নিউইয়র্ক ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৪-১ গোলের জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে রিয়াল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪০ বার পঠিত

মিশরের ক্লাব আল আহলি’র সঙ্গে বড় জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৪-১ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। মাদ্রিদের হয়ে গোল করেছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, ফেদে ভালভেরদে, রদ্রিগো ও সের্হিও আরিবাস। অবশ্য লুকা মদ্রিচ মাঝে একটি পেনাল্টি মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রিয়াল খেলবে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে; যারা আগের দিন প্রথম সেমি-ফাইনালে ৩-২ গোলে হারায় লাতিন আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন ফ্লামেঙ্গোকে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতে ফলাফলের সঙ্গে পুরো ম্যাচের চিত্র মেলানো যাবে না। ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ব্যবধান ছিল ২-১। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে রিয়ালের স্কোরে যুক্ত হয় আরও দুটি গোল। অবশ্য এই ম্যাচে চোটের কারণে বাইরে ছিল রিয়ালের নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমাসহ সাত জন। অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল নিয়ে খেলতে নেমে রিয়াল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছিল না।

ম্যাচের ২৮তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস। স্বদেশি রদ্রিগোর পাসে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে কোনাকুনি শট নেন। তবে শট লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। দুই মিনিট পরেই বাম দিকের টাচলাইনের কাছে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো। সেখানে আল আহলি’র ডিফেন্ডারের বাধা ডিঙ্গিয়ে খাটো করে নেওয়া শট গোল পোস্টের বাইরের দিকে গিয়ে লাগে।

পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণ চালায় আল আহলি। হুসেইন এল শাহাতের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। বিরতির আগে আল আহলির এক ডিফেন্ডারের ব্যাক-পাসে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নেন ভিনিসিউস। বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। মদ্রিচের পাস ধরে বক্সে ঢুকে রদ্রিগোর নেওয়া শট শুরুতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। আলগা বল পেয়ে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ভালভেরদে। ৬৫তম মিনিটে আলি মালউলের সফল স্পট-কিকে ব্যবধান কমায় আল আহলি। তাদের মিডফিল্ডার এল শাহাতকে রিয়ালের এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

৭৯তম মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল আল আহলি। কর্নারে তাহের মোহামেদের হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন লুনিন। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে মদ্রিচের স্পট-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ভিনিসিউস বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

যোগ করা আট মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় মিনিটে আল আহলির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ করে দেন রদ্রিগো। দানি সেবাইয়োসের দারুণ ব্যাক-হিল ফ্লিকে বল পেয়ে গোকরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। শেষ মিনিটে ভিনিসিউসের বদলি নেমেই গোলের দেখা পান ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আরিবাস। সবমিলিয়ে বড় জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্লাব বিশ্বকাপের রেকর্ড চার বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৪-১ গোলের জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে রিয়াল

প্রকাশের সময় : ১১:৪০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মিশরের ক্লাব আল আহলি’র সঙ্গে বড় জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ৪-১ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। মাদ্রিদের হয়ে গোল করেছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, ফেদে ভালভেরদে, রদ্রিগো ও সের্হিও আরিবাস। অবশ্য লুকা মদ্রিচ মাঝে একটি পেনাল্টি মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রিয়াল খেলবে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে; যারা আগের দিন প্রথম সেমি-ফাইনালে ৩-২ গোলে হারায় লাতিন আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন ফ্লামেঙ্গোকে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটিতে ফলাফলের সঙ্গে পুরো ম্যাচের চিত্র মেলানো যাবে না। ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ব্যবধান ছিল ২-১। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে রিয়ালের স্কোরে যুক্ত হয় আরও দুটি গোল। অবশ্য এই ম্যাচে চোটের কারণে বাইরে ছিল রিয়ালের নিয়মিত গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমাসহ সাত জন। অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দল নিয়ে খেলতে নেমে রিয়াল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছিল না।

ম্যাচের ২৮তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস। স্বদেশি রদ্রিগোর পাসে ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়ে কোনাকুনি শট নেন। তবে শট লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। দুই মিনিট পরেই বাম দিকের টাচলাইনের কাছে প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো। সেখানে আল আহলি’র ডিফেন্ডারের বাধা ডিঙ্গিয়ে খাটো করে নেওয়া শট গোল পোস্টের বাইরের দিকে গিয়ে লাগে।

পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণ চালায় আল আহলি। হুসেইন এল শাহাতের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। বিরতির আগে আল আহলির এক ডিফেন্ডারের ব্যাক-পাসে দেওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নেন ভিনিসিউস। বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। মদ্রিচের পাস ধরে বক্সে ঢুকে রদ্রিগোর নেওয়া শট শুরুতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। আলগা বল পেয়ে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার ভালভেরদে। ৬৫তম মিনিটে আলি মালউলের সফল স্পট-কিকে ব্যবধান কমায় আল আহলি। তাদের মিডফিল্ডার এল শাহাতকে রিয়ালের এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

৭৯তম মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল আল আহলি। কর্নারে তাহের মোহামেদের হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন লুনিন। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে মদ্রিচের স্পট-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ভিনিসিউস বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।

যোগ করা আট মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় মিনিটে আল আহলির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রায় শেষ করে দেন রদ্রিগো। দানি সেবাইয়োসের দারুণ ব্যাক-হিল ফ্লিকে বল পেয়ে গোকরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। শেষ মিনিটে ভিনিসিউসের বদলি নেমেই গোলের দেখা পান ২১ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আরিবাস। সবমিলিয়ে বড় জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্লাব বিশ্বকাপের রেকর্ড চার বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন