নিউইয়র্ক ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিলেন জর্ডানের বাদশা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৯০ বার পঠিত

জেরুজালেমের পবিত্র স্থাপনাগুলোর ‘রেড লাইন’ লংঘন করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। বুধবার তিনি বলেন, পবিত্র স্থাপনাগুলো ইস্যুতে যে ‘স্ট্যাটাস’ রক্ষা করা হয়, যদি তা পরিবর্তন করে ‘রেড লাইন’ লংঘন করে ইসরাইলের আসন্ন সরকার, তাহলে সংঘাতে জড়াতে প্রস্তুত তিনি। বুধবার তিনি এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে জিউস নিউজ সিন্ডিকেট (জেএনএস)। বাদশা আবদুল্লাহ সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি। সব সময় আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদেরকে দেখতে হবে গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ। তা সত্ত্বেও আমাদের নির্দিষ্ট রেড লাইন বা চূড়ান্ত সীমারেখা আছে। যদি কেউ সেই রেড লাইনগুলো অতিক্রম করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।

১৯৬৭ সাল থেকে আল আকসা মসজিদ সহ ইসরাইলের রাজধানী ওল্ড সিটিতে পবিত্র স্থাপনাগুলোর রক্ষক জর্ডান। এই আল আকসা মসজিদ অবস্থিত টেম্পল মাউন্টে। এই টেম্পল মাউন্ট ইহুদিদের কাছে আবার সবচেয়ে পবিত্র স্থান।

আল আকসা মসজিদে মুসলিমরা বিনা বাধায় প্রবেশ করতে, পরির্দশন করতে এবং নামাজ আদায় করতে পারেন। কিস্তু সেখানে ইহুদিদের প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আছে। তবে সম্প্রতি এই কঠোরতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ আরও সতর্ক করেছেন যে, আরেকটি যুদ্ধ শুরু করতে পারে ফিলিস্তিনিরা। তিনি বলেন, আমাদেরকে পরবর্তী ইন্টিফাদা নিয়ে সতর্ক হতে হবে। যদি সেটা হয়, তাহলে আইনশৃংখলা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। তাতে ইসরাইল বা ফিলিস্তিন কেউই সুবিধা পাবে না। তাই এ অঞ্চলের আমাদের সবারই তা নিয়ে প্রচ- উদ্বেগ আছে। বিশেষ করে ইসরাইলের এই উদ্বেগ বেশি থাকা উচিত। তাই তাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, এমনটা যাতে না ঘটে।

ওদিকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদিনেহ বুধবার বলেছেন, ইসরাইলে নতুন সরকারের নীতি ভয়াবহ উস্কানিমূলক। তিনি সতর্ক করে বলেন, যতক্ষণ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সৃষ্টি না হবে ততদিন এই সহিংসতা চলতেই থাকবে। তিনি এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান কথা রাখতে। কারণ, তারা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিলেন জর্ডানের বাদশা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

জেরুজালেমের পবিত্র স্থাপনাগুলোর ‘রেড লাইন’ লংঘন করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। বুধবার তিনি বলেন, পবিত্র স্থাপনাগুলো ইস্যুতে যে ‘স্ট্যাটাস’ রক্ষা করা হয়, যদি তা পরিবর্তন করে ‘রেড লাইন’ লংঘন করে ইসরাইলের আসন্ন সরকার, তাহলে সংঘাতে জড়াতে প্রস্তুত তিনি। বুধবার তিনি এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে জিউস নিউজ সিন্ডিকেট (জেএনএস)। বাদশা আবদুল্লাহ সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি। সব সময় আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদেরকে দেখতে হবে গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ। তা সত্ত্বেও আমাদের নির্দিষ্ট রেড লাইন বা চূড়ান্ত সীমারেখা আছে। যদি কেউ সেই রেড লাইনগুলো অতিক্রম করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।

১৯৬৭ সাল থেকে আল আকসা মসজিদ সহ ইসরাইলের রাজধানী ওল্ড সিটিতে পবিত্র স্থাপনাগুলোর রক্ষক জর্ডান। এই আল আকসা মসজিদ অবস্থিত টেম্পল মাউন্টে। এই টেম্পল মাউন্ট ইহুদিদের কাছে আবার সবচেয়ে পবিত্র স্থান।

আল আকসা মসজিদে মুসলিমরা বিনা বাধায় প্রবেশ করতে, পরির্দশন করতে এবং নামাজ আদায় করতে পারেন। কিস্তু সেখানে ইহুদিদের প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ আছে। তবে সম্প্রতি এই কঠোরতা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ আরও সতর্ক করেছেন যে, আরেকটি যুদ্ধ শুরু করতে পারে ফিলিস্তিনিরা। তিনি বলেন, আমাদেরকে পরবর্তী ইন্টিফাদা নিয়ে সতর্ক হতে হবে। যদি সেটা হয়, তাহলে আইনশৃংখলা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। তাতে ইসরাইল বা ফিলিস্তিন কেউই সুবিধা পাবে না। তাই এ অঞ্চলের আমাদের সবারই তা নিয়ে প্রচ- উদ্বেগ আছে। বিশেষ করে ইসরাইলের এই উদ্বেগ বেশি থাকা উচিত। তাই তাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, এমনটা যাতে না ঘটে।

ওদিকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদিনেহ বুধবার বলেছেন, ইসরাইলে নতুন সরকারের নীতি ভয়াবহ উস্কানিমূলক। তিনি সতর্ক করে বলেন, যতক্ষণ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সৃষ্টি না হবে ততদিন এই সহিংসতা চলতেই থাকবে। তিনি এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান কথা রাখতে। কারণ, তারা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।