নিউইয়র্ক ১১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিশ্বকাপের ‘টপ টেন’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৫৪ বার পঠিত

কাতার বিশ্বকাপ শুরু হয় গত ২০শে নভেম্বর। ১৮ই ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপের ২২তম আসর। ২৮ দিনের টুর্নামেন্টটিতে বিশ্বকে চমকে দিয়ে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে কিছু দল। সেমিফাইনালিস্ট দল মরক্কো, শেষ ষোলো খেলা দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপান- অসামান্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছে কাতারে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও উজ্জ্বল ছিলেন ৩২ দলের অনেক খেলোয়াড়
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (আর্জেন্টিনা)
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে দু’টি শট ফিরিয়ে দেন তিনি। ফাইনালেও টাইব্রেকারে এমি মার্টিনেজের কাছেই হেরেছে ফ্রান্স। দুই টাইব্রেকারে মোট ৩টি সেভ দেন মার্টিনেজ। এছাড়া বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ৭টি দুর্দান্ত সেভ দিয়েছেন তিনি। পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে ফিরিয়েছেন ৩টি শট।

ক্লিন শিট ৩টি। দাপুটে পারফরম্যান্সে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া এমি মার্টিনেজ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পারফর্মার।
ইয়োস্কো গার্দিওল (ক্রোয়েশিয়া)
বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে মুখোশ পরা ডিফেন্ডারের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। শারীরিক গড়নে বেশ পরিণত মনে হলেও আরবি লাইপজিগে খেলা ইয়োস্কো গার্দিওলের বয়স মাত্র ২০ বছর। তরুণ এই ডিফেন্ডার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দ দেখিয়েছেন। কাতার আসরে ক্রোয়েশিয়ার তৃতীয় স্থান অর্জনে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন গার্দিওল। বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেন রক্ষণের এই খেলোয়াড়। সব ম্যাচ মিলিয়ে ৯০ শতাংশ সঠিক পাস দিয়েছেন গার্দিওল। বিশ্বকাপে ৮টি ফাউল করলেও কোনো কার্ড দেখেননি তিনি।
হুলিয়ান আলভারেজ (আর্জেন্টিনা)
আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের নতুন ভরসার নাম হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা এই তারকা বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। কাতার আসরে ৫টি ম্যাচে শুরুর একাদশ থেকে খেলেছেন আলভারেজ। আর্জেন্টিনার প্রথম দুটি ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন। বিশ্বকাপে ৪টি গোল করেন তিনি। গোটা আসরে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১১টি শট নেন আলভারেজ। যার মধ্যে ৮টিই লক্ষ্যে ছিল।
সুফিয়ান আমরাবাত (মরক্কো)
বিশ্বকাপের আগেও সাবেক ওয়াটফোর্ড ডিফেন্ডার নর্ডিন আমরাবাতের ভাই হিসেবে পরিচয় করানো হতো সুফিয়ান আমরাবাতকে। কাতার বিশ্বকাপ এই মরোক্কান মিডফিল্ডারকে নিজের পরিচয় বানানোর সুযোগ দিয়েছে। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাস হয়ে বিশ্বকাপে ছন্দ দেখিয়েছেন সুফিয়ান আমরাবাত। ৭ ম্যাচ খেলে কোনো গোল না পেলেও ফিওরেন্তিনার এই মিডফিল্ডার মরক্কোর মাঝমাঠের কড়া নিরাপত্তা দিয়েছেন। বিশ্বকাপে ৩১৫টি পাসের মধ্যে ২৬৯টি সঠিক দিয়েছেন। ২১টি ট্যাকল করে ১৬টিতে সফলতা পেয়েছেন তিনি। গোটা বিশ্বকাপে ১৪টি ফাউল করে ১টি হলুদ কার্ড দেখেন সুফিয়ান আমরাবাত।
জুড বেলিংহাম (ইংল্যান্ড)
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ইংল্যান্ড। গ্রুপপর্ব থেকে শেষ আটের মিশনে ইংল্যান্ড দলের মাঝমাঠে প্রভাব ফেলেন জুড বেলিংহ্যাম। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে খেলা এই ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেন। ৫টি শট নিয়ে টার্গেটে রাখেন ৩টি শট। বিশ্বকাপে ৯১ শতাংশ সঠিক পাস দিয়েছেন তিনি। ১৭টি ট্যাকল করে ১৬টিতেই সফল হন বেলিংহ্যাম।
কোডি গ্যাকপো (নেদারল্যান্ডস)
বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের অন্যতম সেরা পারফর্মার কোডি গাকপো। ৫ ম্যাচ খেলে ৩টি গোল করেন এই ডাচ উইঙ্গার। বিশ্বকাপে ১১৯টি পাস দিয়ে ৯০টিতে সফলতা পান তিনি। পাঁচ ম্যাচে ৫টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখেন গাকপো।
আঁতোয়ান গ্রিজম্যান (ফ্রান্স)
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই চোটে ছিটকে যান ফ্রান্সের দুই মিডফিল্ডার এনগোলো কান্তে ও পল পগবা। পরীক্ষিত দুই তারকার শূন্যস্থানে পূরণে সচেষ্ট ছিলেন অঁতোয়ান গ্রিজম্যান। মাঝমাঠ সামলে আক্রমণেও দুর্দান্ত ছিলেন রানার্সআপ দল ফ্রান্সের এই তারকা খেলোয়াড়। বিশ্বকাপে গ্রিজম্যান নিজে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৩টি গোল। ১৬টি ট্যাকল করে ১৪টিতে সফলতা পান তিনি। পাস অ্যাকুরিসি ছিল ৮৪ শতাংশ।
জামাল মুসিয়ালা (জার্মানি)
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় জার্র্মানি। দল ব্যর্থ হলেও গ্রুপপর্বে খেলা তিন ম্যাচেই নিজের ছাপ রেখেছেন জামাল মুসিয়ালা। নিজে গোল না পেলেও একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন বায়ার্ন মিউনিখের ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। সঠিক পাস দিয়েছেন ৮২ শতাংশ। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১২টি শট নেন মুসিয়ালা।
ভিনসেন্ট আবু বকর (ক্যামেরুন)
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় ক্যামেরুন। তিন ম্যাচে মাত্র একটিতে পূর্ণ সময় খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ক্যামেরুনের ৩০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ভিনসেন্ট আবু বকরের। দুই ম্যাচ খেলে দুটি গোল করেন তিনি। গ্রুপপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটিতে এই ফুটবলারের গোলেই ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল ক্যামেরুন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেলেসাওদের হারায় তারা। দুই ম্যাচে ১৬৯ মিনিট খেলে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ৬টি শট নেন ভিনসেন্ট আবু বকর।
রিচার্লিসন (ব্রাজিল)
বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো গোলে নজর কেড়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। তার দু’টি গোল ফিফার সেরা দশে মনোনীত হয়েছিল। যার মধ্যে সার্বিয়ার বিপক্ষে করা অ্যাক্রোবেটিক গোলটি পেয়েছে বিশ্বকাপের সেরার তকমা। বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ খেলে ৩ গোল করেন টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা। ট্যাকলে শতভাগ সফলতা পান তিনি। প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে শট নেন মোট ৮টি।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিশ্বকাপের ‘টপ টেন’

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

কাতার বিশ্বকাপ শুরু হয় গত ২০শে নভেম্বর। ১৮ই ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপের ২২তম আসর। ২৮ দিনের টুর্নামেন্টটিতে বিশ্বকে চমকে দিয়ে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে কিছু দল। সেমিফাইনালিস্ট দল মরক্কো, শেষ ষোলো খেলা দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপান- অসামান্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছে কাতারে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও উজ্জ্বল ছিলেন ৩২ দলের অনেক খেলোয়াড়
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (আর্জেন্টিনা)
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে দু’টি শট ফিরিয়ে দেন তিনি। ফাইনালেও টাইব্রেকারে এমি মার্টিনেজের কাছেই হেরেছে ফ্রান্স। দুই টাইব্রেকারে মোট ৩টি সেভ দেন মার্টিনেজ। এছাড়া বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ৭টি দুর্দান্ত সেভ দিয়েছেন তিনি। পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে ফিরিয়েছেন ৩টি শট।

ক্লিন শিট ৩টি। দাপুটে পারফরম্যান্সে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা গোলরক্ষক। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া এমি মার্টিনেজ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পারফর্মার।
ইয়োস্কো গার্দিওল (ক্রোয়েশিয়া)
বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে মুখোশ পরা ডিফেন্ডারের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। শারীরিক গড়নে বেশ পরিণত মনে হলেও আরবি লাইপজিগে খেলা ইয়োস্কো গার্দিওলের বয়স মাত্র ২০ বছর। তরুণ এই ডিফেন্ডার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দ দেখিয়েছেন। কাতার আসরে ক্রোয়েশিয়ার তৃতীয় স্থান অর্জনে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন গার্দিওল। বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেন রক্ষণের এই খেলোয়াড়। সব ম্যাচ মিলিয়ে ৯০ শতাংশ সঠিক পাস দিয়েছেন গার্দিওল। বিশ্বকাপে ৮টি ফাউল করলেও কোনো কার্ড দেখেননি তিনি।
হুলিয়ান আলভারেজ (আর্জেন্টিনা)
আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের নতুন ভরসার নাম হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা এই তারকা বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। কাতার আসরে ৫টি ম্যাচে শুরুর একাদশ থেকে খেলেছেন আলভারেজ। আর্জেন্টিনার প্রথম দুটি ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন। বিশ্বকাপে ৪টি গোল করেন তিনি। গোটা আসরে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১১টি শট নেন আলভারেজ। যার মধ্যে ৮টিই লক্ষ্যে ছিল।
সুফিয়ান আমরাবাত (মরক্কো)
বিশ্বকাপের আগেও সাবেক ওয়াটফোর্ড ডিফেন্ডার নর্ডিন আমরাবাতের ভাই হিসেবে পরিচয় করানো হতো সুফিয়ান আমরাবাতকে। কাতার বিশ্বকাপ এই মরোক্কান মিডফিল্ডারকে নিজের পরিচয় বানানোর সুযোগ দিয়েছে। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাস হয়ে বিশ্বকাপে ছন্দ দেখিয়েছেন সুফিয়ান আমরাবাত। ৭ ম্যাচ খেলে কোনো গোল না পেলেও ফিওরেন্তিনার এই মিডফিল্ডার মরক্কোর মাঝমাঠের কড়া নিরাপত্তা দিয়েছেন। বিশ্বকাপে ৩১৫টি পাসের মধ্যে ২৬৯টি সঠিক দিয়েছেন। ২১টি ট্যাকল করে ১৬টিতে সফলতা পেয়েছেন তিনি। গোটা বিশ্বকাপে ১৪টি ফাউল করে ১টি হলুদ কার্ড দেখেন সুফিয়ান আমরাবাত।
জুড বেলিংহাম (ইংল্যান্ড)
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ইংল্যান্ড। গ্রুপপর্ব থেকে শেষ আটের মিশনে ইংল্যান্ড দলের মাঝমাঠে প্রভাব ফেলেন জুড বেলিংহ্যাম। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে খেলা এই ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেন। ৫টি শট নিয়ে টার্গেটে রাখেন ৩টি শট। বিশ্বকাপে ৯১ শতাংশ সঠিক পাস দিয়েছেন তিনি। ১৭টি ট্যাকল করে ১৬টিতেই সফল হন বেলিংহ্যাম।
কোডি গ্যাকপো (নেদারল্যান্ডস)
বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের অন্যতম সেরা পারফর্মার কোডি গাকপো। ৫ ম্যাচ খেলে ৩টি গোল করেন এই ডাচ উইঙ্গার। বিশ্বকাপে ১১৯টি পাস দিয়ে ৯০টিতে সফলতা পান তিনি। পাঁচ ম্যাচে ৫টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখেন গাকপো।
আঁতোয়ান গ্রিজম্যান (ফ্রান্স)
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই চোটে ছিটকে যান ফ্রান্সের দুই মিডফিল্ডার এনগোলো কান্তে ও পল পগবা। পরীক্ষিত দুই তারকার শূন্যস্থানে পূরণে সচেষ্ট ছিলেন অঁতোয়ান গ্রিজম্যান। মাঝমাঠ সামলে আক্রমণেও দুর্দান্ত ছিলেন রানার্সআপ দল ফ্রান্সের এই তারকা খেলোয়াড়। বিশ্বকাপে গ্রিজম্যান নিজে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৩টি গোল। ১৬টি ট্যাকল করে ১৪টিতে সফলতা পান তিনি। পাস অ্যাকুরিসি ছিল ৮৪ শতাংশ।
জামাল মুসিয়ালা (জার্মানি)
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় জার্র্মানি। দল ব্যর্থ হলেও গ্রুপপর্বে খেলা তিন ম্যাচেই নিজের ছাপ রেখেছেন জামাল মুসিয়ালা। নিজে গোল না পেলেও একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন বায়ার্ন মিউনিখের ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। সঠিক পাস দিয়েছেন ৮২ শতাংশ। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১২টি শট নেন মুসিয়ালা।
ভিনসেন্ট আবু বকর (ক্যামেরুন)
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় ক্যামেরুন। তিন ম্যাচে মাত্র একটিতে পূর্ণ সময় খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ক্যামেরুনের ৩০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার ভিনসেন্ট আবু বকরের। দুই ম্যাচ খেলে দুটি গোল করেন তিনি। গ্রুপপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটিতে এই ফুটবলারের গোলেই ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল ক্যামেরুন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেলেসাওদের হারায় তারা। দুই ম্যাচে ১৬৯ মিনিট খেলে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ৬টি শট নেন ভিনসেন্ট আবু বকর।
রিচার্লিসন (ব্রাজিল)
বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো গোলে নজর কেড়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। তার দু’টি গোল ফিফার সেরা দশে মনোনীত হয়েছিল। যার মধ্যে সার্বিয়ার বিপক্ষে করা অ্যাক্রোবেটিক গোলটি পেয়েছে বিশ্বকাপের সেরার তকমা। বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ খেলে ৩ গোল করেন টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা। ট্যাকলে শতভাগ সফলতা পান তিনি। প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে শট নেন মোট ৮টি।