নিউইয়র্ক ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রাচীনতম কৃষ্ণাঙ্গ স্কুল এখন জাদুঘরে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৯ বার পঠিত

১০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গদের প্রথম বিদ্যালয় ব্র্যা স্কুল আস্ত তুলে জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১০ ফেব্রুয়ারি তোলা। ছবি: সংগৃহীত

তখনও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য ইউরোপের বিভিন্ন রাজা-রাজড়াদের অধীন। এমন একটা সময়ে ভার্জিনিয়া রাজ্যের উইলিয়ামবার্গে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রথম স্কুলটি যাত্রা শুরু করে।

১৭৬০ সালে ব্রিটিশদের প্রতিষ্ঠা করা ব্র্যা স্কুলটা আর নেই। ১০ ফেব্রুয়ারি ছোট্ট স্কুলটি না ভেঙে আস্ত তুলে লম্বা লরিতে করে স্থানীয় একটি জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভার্জিনিয়ার কলোনিয়াল উইলিয়ামবার্গ নামের ওই জাদুঘরে শুধু কালোদের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট জিনিসগুলো রাখা হয়। ব্র্যা স্কুল ল্যাবের পরিচালক মৌরিন এলগারসম্যান লি বলেন, ‘ধর্ম ছিল এই স্কুলে প্রাণ। এখানে বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হতে বটে, কিন্তু তা দাসত্ব মোচনের জন্য নয়। বরং দাসত্বকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়ার জন্য।’

তবে ব্র্যা স্কুলে কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের পাশাপাশি মুক্ত কৃষ্ণাঙ্গ সন্তানরাও পড়াশোনা করত। গত সপ্তাহে ছোট্ট এই স্কুলটি যখন একটি ফ্ল্যাটবেড ট্রাক বা লম্বা উন্মুক্ত লরিতে করে আধা মাইল দূরের কলোনিয়াম উইলিয়ামবার্গ জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সেটিকে বিদায় জানাতে রাস্তার দু’ধারে কয়েক শত মানুষ লাইন ধরে দাঁড়ায়। শ্লথগতিতে এগিয়ে চলা গাড়িটাকে তারা হাত ও মাথা নেড়ে বিদায় জানায়।

স্কুলটাকে জাদুঘরে সরিয়ে নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইতিহাসবিদ ক্লার্ক কিং বলেন, ‘কালোদের স্মৃতিবিজড়ি সব কিছু সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভার্জিনিয়া সরকার। তারই অংশ হিসেবে আমেরিকান বিপ্লব যুগের এই স্কুলটাকে জাদুঘরে সরিয়ে নেওয়া হল। এতে করে যথাযথ স্মৃতি সংরক্ষণ সম্ভব হবে।’

বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভার্জিনিয়ার উইলিয়ামসবার্গ নামের গ্রামটি বিখ্যাত জেমসটাউন থেকে ১০ মাইল দূরে অবস্থিত। ১৬০৭ সালে ইংল্যান্ড এটা প্রতিষ্ঠা করে। কয়েক বছরের মধ্যে এখানে কয়েক ডজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে দাস বানিয়ে আনা হয়। ১৭৬০ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ দানবীর স্কুলটা যখন প্রতিষ্ঠা করেন তখনও উইলিয়ামর্গের প্রায় দুই হাজার বাসিন্দার অধিকাংশ দাস। তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্যই এই স্কুলটা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রাচীনতম কৃষ্ণাঙ্গ স্কুল এখন জাদুঘরে

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তখনও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য ইউরোপের বিভিন্ন রাজা-রাজড়াদের অধীন। এমন একটা সময়ে ভার্জিনিয়া রাজ্যের উইলিয়ামবার্গে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রথম স্কুলটি যাত্রা শুরু করে।

১৭৬০ সালে ব্রিটিশদের প্রতিষ্ঠা করা ব্র্যা স্কুলটা আর নেই। ১০ ফেব্রুয়ারি ছোট্ট স্কুলটি না ভেঙে আস্ত তুলে লম্বা লরিতে করে স্থানীয় একটি জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভার্জিনিয়ার কলোনিয়াল উইলিয়ামবার্গ নামের ওই জাদুঘরে শুধু কালোদের ইতিহাস সংশ্লিষ্ট জিনিসগুলো রাখা হয়। ব্র্যা স্কুল ল্যাবের পরিচালক মৌরিন এলগারসম্যান লি বলেন, ‘ধর্ম ছিল এই স্কুলে প্রাণ। এখানে বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হতে বটে, কিন্তু তা দাসত্ব মোচনের জন্য নয়। বরং দাসত্বকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়ার জন্য।’

তবে ব্র্যা স্কুলে কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের পাশাপাশি মুক্ত কৃষ্ণাঙ্গ সন্তানরাও পড়াশোনা করত। গত সপ্তাহে ছোট্ট এই স্কুলটি যখন একটি ফ্ল্যাটবেড ট্রাক বা লম্বা উন্মুক্ত লরিতে করে আধা মাইল দূরের কলোনিয়াম উইলিয়ামবার্গ জাদুঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সেটিকে বিদায় জানাতে রাস্তার দু’ধারে কয়েক শত মানুষ লাইন ধরে দাঁড়ায়। শ্লথগতিতে এগিয়ে চলা গাড়িটাকে তারা হাত ও মাথা নেড়ে বিদায় জানায়।

স্কুলটাকে জাদুঘরে সরিয়ে নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইতিহাসবিদ ক্লার্ক কিং বলেন, ‘কালোদের স্মৃতিবিজড়ি সব কিছু সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভার্জিনিয়া সরকার। তারই অংশ হিসেবে আমেরিকান বিপ্লব যুগের এই স্কুলটাকে জাদুঘরে সরিয়ে নেওয়া হল। এতে করে যথাযথ স্মৃতি সংরক্ষণ সম্ভব হবে।’

বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভার্জিনিয়ার উইলিয়ামসবার্গ নামের গ্রামটি বিখ্যাত জেমসটাউন থেকে ১০ মাইল দূরে অবস্থিত। ১৬০৭ সালে ইংল্যান্ড এটা প্রতিষ্ঠা করে। কয়েক বছরের মধ্যে এখানে কয়েক ডজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে দাস বানিয়ে আনা হয়। ১৭৬০ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ দানবীর স্কুলটা যখন প্রতিষ্ঠা করেন তখনও উইলিয়ামর্গের প্রায় দুই হাজার বাসিন্দার অধিকাংশ দাস। তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্যই এই স্কুলটা প্রতিষ্ঠা করা হয়। সূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ