নিউইয়র্ক ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আরবদের সঙ্গে সম্পর্ক পরীক্ষা করবে ইসরায়েল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৫০ বার পঠিত

ইসরায়েলের ইহুদিদের প্রতিনিধিত্ব করেন ইতামার বেন গিভির। ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি এমন একটি দলের নেতা যারা ইহুদি শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। তারপরও ১ ডিসেম্বর তেল আবিবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দিবস উদযাপনে অন্যান্যদের সঙ্গে তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।

কিন্তু এর একমাস পর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ঘটনার জন্য নিন্দা করতে হয়। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বেন-গিভির আল-আকসা মসজিদে সফর করেন। আরব রাষ্ট্রগুলো তার এই সফরেরও নিন্দা জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাত তার এই সফরকে মারাত্মক উসকানিমূলক বলে আখ্যায়িত করেন।

ইসরায়েলের ইতিহাসে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বর্তমান জোট সরকার সবচেয়ে বেশি ডানপন্থি। ফিলিস্তিনিদের ধারণা, পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তবে অতি ডানপন্থিদের নিয়ে সরকার গঠনের পরও আরব রাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক অব্যাহত থাকতে পারে।

গত কয়েক দশক ধরে আর আরব রষ্ট্রগুলোর তীব্র নিন্দা হজম করতে হয় ইসরায়েলকে। ২০২০ সাল পর্যন্ত মাত্র দুইটি আরব রাষ্ট্র মিশর ও জর্ডানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিল ইসরায়েলের।

এরপরে আসে আব্রাহাম চুক্তি। ২০২০ সালে বাহরাইন, মরক্কো, সুদান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হয় ইসরায়েল। আরব দেশগুলো বিশেষ করে আমিরাত যুক্তি দেখায় এই নতুন সম্পর্কের ফলে ইসরায়েলে ওপর তাদের প্রভাব বাড়বে।

নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করতে চান। তিনিই প্রথম ইসরায়েলি নেতা যিনি তার জোটের অংশীদারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পশ্চিমতীরকে সংযুক্ত করতে কাজ করবেন। যদিও এই পশ্চিমতীর একটি ভবিষ্যত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কেন্দ্রস্থল।

এক্ষেত্রে অন্তত প্রকাশ্যে হলেও কিছুটা চাপ প্রয়োগ করতে আগ্রহী আরব নেতারা। এদিকে নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানিয়েছে মিশর ও আমিরাতের শাসক। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন তার প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে বিশ্বাস করেন। তাছাড়া নেতানিয়াহু আশা করছেন তার প্রথম বিদেশ সফর শুরু হতে পারে আবুধাবি দিয়ে।

অন্যদিকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তৈরি করলেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এর আগে সৌদি সফর করে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন। সে সফরে তারা ইরান ইস্যুতে একমত পোষণ করেন।

নেতানিয়াহু মনে করছেন, তার শাসনামলে দ্বিতীয়বারের মতো কূটনৈতিক সফলতা আসবে। গত মাসে এক সক্ষাতকারে সৌদি আরবের সঙ্গে নতুন চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

নতুন করে অনেক আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে যোগ দিতে চায়। কিন্তু সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি হলে সেটা হবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আরবদের সঙ্গে সম্পর্ক পরীক্ষা করবে ইসরায়েল

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

ইসরায়েলের ইহুদিদের প্রতিনিধিত্ব করেন ইতামার বেন গিভির। ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি এমন একটি দলের নেতা যারা ইহুদি শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। তারপরও ১ ডিসেম্বর তেল আবিবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দিবস উদযাপনে অন্যান্যদের সঙ্গে তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।

কিন্তু এর একমাস পর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ঘটনার জন্য নিন্দা করতে হয়। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বেন-গিভির আল-আকসা মসজিদে সফর করেন। আরব রাষ্ট্রগুলো তার এই সফরেরও নিন্দা জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাত তার এই সফরকে মারাত্মক উসকানিমূলক বলে আখ্যায়িত করেন।

ইসরায়েলের ইতিহাসে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বর্তমান জোট সরকার সবচেয়ে বেশি ডানপন্থি। ফিলিস্তিনিদের ধারণা, পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তবে অতি ডানপন্থিদের নিয়ে সরকার গঠনের পরও আরব রাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক অব্যাহত থাকতে পারে।

গত কয়েক দশক ধরে আর আরব রষ্ট্রগুলোর তীব্র নিন্দা হজম করতে হয় ইসরায়েলকে। ২০২০ সাল পর্যন্ত মাত্র দুইটি আরব রাষ্ট্র মিশর ও জর্ডানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিল ইসরায়েলের।

এরপরে আসে আব্রাহাম চুক্তি। ২০২০ সালে বাহরাইন, মরক্কো, সুদান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হয় ইসরায়েল। আরব দেশগুলো বিশেষ করে আমিরাত যুক্তি দেখায় এই নতুন সম্পর্কের ফলে ইসরায়েলে ওপর তাদের প্রভাব বাড়বে।

নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করতে চান। তিনিই প্রথম ইসরায়েলি নেতা যিনি তার জোটের অংশীদারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পশ্চিমতীরকে সংযুক্ত করতে কাজ করবেন। যদিও এই পশ্চিমতীর একটি ভবিষ্যত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কেন্দ্রস্থল।

এক্ষেত্রে অন্তত প্রকাশ্যে হলেও কিছুটা চাপ প্রয়োগ করতে আগ্রহী আরব নেতারা। এদিকে নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানিয়েছে মিশর ও আমিরাতের শাসক। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন তার প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে বিশ্বাস করেন। তাছাড়া নেতানিয়াহু আশা করছেন তার প্রথম বিদেশ সফর শুরু হতে পারে আবুধাবি দিয়ে।

অন্যদিকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তৈরি করলেই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এর আগে সৌদি সফর করে যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন। সে সফরে তারা ইরান ইস্যুতে একমত পোষণ করেন।

নেতানিয়াহু মনে করছেন, তার শাসনামলে দ্বিতীয়বারের মতো কূটনৈতিক সফলতা আসবে। গত মাসে এক সক্ষাতকারে সৌদি আরবের সঙ্গে নতুন চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

নতুন করে অনেক আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে যোগ দিতে চায়। কিন্তু সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি হলে সেটা হবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।