নিউইয়র্ক ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক থেকে খবর সরিয়ে নেওয়ার হুমকি মেটার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৬৯ বার পঠিত

অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে নতুন এক আইন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক থেকে সব খবর সরিয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে মূল কম্পানি মেটা।

প্রস্তাবিত খসড়াটি আইনে পরিণত হলে ফেসবুকে প্রচারিত সংবাদ থেকে আয়ের অংশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে। ফেসবুকের মালিক মেটা এ কারণে এর বিরোধিতা করছে।

এর আগে অস্ট্রেলিয়াতেও একই ধরনের আইন পাস হয়েছে।

এর জেরে গত বছর দেশটিতে অল্প সময়ের জন্য ফেসবুকে সংবাদ প্রচার বন্ধ থাকে। সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে অস্ট্রেলীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছিল মেটা।
মেটার দাবি, প্রকৃতপক্ষে ধুঁকতে থাকা সংবাদমাধ্যমকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তাঁদের প্ল্যাটফর্ম। লাভ হচ্ছে বলেই প্রকাশকরা নিজেদের কনটেন্ট ফেসবুকে প্রচার করছেন।

জার্নালিজম কম্পিটিশন অ্যান্ড প্রিজারভেশন অ্যাক্ট (জেসিপিএ) নামের ওই খসড়া আইনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয়দলের সমর্থন আছে।

সংবাদমাধ্যমগুলোর ভাষ্য, নিজেদের প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত সংবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে মেটা। করোনা মহামারিকালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ধুঁকতে থাকলেও মোটা অঙ্কের মুনাফা করেছে মেটা।

মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কংগ্রেস এই আইন পাস করলে আমরা প্ল্যাটফর্ম থেকে সংবাদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হব। ’

মেটার দাবি, তাদের আয়ের খুব সামান্য একটি অংশই ফেসবুকে প্রচারিত সংবাদ থেকে আসে।
সূত্র : বিবিসি

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক থেকে খবর সরিয়ে নেওয়ার হুমকি মেটার

প্রকাশের সময় : ১১:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে নতুন এক আইন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক থেকে সব খবর সরিয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে মূল কম্পানি মেটা।

প্রস্তাবিত খসড়াটি আইনে পরিণত হলে ফেসবুকে প্রচারিত সংবাদ থেকে আয়ের অংশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর দর কষাকষির ক্ষমতা বাড়বে। ফেসবুকের মালিক মেটা এ কারণে এর বিরোধিতা করছে।

এর আগে অস্ট্রেলিয়াতেও একই ধরনের আইন পাস হয়েছে।

এর জেরে গত বছর দেশটিতে অল্প সময়ের জন্য ফেসবুকে সংবাদ প্রচার বন্ধ থাকে। সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে অস্ট্রেলীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছিল মেটা।
মেটার দাবি, প্রকৃতপক্ষে ধুঁকতে থাকা সংবাদমাধ্যমকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তাঁদের প্ল্যাটফর্ম। লাভ হচ্ছে বলেই প্রকাশকরা নিজেদের কনটেন্ট ফেসবুকে প্রচার করছেন।

জার্নালিজম কম্পিটিশন অ্যান্ড প্রিজারভেশন অ্যাক্ট (জেসিপিএ) নামের ওই খসড়া আইনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয়দলের সমর্থন আছে।

সংবাদমাধ্যমগুলোর ভাষ্য, নিজেদের প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত সংবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে মেটা। করোনা মহামারিকালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ধুঁকতে থাকলেও মোটা অঙ্কের মুনাফা করেছে মেটা।

মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কংগ্রেস এই আইন পাস করলে আমরা প্ল্যাটফর্ম থেকে সংবাদ সরিয়ে নিতে বাধ্য হব। ’

মেটার দাবি, তাদের আয়ের খুব সামান্য একটি অংশই ফেসবুকে প্রচারিত সংবাদ থেকে আসে।
সূত্র : বিবিসি