গর্ভাবস্থায় রোজা, জেনে নিন বিস্তারিত
- প্রকাশের সময় : ০৭:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০১৫
- / ১১০৪ বার পঠিত
ঢাকা: গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার বিষয় নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। এর কোনো পরিষ্কার সমাধান নেই। তবে কিছু নিয়ম-কানুন অবশ্যই রয়েছে। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। পরে এই রোজাগুলো আদায় করে নিতে পারেন। অথবা পরে গরিব-এতিমদের খাইয়ে দিতে পারেন যা ইসলামি ব্যবস্থায় ফিদায়াহ হিসেবে পরিচিত।
তবে রোজা রাখার পরও যদি যথেষ্ট শক্ত মনে হয় নিজেকে, তাহলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গর্ভের শিশুর কথাও ভাবতে হবে। ভালো বোধ না করলে এবং শিশুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রোজা এড়িয়ে যেতে পারেন। রোজা রাখার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তা ছাড়া গ্রীষ্ম বা গরমের সময় রোজা রাখা আপনার জন্যে ভালো নাও হতে পারে।
কিছু গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। রোজা রেখে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে কি ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা দেখে নিন।
১. রোজা রেখেও যারা সন্তানের জন্মদান করেছেন তাদের শিশুর স্বাস্থ্যের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
২. রোজা রাখলে শিশুর ওজন শুধু কম হতে পারে। বিশেষ করে রোজা যদি গর্ভের প্রথম তিন মাসের মধ্যে হয়ে থাকে।
৩. এ অবস্থায় নবজাতকের বেড়ে ওঠা প্রথম কিছু দিন কিছুটা কম মনে হতে পারে।
৪. মায়ের দেহের রক্তের রাসায়নিক ব্যালেন্স কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে।
এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজা রাখাতে তেমন কোনো ক্ষতি না দেখা গেলেও অনেকের গর্ভের স্বাস্থ্যকর অবস্থা ব্যহত হতে পারে।
যদি রোজা রাখতেই চান, তাহলে যা করতে হবে-
১. রোজা রাখার আগে আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।
২. গর্ভকালীন অবস্থা দেখে নিন।
৩. দিনের কতক্ষণ রোজা রাখতে হবে তা দেখে নিন।
গোটা দুনিয়ার মুসলমান মেয়েরা কি করেন জেনে নিন। সাধারণত বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ গর্ভবতী মুসলিম নারী রোজা রাখেন। অধিকাংশ ইসলামিক চিন্তাবিদদের মতে, স্বাস্থ্যগত অবস্থা ভালো থাকলেই কেবল রোজা রাখতে পারেন। কিন্তু কোনো সমস্যা হলে রোজা রাখা যাবে না।
রোজা রাখা অবস্থায় যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে-
১. যদি দেহের ওজন কমতে থাকে।
২. যদি রোজা রাখা অবস্থায় খুব তৃষ্ণার্ত থাকেন।
৩. এ অবস্থায় যদি মাথা ব্যথা হয়।
৪. যদি বমি হতে থাকে।
আরামের সঙ্গে রোজা রাখতে যা করবেন-
১. স্ট্রেসপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকুন। সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার পেটপুরে খান।
২. কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত হবেন না।
৩. নিয়মিত বিশ্রাম করুন।
৪. বহু দূর হাঁটবেন না।
ইফতারিকে স্বাস্থ্যকর করতে যা করবেন-
১. জটিল কার্বোহাইড্রেট বেছে নিন। যেমন- ছোলা বা ডালের অন্যান্য খাবার খাবেন।
২. চিনি এবং অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।
৩. যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিনপূর্ণ খাবার খাবেন।
৪. এক থেকে দেড় লিটার পানি পান করবেন।
তাই যদি রোজা রাখতেই চান, তবে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তিনি আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বলতে পারবেন, রোজা রাখতে পারবেন কি না।
সূত্র : ইন্টারনেট