নিউইয়র্ক ০৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাস্তায় যত্রতত্র, দেয়ালে মূত্রত্যাগ? অভিনব পদক্ষেপ নিলো কর্তৃপক্ষ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫২ বার পঠিত

রাস্তায় যত্রতত্র জনসাধারণের প্রস্রাবের অভ্যাসটিকে বদলাতে লন্ডনের সোহো শহর কর্তৃপক্ষ এক অভিনব পন্থা নিয়েছে। নিউটনের ‘থার্ড ল’ -এর মতো এবার ঢিল মারলে খেতে হবে পাটকেল। কর্তৃপক্ষ লোকালয়ের দেয়ালগুলিতে তথাকথিত প্রস্রাব-বিরোধী পেইন্ট প্রয়োগ করছে। বর্ণহীন এই রং একেবারে স্বচ্ছ। তাই দেওয়ালে লাগালেও বোঝার উপায় নেই। এটি জল-প্রতিরোধী। কাজেই এর উপর মূত্র ত্যাগ করলে তা আপনা থেকেই ছিটকে এসে পড়বে উলটোদিকে। এর নাম ‘অ্যান্টি পি-পেইন্ট’।

ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের মতে, সোহোর প্রায় এক ডজন ক্লাব, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার এবং অন্যান্য বিনোদনের স্থানগুলির পাশাপাশি বাসস্থানগুলিতেও এই বিশেষ স্প্রে-অন রাসায়নিক পেইন্ট করা হচ্ছে। সোহো শহরের বেশ কিছু বাসিন্দা পড়েছিলেন বেজায় সমস্যায়। শহরে প্রায় ৩ হাজার মানুষের বাস।

এই এলাকায় প্রচুর রেস্তোরাঁ, বার, থিয়েটার এবং বিনোদনের নানা বন্দোবস্ত থাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয় রোজ। রাতের দিকে ভিড় আরো বাড়ে । আর রোজ সকালে উঠে বাসিন্দারা বাড়ির দেয়াল নোংরা অবস্থায় দেখতে পান । প্রথমে পোস্টার লাগিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দিনের পর দিন এই জিনিস সহ্য করতে করতে অবশেষে ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ জানান তারা। কর্তৃপক্ষ এখন বাড়ির দেয়ালগুলিতে স্প্রে করে লিখে দিয়েছে “এই দেয়ালটি প্রস্রাব করার জায়গা নয়।”

নিউজ এজেন্সি এএফপি স্থানীয় কাউন্সিলর আইচা লেসের সাথে কথা বলেছিল যিনি একটি জলের বোতল দিয়ে অদৃশ্য পেইন্টের স্প্ল্যাশ ব্যাক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “এটি খুব কার্যকর’। ‘মিসেস লেস জানান -”রোজ সকালে বাড়ির সদর দরজা খোলার পর মূত্রের দুর্গন্ধ নাকে ভেসে আসা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা এখানকার বাসিন্দারা বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ চাই বেঁচে থাকার জন্য।”

ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “কোভিড -১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে মধ্য লন্ডনে জনসাধারণের প্রস্রাবের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কাউন্সিলের খরচ হচ্ছে বছরে প্রায় ৯৫০ পাউন্ড। জার্মানির দেখে তাই সোহো শহরের কর্তৃপক্ষ প্রস্রাব-বিরোধী পেইন্টের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। সূত্র : এনডিটিভি

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাস্তায় যত্রতত্র, দেয়ালে মূত্রত্যাগ? অভিনব পদক্ষেপ নিলো কর্তৃপক্ষ

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

রাস্তায় যত্রতত্র জনসাধারণের প্রস্রাবের অভ্যাসটিকে বদলাতে লন্ডনের সোহো শহর কর্তৃপক্ষ এক অভিনব পন্থা নিয়েছে। নিউটনের ‘থার্ড ল’ -এর মতো এবার ঢিল মারলে খেতে হবে পাটকেল। কর্তৃপক্ষ লোকালয়ের দেয়ালগুলিতে তথাকথিত প্রস্রাব-বিরোধী পেইন্ট প্রয়োগ করছে। বর্ণহীন এই রং একেবারে স্বচ্ছ। তাই দেওয়ালে লাগালেও বোঝার উপায় নেই। এটি জল-প্রতিরোধী। কাজেই এর উপর মূত্র ত্যাগ করলে তা আপনা থেকেই ছিটকে এসে পড়বে উলটোদিকে। এর নাম ‘অ্যান্টি পি-পেইন্ট’।

ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের মতে, সোহোর প্রায় এক ডজন ক্লাব, রেস্তোরাঁ, থিয়েটার এবং অন্যান্য বিনোদনের স্থানগুলির পাশাপাশি বাসস্থানগুলিতেও এই বিশেষ স্প্রে-অন রাসায়নিক পেইন্ট করা হচ্ছে। সোহো শহরের বেশ কিছু বাসিন্দা পড়েছিলেন বেজায় সমস্যায়। শহরে প্রায় ৩ হাজার মানুষের বাস।

এই এলাকায় প্রচুর রেস্তোরাঁ, বার, থিয়েটার এবং বিনোদনের নানা বন্দোবস্ত থাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয় রোজ। রাতের দিকে ভিড় আরো বাড়ে । আর রোজ সকালে উঠে বাসিন্দারা বাড়ির দেয়াল নোংরা অবস্থায় দেখতে পান । প্রথমে পোস্টার লাগিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দিনের পর দিন এই জিনিস সহ্য করতে করতে অবশেষে ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ জানান তারা। কর্তৃপক্ষ এখন বাড়ির দেয়ালগুলিতে স্প্রে করে লিখে দিয়েছে “এই দেয়ালটি প্রস্রাব করার জায়গা নয়।”

নিউজ এজেন্সি এএফপি স্থানীয় কাউন্সিলর আইচা লেসের সাথে কথা বলেছিল যিনি একটি জলের বোতল দিয়ে অদৃশ্য পেইন্টের স্প্ল্যাশ ব্যাক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “এটি খুব কার্যকর’। ‘মিসেস লেস জানান -”রোজ সকালে বাড়ির সদর দরজা খোলার পর মূত্রের দুর্গন্ধ নাকে ভেসে আসা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা এখানকার বাসিন্দারা বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ চাই বেঁচে থাকার জন্য।”

ওয়েস্টমিনস্টার সিটি কাউন্সিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “কোভিড -১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে মধ্য লন্ডনে জনসাধারণের প্রস্রাবের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কাউন্সিলের খরচ হচ্ছে বছরে প্রায় ৯৫০ পাউন্ড। জার্মানির দেখে তাই সোহো শহরের কর্তৃপক্ষ প্রস্রাব-বিরোধী পেইন্টের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। সূত্র : এনডিটিভি