নিউইয়র্ক ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবারও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে মেটা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩১ বার পঠিত

প্রতিকী ছবি

গত বছরের নভেম্বর মাসেই একসঙ্গে চাকরি হারিয়েছিলেন ১১ হাজার কর্মী। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা। এই কারণে সংস্থার একাধিক টিমের বাজেটও বরাদ্দ করা হয়নি। শনিবার পরিস্থিতির সাথে পরিচিত মেটা দুই কর্মচারীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ ব্যাবসায়িক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

১৩শ কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে নিজের বেতন ৯৮ শতাংশ কমানোর ঘোষণা জুমের সিইওর
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই মেটা প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন বিভাগে বাজেট বরাদ্দ ও কর্মী সংখ্য়া নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে চলতি সপ্তাহেই সংস্থার অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেল, নতুন করে আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে মেটা। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ মেটার মালিকানাধীন একাধিক সংস্থার কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এবার কতজন কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

চলতি মাসের শুরুতেই মেটা ঘোষণা করেছে, ২০২৩ সালে সংস্থার ৮৯ থেকে ৯৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। সিইও মার্ক জাকারবার্গও এই বছরকে ‘কর্মক্ষমতার বছর’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই কর্মক্ষমতা বাড়াতেই ফের একবার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে মার্ক জুকারবার্গ সংস্থার ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই অর্থাৎ ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করা হয়েছিল। কোনও নির্দিষ্ট একটি শাখা বা বিভাগে নয়, গোটা সংস্থাজুড়েই ছাঁটাই করা হয়। আপাতত নতুন করে কর্মী নিয়োগও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খরচ কমাতে শুধু কর্মী ছাঁটাই-ই নয়, অফিস বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। সংস্থার কর্মীদের ডেস্ক ভাগাভাগি করে কাজ করতে বলা হয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

এদিকে মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি সংস্থার দাবি, ২০২২ সাল থেকে ছাঁটাইয়ের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে প্রযুক্তিক্ষেত্রে। গত বছর শুধুমাত্র প্রযুক্তিক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৯৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। যা গত বছরের তুলনায় ৬৪৯ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে এই পর্যন্ত মার্কিন ই-কমার্স জায়ন্টি অ্যামাজন ছাঁটাই করছে ১৮ হাজার কর্মীকে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ১১ হাজার কর্মী, মাইক্রোসফট ১০ হাজার কর্মীকে, সেলসফোর্স ৮ হাজার কর্মীকে, এইচপি ৬ হাজার কর্মী, টুইটার ৩ হাজার ৭০০ কর্মী এবং সিগেট ৩ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে।

প্রযুক্তিক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে বিপুল ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-কে দায়ী করছেন। কারন এআই-এর পেছনে বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমেই বাড়াচ্ছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। এতেই টান পড়ছে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কোষাগারে।

অন্যদিকে প্রযুক্তিক্ষেত্রে বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে এআই-এর পেছনে বিনিয়োগ কমানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না কোনও কোম্পানি। এ দিকে সংস্থার আয় বৃদ্ধির নতুন পথও পাওয়া যাচ্ছে না। স্বভাবতই কর্মী ছাঁটাই করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মরিয়া চেষ্টা চলছে। সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে টালমাটাল অর্থনীতির কারণে। সূত্র: রয়টার্স

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আবারও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে মেটা

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গত বছরের নভেম্বর মাসেই একসঙ্গে চাকরি হারিয়েছিলেন ১১ হাজার কর্মী। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা। এই কারণে সংস্থার একাধিক টিমের বাজেটও বরাদ্দ করা হয়নি। শনিবার পরিস্থিতির সাথে পরিচিত মেটা দুই কর্মচারীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ ব্যাবসায়িক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

১৩শ কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে নিজের বেতন ৯৮ শতাংশ কমানোর ঘোষণা জুমের সিইওর
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই মেটা প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন বিভাগে বাজেট বরাদ্দ ও কর্মী সংখ্য়া নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তবে চলতি সপ্তাহেই সংস্থার অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেল, নতুন করে আবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে মেটা। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ মেটার মালিকানাধীন একাধিক সংস্থার কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এবার কতজন কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

চলতি মাসের শুরুতেই মেটা ঘোষণা করেছে, ২০২৩ সালে সংস্থার ৮৯ থেকে ৯৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। সিইও মার্ক জাকারবার্গও এই বছরকে ‘কর্মক্ষমতার বছর’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই কর্মক্ষমতা বাড়াতেই ফের একবার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে মার্ক জুকারবার্গ সংস্থার ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই অর্থাৎ ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করা হয়েছিল। কোনও নির্দিষ্ট একটি শাখা বা বিভাগে নয়, গোটা সংস্থাজুড়েই ছাঁটাই করা হয়। আপাতত নতুন করে কর্মী নিয়োগও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খরচ কমাতে শুধু কর্মী ছাঁটাই-ই নয়, অফিস বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। সংস্থার কর্মীদের ডেস্ক ভাগাভাগি করে কাজ করতে বলা হয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

এদিকে মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি সংস্থার দাবি, ২০২২ সাল থেকে ছাঁটাইয়ের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে প্রযুক্তিক্ষেত্রে। গত বছর শুধুমাত্র প্রযুক্তিক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৯৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। যা গত বছরের তুলনায় ৬৪৯ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে এই পর্যন্ত মার্কিন ই-কমার্স জায়ন্টি অ্যামাজন ছাঁটাই করছে ১৮ হাজার কর্মীকে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ১১ হাজার কর্মী, মাইক্রোসফট ১০ হাজার কর্মীকে, সেলসফোর্স ৮ হাজার কর্মীকে, এইচপি ৬ হাজার কর্মী, টুইটার ৩ হাজার ৭০০ কর্মী এবং সিগেট ৩ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে।

প্রযুক্তিক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে বিপুল ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-কে দায়ী করছেন। কারন এআই-এর পেছনে বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমেই বাড়াচ্ছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। এতেই টান পড়ছে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কোষাগারে।

অন্যদিকে প্রযুক্তিক্ষেত্রে বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে এআই-এর পেছনে বিনিয়োগ কমানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না কোনও কোম্পানি। এ দিকে সংস্থার আয় বৃদ্ধির নতুন পথও পাওয়া যাচ্ছে না। স্বভাবতই কর্মী ছাঁটাই করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মরিয়া চেষ্টা চলছে। সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে টালমাটাল অর্থনীতির কারণে। সূত্র: রয়টার্স