নিউইয়র্ক ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সিরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৩ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

দেশের ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যাকে পেনশনের আওতায় আনার জন্য ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩’ জারি করেছে সরকার। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন সংযুক্ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স হতে ৫০ বছর বয়সি সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২৪ জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন এবং তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনায় একটি অথরিটি গঠন করা আবশ্যক। যারা বড় আকারের তহবিল গড়ে তুলতে কাজ করবেন।

তিনি আরও জানান, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কবে থেকে চালু হবে, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামী বাজেটে এ ধরনের ঘোষণা আসতে গেলে অবশ্যই অথরিটি তৈরি করতে হবে। কীভাবে পেনশন তহবিল বিনিয়োগ হবে, সে বিষয়েও আইন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ’অথরিটি ও পেনশনের তহবিল গঠনের জন্য ঋণ নিতে পারবে। আইনের ধারা ১১(২)-এ বলা আছে, পেনশন তহবিলের অর্থ পরিচালনা পর্ষদ সরকারি সিকিউরিটি, কম ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য সিকিউরিটি ও লাভজনক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত গাইড অনুমোদন এবং সময়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে তহবিল ব্যবস্থাপনা করা হবে। এ আইনের আওতায় বিশেষ করে বয়স্ক জনসংখ্যাই উপকৃত হবে। পেনশন স্কিমের আওতাধীন কেউ বেকার হলে বা পক্ষাঘাত, বার্ধক্য বা অন্যান্য কারণে চরম দারিদ্র্যগ্রস্ত হয়ে পড়লে, তারা সহায়তা পাবেন।

আইন অনুসারে, একজন ব্যক্তিকে ৬০ বছর বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন পেতে কমপক্ষে ১০ বছর বিরতিহীনভাবে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে। যদি একজন বয়স্ক ব্যক্তি ৭৫ বছর বয়সের আগে মারা যান, তবে মনোনীত ব্যক্তি অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন পাবেন। তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হবে। আইন অনুযায়ী, একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থাকবে এবং অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও বাকি চার সদস্যকে সরকার নিয়োগ দেবে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই এবং সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপদ অবকাঠামোর আওতায় বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের বাজেটে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি কৌশল প্রণয়ন করা হয়, যা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। সূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সিরা

প্রকাশের সময় : ১০:২৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দেশের ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যাকে পেনশনের আওতায় আনার জন্য ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩’ জারি করেছে সরকার। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন সংযুক্ত করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স হতে ৫০ বছর বয়সি সব বাংলাদেশি নাগরিক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২৪ জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন এবং তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনায় একটি অথরিটি গঠন করা আবশ্যক। যারা বড় আকারের তহবিল গড়ে তুলতে কাজ করবেন।

তিনি আরও জানান, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কবে থেকে চালু হবে, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামী বাজেটে এ ধরনের ঘোষণা আসতে গেলে অবশ্যই অথরিটি তৈরি করতে হবে। কীভাবে পেনশন তহবিল বিনিয়োগ হবে, সে বিষয়েও আইন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ’অথরিটি ও পেনশনের তহবিল গঠনের জন্য ঋণ নিতে পারবে। আইনের ধারা ১১(২)-এ বলা আছে, পেনশন তহবিলের অর্থ পরিচালনা পর্ষদ সরকারি সিকিউরিটি, কম ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য সিকিউরিটি ও লাভজনক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত গাইড অনুমোদন এবং সময়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে তহবিল ব্যবস্থাপনা করা হবে। এ আইনের আওতায় বিশেষ করে বয়স্ক জনসংখ্যাই উপকৃত হবে। পেনশন স্কিমের আওতাধীন কেউ বেকার হলে বা পক্ষাঘাত, বার্ধক্য বা অন্যান্য কারণে চরম দারিদ্র্যগ্রস্ত হয়ে পড়লে, তারা সহায়তা পাবেন।

আইন অনুসারে, একজন ব্যক্তিকে ৬০ বছর বয়স থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন পেতে কমপক্ষে ১০ বছর বিরতিহীনভাবে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে। যদি একজন বয়স্ক ব্যক্তি ৭৫ বছর বয়সের আগে মারা যান, তবে মনোনীত ব্যক্তি অবশিষ্ট সময়ের জন্য পেনশন পাবেন। তবে প্রিমিয়ামের পরিমাণ প্রস্তাবিত আইনের অধীনে একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হবে। আইন অনুযায়ী, একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ থাকবে এবং অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৫ সদস্যের একটি গভর্নিং বডি থাকবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও বাকি চার সদস্যকে সরকার নিয়োগ দেবে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই এবং সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপদ অবকাঠামোর আওতায় বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের বাজেটে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি কৌশল প্রণয়ন করা হয়, যা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। সূত্রঃ প্রতিদিনের বাংলাদেশ