শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। কেপটাউনে মুখোমুখি হবে দুই দল। তবে বিগত দিনের পরিসংখ্যান, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং দলগত শক্তি, কোনো দিক থেকেই সেরা অবস্থানে নেই বাংলাদেশ নারী দল। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাঘিনীরা তেমন শক্ত প্রতিপক্ষও না। দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে দেখছেন নিজ দলকে। উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে নিগারের বক্তব্যে স্পষ্ট যে ঘাটতি ছাপিয়ে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় রয়েছেন তারা।

এবার পঞ্চমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে দেশের নারী দল। আগের চার আসরে কখনোই পেরোতে পারেনি গ্রুপ পর্বের বাধা এবং সবমিলে ১৭ ম্যাচে জয় মোটে ২টি! তাই এ যাত্রায় বেশ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় নারী দলকে পাঠায় বিসিবি। কেপটাউনে ছয় দিনের অনুশীলন ক্যাম্প শেষে আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে তিন প্রস্তুতি ম্যাচের সবকটি হারে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস শিবিরে নেই কোনো হার্ড-হিটার বা ফিনিশার।

আজ ‘এ’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়া নিজেদের কমতিগুলো তুলে ধরেন নিগার, আমরা এখানে আগে এসেছি উইকেট আর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে খেলা মূল ম্যাচের আগে আমাদের ঘাটতিগুলো দেখাতে সাহায্য করেছে। আমি তিনটা বিশ্বকাপ খেলেছি, এখনও একটা জয়ের দেখা পাইনি। আমার লক্ষ্য, এবার যেন জয়খরা ঘুচাতে পারি।

তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের বিশ্বাস, দল হিসেবে খেলতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব, জিততে হলে আমাদের দল হিসেবে খেলতে হবে। আমাদের পাওয়ার হিটার নেই, অন্য দলগুলোর মতো ভালো ফিনিশার নেই। দল হিসেবে যদি খেলতে পারি, ভালো কিছু হবে। বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে পারলে জিততে পারব। তাই তিন বিভাগে সেরাটা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ক্রিকেট খুব আনপ্রেডিক্টেবল, আপনি এখন কিছু বলতে পারবেন না এটা নিয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে নিগার আরও বলেন, আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি। এখন শুধু শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ভাবছি, এটা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে। তবে আমরাও ভালো দল। নির্দিষ্ট দিন গুরুত্বপূর্ণ, যে ওই দিন ভালো খেলবে, দল হিসেবে খেলবে, দিনশেষে ফল আসবে। সূত্রঃ সাম্প্রতিক দেশকাল