লুঙ্গি এনগিদিকে বাউন্ডারি মেরেই বাধভাঙা উদযাপন ডেভিড ওয়ার্নারের। শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি, আনন্দ কি আর ধরে রাখা যায়! কিন্তু এই বাড়তি উদযাপন করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনলেন। আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেন।

তার আগেই অবশ্য বিরল এক কীর্তি গড়া হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের। শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যাটার তিনি। এতদিন এই একটি আসনে এককভাবে বসে ছিলেন ইংল্যান্ডের জো রুট।

২৫৪ বল খেলে ১৬টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কায় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন ওয়ার্নার। এর আগে ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি পূরণ করতে ১৪৪ বল খেলেন। তার ২০০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে বসে গেছে অস্ট্রেলিয়া।

৩ উইকেটে ৩৮৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। ট্রাভিস হেড ৪৮ আর অ্যালেক্স ক্যারে ৯ রানে অপরাজিত আছেন। স্টিভেন স্মিথ আউট হয়েছেন ৮৫ করে।

টেস্টের প্রথম দিনই ১৮৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কাইল ভেরেন ৫২ আর মার্কো জানসেন ৫৯ না করলে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো সফরকারিদের।

গত প্রায় তিন বছর কোনো সেঞ্চুরি ছিল না ওয়ার্নারের ব্যাটে। সেই ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

এরপর ১৫টি টেস্ট খেললেন। দুটি ইনিংসে ৯৪ এবং ৯৫ ও রয়েছে। কিন্তু তিন অংকের দেখা পাননি। অবশেষে নিজের শততম টেস্টে এসে সেঞ্চুরি খরা কাটালেন তিনি এবং শুধু তাই নয়, ডাবল সেঞ্চুরিও করলেন।

সেঞ্চুরি করার আগেই আরো এক কীর্তি গড়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের এই ওপেনার। ৮ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে তার প্রয়োজন ছিল কেবল ৭৮ রান। এই কীর্তি সেঞ্চুরি পূরণ করার আগেই গড়ে ফেলেন তিনি।

ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বার ২০০ রানের মাইলফলক ছুঁলেন ওয়ার্নার। এর মধ্যে একবার পার হয়ে গেছেন ৩০০ রানের গণ্ডিও। ২০১৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৩৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এছাড়া আরও একবার ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।