শিশুমানসে নেতিবাচক প্রভাব: ফেসবুক-টিকটক-ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা
- প্রকাশের সময় : ০৫:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
- / ২৬ বার পঠিত
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার অভিযোগ এনে বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটল শহরের কয়েকটি পাবলিক স্কুল। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউবসহ কয়েকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মূল কোম্পানির বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফা বাড়ানোর জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে বেশি সময় আকৃষ্ট রাখতে তরুণদের দুর্বল মস্তিষ্ক কাজে লাগানো হচ্ছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ‘শিশুরা সহজেই আসক্ত হয়ে পড়ে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো পরিকল্পিতভাবে এমন সেবা নিয়ে আসে বলেও অভিযোগ।
মামলায় আরও বলা হয়, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, বিশৃঙ্খল হওয়া, সাইবার বুলিংসহ মানসিক স্বাস্থ্য এবং আচরণগত ব্যাধির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো দায়ী। এই পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশকে কঠিন করে তুলেছে।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফেসবুক জানায়, তরুণদের সুরক্ষায় তারা বেশ কিছু টুলস তৈরি করেছে। ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাসহ তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া নিয়ে মামলা ৭২ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নিষ্পত্তি করতে রাজি হয়েছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে অনুমতি ছাড়াই ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছিল ফেসবুক।
এর আগে, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সঙ্গে আপস করতে ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয় মেটা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির গোপনীয়তা চর্চার বিষয়টি তদন্ত করছিল এফটিসি। একই সঙ্গে ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও (এসইসি) ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল মেটা। ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তার ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে এই ক্ষতিপূরণ দেয় মেটা।