নিউইয়র্ক ০৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এবার ইয়াসমিন হয়ে পর্দায় আসছেন মিম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২৭ বার পঠিত

গত বছর ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমা দিয়ে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। এরপর থেকেই বেছে বেছে কাজ হাতে নিচ্ছেন। এবার তাকে দেখা যাবে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রে। সিনেমার নাম ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’। এতে ইয়াসমিন চরিত্রে অভিনয় করবেন মিম। সম্প্রতি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, ‘এখন সব ধরনের চিত্রনাট্যে কাজ করছি না। একটু চিন্তাভাবনা করে ছবির কাজ হাতে নিচ্ছি। এই ছবি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে ছয় মাস ধরে কথা হচ্ছিল। সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পটি যখন পড়ি, কেঁদে ফেলেছিলাম আমি।’

বাস্তবে ইয়াসমিনের বয়স ছিল ১৩ বছর। তাই এই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে ওজন কমাতে হবে মিমের। সেজন্য নিজেকে প্রস্তুতের পর এপ্রিল থেকে ছবির শুটিং শুরু করবেন তিনি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সুমন ধর।

সুমন ধর বলেন, ‘ইয়াসমিনের পরিবারের কাছ থেকে গল্পটির অনুমতি নিতে প্রায় দুই বছর লেগেছে। প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না। সিনেমার মাধ্যমে ইয়াসমিন বেঁচে থাকবে, বিষয়টি বোঝানোর পর অনুমতি দেন তার মা। পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে চিত্রনাট্যের কাজ শুরু করেছি।’

পরিচালক আরো জানান, গল্পের প্রেক্ষাপট দিনাজপুরে ছবিটির ৫০ শতাংশ শুটিং হবে। বাকি কাজ ক্রোমা ও সেট বানিয়ে ঢাকায় শেষ করা হবে।

এদিকে মিম এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। সেখানে জিতের বিপরীতে ‘মানুষ’ সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। সেখান থেকেই ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’ ছবির প্রস্তুতি নেবেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাসে করে দিনাজপুরের দশমাইল মোড় এলাকায় নামেন ইয়াসমিন আক্তার নামের এক কিশোরী। তার বয়স ছিল আনুমানিক ১৬ বছর। দশমাইল মোড় এলাকায় একটি পানের দোকানের সামনে তিনি অপেক্ষা করছিলেন দিনাজপুরগামী বাসের জন্য। সে সময় টহল পুলিশের একটি ভ্যান আসে এবং একপ্রকার জোর করেই তাকে দিনাজপুরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে কিশোরীটির মৃতদেহ পাওয়া যায় গোবিন্দপুর নামক জায়গায়।

ওই ঘটনায় দিনাজপুরের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলন গড়ে তোলে। সেই আন্দোলনে আবার পুলিশ গুলি চালায়। সেসময় নিহত হয় ৭ জন মানুষ, আহত দুই শতাধিক। এর ফলে প্রতিবাদের ফুলকি ছড়িয়ে যায় গোটা দেশে।

সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এবার ইয়াসমিন হয়ে পর্দায় আসছেন মিম

প্রকাশের সময় : ০১:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গত বছর ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমা দিয়ে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। এরপর থেকেই বেছে বেছে কাজ হাতে নিচ্ছেন। এবার তাকে দেখা যাবে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রে। সিনেমার নাম ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’। এতে ইয়াসমিন চরিত্রে অভিনয় করবেন মিম। সম্প্রতি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, ‘এখন সব ধরনের চিত্রনাট্যে কাজ করছি না। একটু চিন্তাভাবনা করে ছবির কাজ হাতে নিচ্ছি। এই ছবি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে ছয় মাস ধরে কথা হচ্ছিল। সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পটি যখন পড়ি, কেঁদে ফেলেছিলাম আমি।’

বাস্তবে ইয়াসমিনের বয়স ছিল ১৩ বছর। তাই এই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে ওজন কমাতে হবে মিমের। সেজন্য নিজেকে প্রস্তুতের পর এপ্রিল থেকে ছবির শুটিং শুরু করবেন তিনি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সুমন ধর।

সুমন ধর বলেন, ‘ইয়াসমিনের পরিবারের কাছ থেকে গল্পটির অনুমতি নিতে প্রায় দুই বছর লেগেছে। প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না। সিনেমার মাধ্যমে ইয়াসমিন বেঁচে থাকবে, বিষয়টি বোঝানোর পর অনুমতি দেন তার মা। পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে চিত্রনাট্যের কাজ শুরু করেছি।’

পরিচালক আরো জানান, গল্পের প্রেক্ষাপট দিনাজপুরে ছবিটির ৫০ শতাংশ শুটিং হবে। বাকি কাজ ক্রোমা ও সেট বানিয়ে ঢাকায় শেষ করা হবে।

এদিকে মিম এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। সেখানে জিতের বিপরীতে ‘মানুষ’ সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। সেখান থেকেই ‘আমি ইয়াসমিন বলছি’ ছবির প্রস্তুতি নেবেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাসে করে দিনাজপুরের দশমাইল মোড় এলাকায় নামেন ইয়াসমিন আক্তার নামের এক কিশোরী। তার বয়স ছিল আনুমানিক ১৬ বছর। দশমাইল মোড় এলাকায় একটি পানের দোকানের সামনে তিনি অপেক্ষা করছিলেন দিনাজপুরগামী বাসের জন্য। সে সময় টহল পুলিশের একটি ভ্যান আসে এবং একপ্রকার জোর করেই তাকে দিনাজপুরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে কিশোরীটির মৃতদেহ পাওয়া যায় গোবিন্দপুর নামক জায়গায়।

ওই ঘটনায় দিনাজপুরের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলন গড়ে তোলে। সেই আন্দোলনে আবার পুলিশ গুলি চালায়। সেসময় নিহত হয় ৭ জন মানুষ, আহত দুই শতাধিক। এর ফলে প্রতিবাদের ফুলকি ছড়িয়ে যায় গোটা দেশে।

সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব