সেপ্টেম্বর থেকে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা দেয়া শুরু
- প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১১০ বার পঠিত
আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েশিশুদের দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশব্যাপী প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সভায় তিনি একথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের এ টিকা দেয়া হবে।’বর্তমানে নারীদের মধ্যে যারা ক্যানসারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় জরায়ু ক্যানসারের কারনে। আর এই টিকা কার্যক্রম শুরু হলে দেশে জরায়ু ক্যানসারের আক্রান্ত ও মৃত্যু হার অনেকটা কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে দেশের দরিদ্র ১৫ লাখ পরিবারের ৬০ লাখ মানুষের প্রতিজনকে বিনামূল্যে সরকারি ওষুধের বাইরে আরও ৫০ হাজার টাকার ওষুধসহ স্বাস্থ্যসেবা চিকিৎসা সামগ্রী দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিসের মত কঠিন ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল রোগ বাড়ছে। ভেজাল খাদ্য, অনিয়ন্ত্রিত লাইফ স্টাইল, বায়ু দুষণসহ নানা কারণে এই অসংক্রামক রোগগুলিতে দেশের শতকরা ৬৭ ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে।
এই রোগগুলোর চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এজন্য সরকার অসহায়, দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ছয়টি জেলায় এই ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজের আওতায় আনা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।’সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনামূলক মিনি পকেট হেলথ গাইড বই দেয়া হয়েছে বলে জানান।
দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে প্রাথমিকভাবে ৫০০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিদিন আট ঘন্টার পরিবর্তে মাসের ৩০ দিনই ২৪ ঘন্টা সেবা ব্যবস্থা চালুর কাজ চলমান আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অণুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ দৈনিক বাংলা