নিউইয়র্ক ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কোভিডে তছরুপ ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৩২ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি : মহামারী কাভিডের সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৬৪ বিলিয়ন ডলারের দূর্নীতি হয়েছে। যা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দূর্নীতি। কোভিডের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার আমেরিকানদের জন্য ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ‘কোভিড-১৯ রিলিফ’ ফান্ড ঘোষণা করে। কংগ্রেসেও তা পাষ হয়। কিন্তু এক শ্রেনীর সুবিথাবাধী আমেরিকান এই সুযোগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দূর্নীতির মাধ্যমে ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার তছরুপ হয়েছে। নিউইয়র্কের বহুল প্রচারিত ইংরেজী দৈনিক ‘নিউইয়র্ক পোস্ট’ সোমবার (২ অক্টোবর) খবরটি প্রকাশ করেছে।
ডেইলী পোষ্টের খবরে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ রিলিফ’ ফান্ড ঘোষণার পর অনেকেই সুযোগের অপব্যাহার করেছে, সুযোগ নিয়েছে। ফলে এই ফান্ডের ৩২৮ বিলিয়ন থেকে ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার দূর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। আন এমপ্লয়মেন্ট ছাড়াও ফুড এবং ফার্ম অনুদান সহ বিভিন্ন খাত থেকে এই দূর্নীতি হয়েছে। যা ফেডারেল ফ্রড এবং এখন তা তদন্ত হচ্ছে। এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখিত দূর্নীতিতে জড়িত ১৫০০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং ৫০০ জন অভিযুক্ত হয়েছে বলে ইউএস লেবার ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাংলাদেশী ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার এই প্রতিনিধিকে জানান, কোভিড-১৯ এর চরম দূর্দিনের সময় ফেডারেল সরকার আমেরিবানদের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করলেও অপ্রিয় হলেও সত্য যে কোন কোন বাংলাদেশী আমেরিকান সহ অনেক আমেরিকান দূর্নীরি আশ্রয় নিয়েছে। আর তখন বিশেষ সময় বিবেচনা করে ইউএস সরকার আবেদন পাওয়া মাত্রই তা মঞ্জুর করেছে। কিন্তু এখন সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে এবং বিপুল দুর্ণীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টে গোজামিল পাওয়া যাবে তাদের অবশ্যই আইনের আওয়ায় আসতে হবে। প্রয়োজনে অর্ত ফেরৎ দিতে হবে। অন্যথায় জেল-জরিমানা গুনতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের আগেভাগেই অভিজ্ঞ ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার বা এটর্নী সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হককথা/টিএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কোভিডে তছরুপ ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার!

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি : মহামারী কাভিডের সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৬৪ বিলিয়ন ডলারের দূর্নীতি হয়েছে। যা আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দূর্নীতি। কোভিডের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার আমেরিকানদের জন্য ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ‘কোভিড-১৯ রিলিফ’ ফান্ড ঘোষণা করে। কংগ্রেসেও তা পাষ হয়। কিন্তু এক শ্রেনীর সুবিথাবাধী আমেরিকান এই সুযোগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দূর্নীতির মাধ্যমে ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার তছরুপ হয়েছে। নিউইয়র্কের বহুল প্রচারিত ইংরেজী দৈনিক ‘নিউইয়র্ক পোস্ট’ সোমবার (২ অক্টোবর) খবরটি প্রকাশ করেছে।
ডেইলী পোষ্টের খবরে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ রিলিফ’ ফান্ড ঘোষণার পর অনেকেই সুযোগের অপব্যাহার করেছে, সুযোগ নিয়েছে। ফলে এই ফান্ডের ৩২৮ বিলিয়ন থেকে ৫৬৪ বিলিয়ন ডলার দূর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। আন এমপ্লয়মেন্ট ছাড়াও ফুড এবং ফার্ম অনুদান সহ বিভিন্ন খাত থেকে এই দূর্নীতি হয়েছে। যা ফেডারেল ফ্রড এবং এখন তা তদন্ত হচ্ছে। এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লেখিত দূর্নীতিতে জড়িত ১৫০০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং ৫০০ জন অভিযুক্ত হয়েছে বলে ইউএস লেবার ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাংলাদেশী ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার এই প্রতিনিধিকে জানান, কোভিড-১৯ এর চরম দূর্দিনের সময় ফেডারেল সরকার আমেরিবানদের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করলেও অপ্রিয় হলেও সত্য যে কোন কোন বাংলাদেশী আমেরিকান সহ অনেক আমেরিকান দূর্নীরি আশ্রয় নিয়েছে। আর তখন বিশেষ সময় বিবেচনা করে ইউএস সরকার আবেদন পাওয়া মাত্রই তা মঞ্জুর করেছে। কিন্তু এখন সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে এবং বিপুল দুর্ণীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টে গোজামিল পাওয়া যাবে তাদের অবশ্যই আইনের আওয়ায় আসতে হবে। প্রয়োজনে অর্ত ফেরৎ দিতে হবে। অন্যথায় জেল-জরিমানা গুনতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের আগেভাগেই অভিজ্ঞ ট্যাক্স প্র্যাকটিশনার বা এটর্নী সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হককথা/টিএ