, একই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্ব বান্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকেও এ যুদ্ধে আরো গভীরভাবে জড়িয়ে ফেলবে।
ইউক্রেনে এখন চলছে শীতকাল। মাটি বরফে ঢাকা, স্যাঁতসেঁতে নরম, যা ট্যাংকের মতো ভারী সামরিক যান চলার উপযোগী নয়। কিন্তু মার্চ মাস থেকে ইউরোপে বসন্তকালের শুরু, তখন আবহাওয়া পালটাতে শুরু করবে এবং সে সময়ই রাশিয়া নতুন উদ্যমে তাদের ‘স্প্রিং অফেন্সিভ’ শুরু করবে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এটাই হবে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। রাশিয়া ইতিমধ্যেই তাদের নতুন নিয়োগ করা ৫০ হাজার সৈন্যকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়েছে, আরো প্রায় আড়াই লাখ সৈন্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধের জন্য তৈরি করার কাজ শেষ করে এনেছে। ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক বিজ্ঞানী ও বিশ্লেষক আন্দ্রেই পিওন্তকোভস্কি বিবিসিকে বলেছেন, এ যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয় নির্ভর করবে কত দ্রুতগতিতে ন্যাটো ট্যাংক, বিমান ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে পারে তার ওপর। আধুনিক স্থলযুদ্ধে ট্যাংক এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কারণ এটা শত্রুপক্ষের অবস্থান বা রক্ষণব্যূহ ভেদ করে সামনে এগুতে এবং জায়গা পুনর্দখল করতে বড় ভূমিকা রাখে।
তবে ইউক্রেনের বিমান বহর খুব একটা শক্তিশালী নয়। এগুলো দিয়ে পশ্চিমা ট্যাংক বহরকে কতটা কার্যকরী রাখা যাবে তা বলা কঠিন। সে কারণেই ইউক্রেন আমেরিকান এফ সিক্সটিন এবং সুইডেনের গ্রিপেনের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়া দোনেত্স্ক, লুহানস্ক ও জাপোরিশা লক্ষ্য করে এক নতুন আক্রমণ শুরু করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে যুদ্ধ কোন দিকে যাবে তা অনুমান করা খুবই কঠিন কাজ হয়ে পড়েছে বিশ্লেষকদের পক্ষে। সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক