নিউইয়র্ক ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রুশ বাহিনী খেরসন ছেড়ে গেলেও রয়ে গেছে ক্ষত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৫৯ বার পঠিত

অধিকৃত খেরসন থেকে রাশিয়ার সেনারা চলে যাওয়ার পর শহরটির দখল এখন ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার পরিস্থিতি। রুশ সেনাদের চলে যাওয়াকে নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে কিয়েভ। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরের সবখানে এখনো লড়াইয়ের ক্ষত। পানি নেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট সংযোগও।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অবকাঠামো ধ্বংসের অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ বাহিনী খেরসন ছাড়ার আগে শহরটির যোগাযোগব্যবস্থা, পানি ও বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

নিবার (১২ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার আগে রুশ বাহিনী খেরসনের যোগাযোগ, পানি, তাপ ও বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি করে গেছে। তবে বিশ্বাস করুন, আমরা সবকিছু দ্রুত সামলে নিতে পারব।’

এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ইউনিট খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভিযান শুরুর কিছুদিন পরই খেরসন দখলে নেয় রাশিয়ার সেনারা। শুক্রবার রুশ সেনারা শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পেরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাসিন্দারা শহরটির কেন্দ্রে জাতীয় সংগীত গেয়ে ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেন। এ ছাড়া শহরে ফিরে আসা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রুশ বাহিনী খেরসন ছেড়ে গেলেও রয়ে গেছে ক্ষত

প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

অধিকৃত খেরসন থেকে রাশিয়ার সেনারা চলে যাওয়ার পর শহরটির দখল এখন ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার পরিস্থিতি। রুশ সেনাদের চলে যাওয়াকে নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখছে কিয়েভ। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরের সবখানে এখনো লড়াইয়ের ক্ষত। পানি নেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, এমনকি পাওয়া যাচ্ছে না ইন্টারনেট সংযোগও।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অবকাঠামো ধ্বংসের অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ বাহিনী খেরসন ছাড়ার আগে শহরটির যোগাযোগব্যবস্থা, পানি ও বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

নিবার (১২ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার আগে রুশ বাহিনী খেরসনের যোগাযোগ, পানি, তাপ ও বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি করে গেছে। তবে বিশ্বাস করুন, আমরা সবকিছু দ্রুত সামলে নিতে পারব।’

এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ইউনিট খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভিযান শুরুর কিছুদিন পরই খেরসন দখলে নেয় রাশিয়ার সেনারা। শুক্রবার রুশ সেনারা শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পেরে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাসিন্দারা শহরটির কেন্দ্রে জাতীয় সংগীত গেয়ে ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করেন। এ ছাড়া শহরে ফিরে আসা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকে।