নিউইয়র্ক ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

স্বাগত ‘জালালাবাদ ভবন’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৯ বার পঠিত

মাহবুবুর রহমান : নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র জন্য কেনা বাড়ীকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর জন্য সকলের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আসুন, নিজস্ব ভবনে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করি। আমি, মাহবুবুর রহমান, ত্রিশ বছর আগে জালালাবাদের সভাপতি ছিলাম। আমার পরে এক ডজনেরও বেশী কমিটি জালালাবাদের দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন। আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকারে, সভা-সমাবেশে নানাভাবে আশ্বাস দিয়েছি, কেউ কেউ প্রচেষ্টাও নিয়েছি নিজস্ব ভবনের। কিন্তু পারিনি। ‘৯ মণ ঘিও মেলেনি, রাধার নাচও হয়নি’। আমাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।

আমেরিকার ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে ‘নন-প্রফিট’ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ প্রাপ্তি এক দুরূহ ব্যাপার। বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব ভবন কেনার সময় মরহুম এনামুল মালিক বড় অংকের অর্থ কর্জ দিয়েছিলেন। পরে সোসাইটি সে অর্থ পরিশোধ করে। মোহাম্মদ আজিজ সভাপতি ও রানা ফেরদৌস চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন মরহুম মালিকের পাওনার সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করা হয়। জালালাবাদ এসোসিয়েশন একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হওয়ায় এর নামে ঋণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ পৃথক কর্পোরেশন গঠন করে জালালাবাদের জন্য একটি বাড়ী কিনেন যা স্বপ্ন পূরণেন দ্বার খুলে দেয়। এ অবস্থায় যেখানে মইনুল ইসলামকে অভিনন্দন জানানোর কথা সেখানে তাঁকে তিরস্কার আয়োজনের খবর শুনে বিস্মিত হয়েছি। এ যেন ‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোসাই’।

মইনুল ইসলামের স্টেটমেন্ট (নীচে দেয়া আছে ইংরেজীতে) পড়েছি। আমি সন্তুষ্ট এতে। ভালো লোকেশন। বাংলা পত্রিকা ও সাপ্তাহিক নিউইয়র্কের অফিস ছিল এক বøক পরেই। ভবনের আয় ভালো। মর্টগেজ দেয়ার পর হাতে অর্থ থাকবে। এসোসিয়েশনকে ঘরভাড়া দিতে হবে না, এখন যা দেয়া হয় গাঁটের কড়ি খরচ করে। ভবনে সমাজকল্যাণ কাজের সুযোগও রয়েছে। এ ছাড়া ঘরের দাম ইতিমধ্যে অর্ধ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মইনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি ভবনের মালিকানা ও রেসপন্সিবিলিটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। আমি পরামর্শ দেবো, তা গ্রহণে এসোসিয়েশন এখনই পদক্ষেপ নেবেন এবং ভবনে জালালাবাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন।

যারা বিরোধ পছন্দ করেন, আগুনে ঘৃতাহুতি বা উস্কানী দেন, বিবাদ-বিসম্বাদকে জিইয়ে রাখেন- আপনারা তাদের পরিহার করুন। সমঝোতার জন্য চাপ দিন। এতে কমিউনিটির মঙ্গল। আমি জানি, বর্তমান সভাপতি বদরুল খান একজন ত্যাগী সাহসী নেতা। আশা করবো, সমঝোতার পথে তিনি সবার আগে থাকবেন এবং নেতৃত্ব দেবেন। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জালালাবাদের ঐক্য-সম্প্রীতিকে বাইরের মানুষ সম্মান করে, শ্রদ্ধা জানায়, কোন কোন ক্ষেত্রে সমীহও করে। এই সম্মান নষ্ট হতে দেয়া যায় না। বিভেদ-বিসম্বাদে জালালাবাদকে জর্জরিত করে যারা এর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইবেন জনগণ তাদের কখনো ক্ষমা করবে না। সূত্র : ইউএনএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

স্বাগত ‘জালালাবাদ ভবন’

প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

মাহবুবুর রহমান : নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র জন্য কেনা বাড়ীকে অবিলম্বে স্বীকৃতি ও স্বাগত জানানোর জন্য সকলের প্রতি আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আসুন, নিজস্ব ভবনে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করি। আমি, মাহবুবুর রহমান, ত্রিশ বছর আগে জালালাবাদের সভাপতি ছিলাম। আমার পরে এক ডজনেরও বেশী কমিটি জালালাবাদের দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন। আমরা নির্বাচনী অঙ্গীকারে, সভা-সমাবেশে নানাভাবে আশ্বাস দিয়েছি, কেউ কেউ প্রচেষ্টাও নিয়েছি নিজস্ব ভবনের। কিন্তু পারিনি। ‘৯ মণ ঘিও মেলেনি, রাধার নাচও হয়নি’। আমাদের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।

আমেরিকার ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে ‘নন-প্রফিট’ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ প্রাপ্তি এক দুরূহ ব্যাপার। বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব ভবন কেনার সময় মরহুম এনামুল মালিক বড় অংকের অর্থ কর্জ দিয়েছিলেন। পরে সোসাইটি সে অর্থ পরিশোধ করে। মোহাম্মদ আজিজ সভাপতি ও রানা ফেরদৌস চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন মরহুম মালিকের পাওনার সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করা হয়। জালালাবাদ এসোসিয়েশন একটি নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হওয়ায় এর নামে ঋণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ পৃথক কর্পোরেশন গঠন করে জালালাবাদের জন্য একটি বাড়ী কিনেন যা স্বপ্ন পূরণেন দ্বার খুলে দেয়। এ অবস্থায় যেখানে মইনুল ইসলামকে অভিনন্দন জানানোর কথা সেখানে তাঁকে তিরস্কার আয়োজনের খবর শুনে বিস্মিত হয়েছি। এ যেন ‘ভাত দেবার মুরোদ নেই, কিল মারার গোসাই’।

মইনুল ইসলামের স্টেটমেন্ট (নীচে দেয়া আছে ইংরেজীতে) পড়েছি। আমি সন্তুষ্ট এতে। ভালো লোকেশন। বাংলা পত্রিকা ও সাপ্তাহিক নিউইয়র্কের অফিস ছিল এক বøক পরেই। ভবনের আয় ভালো। মর্টগেজ দেয়ার পর হাতে অর্থ থাকবে। এসোসিয়েশনকে ঘরভাড়া দিতে হবে না, এখন যা দেয়া হয় গাঁটের কড়ি খরচ করে। ভবনে সমাজকল্যাণ কাজের সুযোগও রয়েছে। এ ছাড়া ঘরের দাম ইতিমধ্যে অর্ধ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মইনুল ইসলাম বলেছেন, তিনি ভবনের মালিকানা ও রেসপন্সিবিলিটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। আমি পরামর্শ দেবো, তা গ্রহণে এসোসিয়েশন এখনই পদক্ষেপ নেবেন এবং ভবনে জালালাবাদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন।

যারা বিরোধ পছন্দ করেন, আগুনে ঘৃতাহুতি বা উস্কানী দেন, বিবাদ-বিসম্বাদকে জিইয়ে রাখেন- আপনারা তাদের পরিহার করুন। সমঝোতার জন্য চাপ দিন। এতে কমিউনিটির মঙ্গল। আমি জানি, বর্তমান সভাপতি বদরুল খান একজন ত্যাগী সাহসী নেতা। আশা করবো, সমঝোতার পথে তিনি সবার আগে থাকবেন এবং নেতৃত্ব দেবেন। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, জালালাবাদের ঐক্য-সম্প্রীতিকে বাইরের মানুষ সম্মান করে, শ্রদ্ধা জানায়, কোন কোন ক্ষেত্রে সমীহও করে। এই সম্মান নষ্ট হতে দেয়া যায় না। বিভেদ-বিসম্বাদে জালালাবাদকে জর্জরিত করে যারা এর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইবেন জনগণ তাদের কখনো ক্ষমা করবে না। সূত্র : ইউএনএ