নিউইয়র্ক ০৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঢাকায় দরিদ্রদের সমস্যাও প্রকট, ব্যয় বেড়েছে ১১.০৮ শতাংশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬৬ বার পঠিত

দ্যকনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জানিয়েছে, ২০২২ সালে রাজধানীতে (ঢাকা) জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রায় ১৭টি পণ্য জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য তালিকা ও জীবনযাত্রায় মাছ-মাংসের চাহিদা কমে গেছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব এসব তথ্য জানায়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির ক্যাবের পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে রাজধানীতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ড. কবির ফলাফলটি প্রস্তুত করেছেন, যা ঢাকার ১১টি বাজার (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন) থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

দৈনিক মূল্য পর্যবেক্ষণ করে ১৪১টি খাদ্য সামগ্রী, ৪৯টি অ-খাদ্য সামগ্রী এবং ২৫টি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করে ফলাফল প্রকাশ করেছে। চাল, আটা, ডাল, বেকারি পণ্য, চিনি, মাছ, ডিম, দেশীয় মুরগি, ভোজ্য তেল, আমদানি করা ফল, চা/কফি, স্থানীয় এবং আমদানি করা দুধ, ধোয়া এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি আইটেম, এবং পরিবহন খরচ ক্যাব মূল্য পর্যবেক্ষণে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা বিশ্লেষণে ক্যাব নীতিগত সুপারিশ প্রস্তাব করেছে। সুপারিশগুলোতে, সংস্থাটি বলেছে যে সরকার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের ওপর মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য সহায়তা এবং সামাজিক সুরক্ষার অধীনে সহায়তা বাড়িয়েছে। কিন্তু সরকারের উচিত ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ভোক্তাদের রক্ষা করার জন্য শহরাঞ্চলে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলো প্রসারিত করা।

কোভিড-১৯-এর সময় সরকার উল্লেখযোগ্যভাবে ওএমএস কার্যক্রম বাড়িয়েছে, যা এই ভোক্তা গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক মন্দা এবং মুদ্রাস্ফীতিজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে ২০২২ সালে আরও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত উচ্চ চাহিদার বিপরীতে ওএমএসের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহের অপর্যাপ্ততা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ওএমএস খাদ্য পণ্যের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে যথাযথ পর্যবেক্ষণের অভাব রয়েছে।

ক্যাব সুপারিশটি খুচরা পর্যায়ে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোরও বিরোধিতা করে। কারণ গ্যাস ও তেলের বাল্ক মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, মো. কাজী আব্দুল হান্নান প্রমুখ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ঢাকায় দরিদ্রদের সমস্যাও প্রকট, ব্যয় বেড়েছে ১১.০৮ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

দ্যকনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জানিয়েছে, ২০২২ সালে রাজধানীতে (ঢাকা) জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রায় ১৭টি পণ্য জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য তালিকা ও জীবনযাত্রায় মাছ-মাংসের চাহিদা কমে গেছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব এসব তথ্য জানায়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির ক্যাবের পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে রাজধানীতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ড. কবির ফলাফলটি প্রস্তুত করেছেন, যা ঢাকার ১১টি বাজার (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন) থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

দৈনিক মূল্য পর্যবেক্ষণ করে ১৪১টি খাদ্য সামগ্রী, ৪৯টি অ-খাদ্য সামগ্রী এবং ২৫টি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করে ফলাফল প্রকাশ করেছে। চাল, আটা, ডাল, বেকারি পণ্য, চিনি, মাছ, ডিম, দেশীয় মুরগি, ভোজ্য তেল, আমদানি করা ফল, চা/কফি, স্থানীয় এবং আমদানি করা দুধ, ধোয়া এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি আইটেম, এবং পরিবহন খরচ ক্যাব মূল্য পর্যবেক্ষণে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা বিশ্লেষণে ক্যাব নীতিগত সুপারিশ প্রস্তাব করেছে। সুপারিশগুলোতে, সংস্থাটি বলেছে যে সরকার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের ওপর মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য সহায়তা এবং সামাজিক সুরক্ষার অধীনে সহায়তা বাড়িয়েছে। কিন্তু সরকারের উচিত ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ভোক্তাদের রক্ষা করার জন্য শহরাঞ্চলে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলো প্রসারিত করা।

কোভিড-১৯-এর সময় সরকার উল্লেখযোগ্যভাবে ওএমএস কার্যক্রম বাড়িয়েছে, যা এই ভোক্তা গোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক মন্দা এবং মুদ্রাস্ফীতিজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে ২০২২ সালে আরও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত উচ্চ চাহিদার বিপরীতে ওএমএসের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহের অপর্যাপ্ততা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ওএমএস খাদ্য পণ্যের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে যথাযথ পর্যবেক্ষণের অভাব রয়েছে।

ক্যাব সুপারিশটি খুচরা পর্যায়ে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোরও বিরোধিতা করে। কারণ গ্যাস ও তেলের বাল্ক মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, মো. কাজী আব্দুল হান্নান প্রমুখ।