নিউইয়র্ক ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গণহত্যার স্বীকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রে উত্থাপিত রেজলুশনে ঐক্য পরিষদের সমর্থন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৮৫ বার পঠিত

বাংলাদেশে গণহত্যা-১৯৭১ এর স্বীকৃতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে উত্থাপিত রেজলুশনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উডসাইডে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক সভায় এ সমর্থন জানানো হয়।

সভায় যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবো এবং ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্না উত্থাপিত সর্বদলীয় রেজল্যুশন এর ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকে এই রেজল্যুশনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানো হয় এবং এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় দুই জনপ্রতিনিধির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

সংগঠনের অন্যতম সভাপতি রণবীর বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য ও যুগ্ন সম্পাদক বিষ্ণু গোপের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় ঐক্য পরিষদ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

‘ইন-পার্সন’ এবং জুম সমন্বিত এই সভায় অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে যোগ দেন। সভায় বাংলাদেশ জেনোসাইড বিলের ওপর আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ গ্রহন করেন মুক্তিযোদ্ধা অবিনাশ আচার্য্য, ডক্টর জিতেন রায়, শিতাংশু গুহ, ডক্টর সব্যসাচী ঘোষ-দস্তিদার, প্রদীপ মালাকার, ভজন সরকার, ডক্টর নিরঞ্জন রায়, অনুকূল অধিকারী, সুশীল সাহা, অজিত চন্দ, শুভ রায়, দিলীপ নাথ, পার্থ তালুকদার, সুশীল সিনহা, বিষ্ণু গোপ, বামেশ রায়, চঞ্চল চক্রবর্তী, নারায়ণ বর্মণ, পারিজাত দাস, রণবীর বড়ুয়া, হরিগোপাল বর্মণ, ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

বক্তারা উক্ত রেজল্যুশনের প্রস্তাবনা-বক্তব্যসমূহকে সমর্থন করে বলেন যে, বস্তুত পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং
তাদের দোসর বাংলাদেশী ইসলামী মৌলবাদী-উগ্রপন্থী মিলিশিয়া আল বদর, আল শামস ও রাজাকার বাহিনী
সামগ্রিকভাবে বাঙালি জাতিকে এবং বিশেষভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগ সমর্থক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বুদ্ধিজীবী, পেশাদার ও ছাত্র-ছাত্রীদের টার্গেট করে গণহত্যা ও ধর্ষণে
লিপ্ত হয়েছিল। একের পর এক বক্তা তাঁদের প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়
নাৎসিরা যেমন ইহুদীদের চিহ্নিত করে রাখত ঠিক তেমনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীও হিন্দুদের বাড়িঘরে হলুদ এইচ
চিহ্ন এঁকে রাখত, যাতে ইচ্ছে মাফিক তাদের অত্যাচার কিংবা হত্যা করা যায়।

সভায় যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির তরফ থেকে কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবো এবং
ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্নার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহন
করা হয়। এছাড়া বিলটি উত্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ (এইচ.আর.সি.বি.এম.)-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।

রেজল্যুশনের ওপর আলোচনা পর্বে শিতাংশু গুহ উল্লেখ করেন যে, বিলটি তথ্যগতভাবে যদিও নির্ভুল, তবে ভাষাগত
যে-সামান্য ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করা দরকার। ত্রুটিটি হচ্ছে, রেজল্যুশনের চতুর্থ পৃষ্ঠায়
আমেরিকান এম্বাসেডর আর্চার ব্লাডের উক্তি “… murdering Bengalis and Hindus,”-কে উদ্ধৃতি হিসেবে উল্লেখ
করলেও, দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এটিকে ‘কোটেশন’ চিহ্ণ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে অপারেশন সার্চ লাইটে “ফাইনাল
সল্যুশনের” জন্য কাদের টার্গেট করা হয়েছিল সেটা সুস্পষ্ট হয়নি। এ বিষয়ে পরিপূরক বক্তব্যে ডক্টর দ্বিজেন
ভট্টাচার্য্য বলেন যে কথাটা এভাবে না লিখে, “..the Pakistani military junta conducted a genocide against
the Bengalis, particularly targeting the religious minority Hindus, leaders and supporters of Awami
League, military and police personnel, intellectuals, and students for slaughtering, and their girls
and women for mass rape.” লিখলে সঙ্গত হবে। একইভাবে, তিনি দ্বিতীয় পৃষ্ঠার শেষ অনুচ্ছেদে “..genocide
against ethnic Bengalis and Hindus..” এর পরিবর্তে “..genocide against the Bengalis in general, and
the minority religious Hindus in particular” লেখার পরামর্শ দেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ নাথ বলেন যে ১৯৭১
সালে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশে যে-হত্যাযজ্ঞ করেছিল সেটা যে সন্দেহাতীতভাবে একটি সুপরিকল্পিত জেনোসাইড তা’ প্রমান করার জন্য রেজল্যুশনে এই সত্য অবশ্যই স্পষ্ট করে ব্যক্ত হওয়া চাই যে বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করা এবং একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করা অপারেশন সার্চ লাইটের লক্ষ্য ছিল।

অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভজন সরকার, অজিত চন্দ, শুভ রায় ও সুশীল সিনহা বলেন যে, কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবো এবং ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্না আনিত রেজল্যুশনটি ইউ. এস. কংগ্রেস ও সেনেটে পাশ হলে সেটা একদিকে যেমন ১৯৭১-এর গণহত্যার ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ তথা গোটা বাঙালি জাতির গভীর ক্ষতকে কিছুটা হলেও প্রশমিত করবে, অন্য দিকে সভ্য দুনিয়া অবগত হবে যে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি মানব জাতির কলঙ্ক যা কিনা সিন্ধি ও বালুচদের ওপর অব্যাহত পাকিস্তানী বর্বরতা অনেকাংশে স্তিমিত করে দিতে পারে।

ঐক্য পরিষদের ডিরেক্টার প্রদীপ মালাকার ও রিণা সাহা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল বাঙালির উদ্দেশে এই
অনুরোধ জানান যে তাঁদের প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ কংগ্রেসম্যানকে এই রেজল্যুশনটি সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করেন এবং সেনেটেও অনুরূপ একটি বিল উত্থাপন করিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে পাশ করানোর উদ্যোগ গ্রহন করেন।

ঐক্য পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি বিষ্ণু গোপ সভায় উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ ইতোমধ্যেই হাউস ও সিনেট সদস্যদের কাছে বাংলাদেশে জেনোসাইড রেজল্যুশনটিকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখার কাজ শুরু করেছে।

সমাপনী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি রণবীর বড়ুয়া বলেন, কংগ্রেসে ২১৮ ভোটে রেজল্যুশনটি বিল হিসেবে পাশ হলে এটাকে সেনেটেও পাশ করাতে হবে; তার পর নিতে হবে। প্রেসিডেন্সিয়াল স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগ। এটা দীর্ঘ পথ-পরিক্রমা, তাতে বাংলাদেশে সরকারের পূর্ণ সম্পৃক্ততা কাম্য।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গণহত্যার স্বীকৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রে উত্থাপিত রেজলুশনে ঐক্য পরিষদের সমর্থন

প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

বাংলাদেশে গণহত্যা-১৯৭১ এর স্বীকৃতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে উত্থাপিত রেজলুশনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের উডসাইডে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক সভায় এ সমর্থন জানানো হয়।

সভায় যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবো এবং ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্না উত্থাপিত সর্বদলীয় রেজল্যুশন এর ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকে এই রেজল্যুশনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানো হয় এবং এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় দুই জনপ্রতিনিধির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

সংগঠনের অন্যতম সভাপতি রণবীর বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য ও যুগ্ন সম্পাদক বিষ্ণু গোপের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় ঐক্য পরিষদ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

‘ইন-পার্সন’ এবং জুম সমন্বিত এই সভায় অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে যোগ দেন। সভায় বাংলাদেশ জেনোসাইড বিলের ওপর আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ গ্রহন করেন মুক্তিযোদ্ধা অবিনাশ আচার্য্য, ডক্টর জিতেন রায়, শিতাংশু গুহ, ডক্টর সব্যসাচী ঘোষ-দস্তিদার, প্রদীপ মালাকার, ভজন সরকার, ডক্টর নিরঞ্জন রায়, অনুকূল অধিকারী, সুশীল সাহা, অজিত চন্দ, শুভ রায়, দিলীপ নাথ, পার্থ তালুকদার, সুশীল সিনহা, বিষ্ণু গোপ, বামেশ রায়, চঞ্চল চক্রবর্তী, নারায়ণ বর্মণ, পারিজাত দাস, রণবীর বড়ুয়া, হরিগোপাল বর্মণ, ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

বক্তারা উক্ত রেজল্যুশনের প্রস্তাবনা-বক্তব্যসমূহকে সমর্থন করে বলেন যে, বস্তুত পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং
তাদের দোসর বাংলাদেশী ইসলামী মৌলবাদী-উগ্রপন্থী মিলিশিয়া আল বদর, আল শামস ও রাজাকার বাহিনী
সামগ্রিকভাবে বাঙালি জাতিকে এবং বিশেষভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগ সমর্থক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বুদ্ধিজীবী, পেশাদার ও ছাত্র-ছাত্রীদের টার্গেট করে গণহত্যা ও ধর্ষণে
লিপ্ত হয়েছিল। একের পর এক বক্তা তাঁদের প্রত্যক্ষদর্শী বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়
নাৎসিরা যেমন ইহুদীদের চিহ্নিত করে রাখত ঠিক তেমনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীও হিন্দুদের বাড়িঘরে হলুদ এইচ
চিহ্ন এঁকে রাখত, যাতে ইচ্ছে মাফিক তাদের অত্যাচার কিংবা হত্যা করা যায়।

সভায় যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির তরফ থেকে কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবো এবং
ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্নার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং ধন্যবাদ জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহন
করা হয়। এছাড়া বিলটি উত্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ (এইচ.আর.সি.বি.এম.)-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।

রেজল্যুশনের ওপর আলোচনা পর্বে শিতাংশু গুহ উল্লেখ করেন যে, বিলটি তথ্যগতভাবে যদিও নির্ভুল, তবে ভাষাগত
যে-সামান্য ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন করা দরকার। ত্রুটিটি হচ্ছে, রেজল্যুশনের চতুর্থ পৃষ্ঠায়
আমেরিকান এম্বাসেডর আর্চার ব্লাডের উক্তি “… murdering Bengalis and Hindus,”-কে উদ্ধৃতি হিসেবে উল্লেখ
করলেও, দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এটিকে ‘কোটেশন’ চিহ্ণ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে অপারেশন সার্চ লাইটে “ফাইনাল
সল্যুশনের” জন্য কাদের টার্গেট করা হয়েছিল সেটা সুস্পষ্ট হয়নি। এ বিষয়ে পরিপূরক বক্তব্যে ডক্টর দ্বিজেন
ভট্টাচার্য্য বলেন যে কথাটা এভাবে না লিখে, “..the Pakistani military junta conducted a genocide against
the Bengalis, particularly targeting the religious minority Hindus, leaders and supporters of Awami
League, military and police personnel, intellectuals, and students for slaughtering, and their girls
and women for mass rape.” লিখলে সঙ্গত হবে। একইভাবে, তিনি দ্বিতীয় পৃষ্ঠার শেষ অনুচ্ছেদে “..genocide
against ethnic Bengalis and Hindus..” এর পরিবর্তে “..genocide against the Bengalis in general, and
the minority religious Hindus in particular” লেখার পরামর্শ দেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ নাথ বলেন যে ১৯৭১
সালে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশে যে-হত্যাযজ্ঞ করেছিল সেটা যে সন্দেহাতীতভাবে একটি সুপরিকল্পিত জেনোসাইড তা’ প্রমান করার জন্য রেজল্যুশনে এই সত্য অবশ্যই স্পষ্ট করে ব্যক্ত হওয়া চাই যে বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করা এবং একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করা অপারেশন সার্চ লাইটের লক্ষ্য ছিল।

অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভজন সরকার, অজিত চন্দ, শুভ রায় ও সুশীল সিনহা বলেন যে, কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবো এবং ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান রো খান্না আনিত রেজল্যুশনটি ইউ. এস. কংগ্রেস ও সেনেটে পাশ হলে সেটা একদিকে যেমন ১৯৭১-এর গণহত্যার ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ তথা গোটা বাঙালি জাতির গভীর ক্ষতকে কিছুটা হলেও প্রশমিত করবে, অন্য দিকে সভ্য দুনিয়া অবগত হবে যে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি মানব জাতির কলঙ্ক যা কিনা সিন্ধি ও বালুচদের ওপর অব্যাহত পাকিস্তানী বর্বরতা অনেকাংশে স্তিমিত করে দিতে পারে।

ঐক্য পরিষদের ডিরেক্টার প্রদীপ মালাকার ও রিণা সাহা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল বাঙালির উদ্দেশে এই
অনুরোধ জানান যে তাঁদের প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ কংগ্রেসম্যানকে এই রেজল্যুশনটি সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করেন এবং সেনেটেও অনুরূপ একটি বিল উত্থাপন করিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে পাশ করানোর উদ্যোগ গ্রহন করেন।

ঐক্য পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি বিষ্ণু গোপ সভায় উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ ইতোমধ্যেই হাউস ও সিনেট সদস্যদের কাছে বাংলাদেশে জেনোসাইড রেজল্যুশনটিকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখার কাজ শুরু করেছে।

সমাপনী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি রণবীর বড়ুয়া বলেন, কংগ্রেসে ২১৮ ভোটে রেজল্যুশনটি বিল হিসেবে পাশ হলে এটাকে সেনেটেও পাশ করাতে হবে; তার পর নিতে হবে। প্রেসিডেন্সিয়াল স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগ। এটা দীর্ঘ পথ-পরিক্রমা, তাতে বাংলাদেশে সরকারের পূর্ণ সম্পৃক্ততা কাম্য।