নিউইয়র্ক ০৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জোরপূর্বক নিখোঁজের প্রমাণ চায় বাংলাদেশ সরকার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৬৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুমবিষয়ক কমিটি (ডব্লিউজিইআইডি) জোরপূর্বক নিখোঁজের বিষয়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। গুমের শিকার পরিবারের সদস্য, সুশীল সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীদের হুমকি, ভয়ভীতি ও তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ না নিতেও সরকারকে বলেছে এ কমিটি। তবে এ বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণসহ অভিযোগ তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় কাউন্সিলের ৫১তম সেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিছু মহলে প্রবণতা রয়েছে যে বাংলাদেশের সব হারিয়ে যাওয়া মানুষকে গুম হিসেবে প্রচার করা। সরকারকে হেয় ও তার ইতিবাচক অর্জনগুলো খাটো করে দেখানোর উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে। এগুলো অনুতাপের বিষয়। এতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ কখনই আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের রীতি থেকে দূরে সরে যায়নি। বাংলাদেশ সবসময়ে ডব্লিউজিইআইডির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। গুম নিয়ে সব তথ্য তাদের দিয়েছে সরকার।

সেশনে ডব্লিউজিইআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম নিয়ে তদন্ত করতে ডব্লিউজিইআইডি ২০১৩ সালের ১২ মার্চ থেকে বাংলাদেশ সফরের জন্য একাধিকবার আগ্রহ জানিয়ে এসেছে। সর্বশেষ অনুরোধ ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডব্লিউজিইআইডি গুম নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছে, তাদের অনেকেই আবার ফেরত এসেছেন। এ থেকে বোঝা যায় গুম নিয়ে তোলা অভিযোগ প্রমাণিত নয়। আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতা নিয়ে সব হারানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সরকারের বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করেছে যে কিছু দুর্বৃত্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে গুমের মতো অপরাধ সংঘটিত করছে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কোনো অপরাধ, অপকর্ম ও সীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে।

ডব্লিউজিইআইডির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, গুমের অভিযোগের ঘটনায় আটজনের বাস্তবসম্মত তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ডব্লিউজিইআইডি এটিকে স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে প্রচেষ্টা বাড়াতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব অনিষ্পন্ন বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে প্রচেষ্টা বাড়াতে বলা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন নবায়ন না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জোরপূর্বক নিখোঁজের প্রমাণ চায় বাংলাদেশ সরকার

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুমবিষয়ক কমিটি (ডব্লিউজিইআইডি) জোরপূর্বক নিখোঁজের বিষয়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। গুমের শিকার পরিবারের সদস্য, সুশীল সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীদের হুমকি, ভয়ভীতি ও তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ না নিতেও সরকারকে বলেছে এ কমিটি। তবে এ বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণসহ অভিযোগ তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার জেনেভায় কাউন্সিলের ৫১তম সেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিছু মহলে প্রবণতা রয়েছে যে বাংলাদেশের সব হারিয়ে যাওয়া মানুষকে গুম হিসেবে প্রচার করা। সরকারকে হেয় ও তার ইতিবাচক অর্জনগুলো খাটো করে দেখানোর উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে। এগুলো অনুতাপের বিষয়। এতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ কখনই আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের রীতি থেকে দূরে সরে যায়নি। বাংলাদেশ সবসময়ে ডব্লিউজিইআইডির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। গুম নিয়ে সব তথ্য তাদের দিয়েছে সরকার।

সেশনে ডব্লিউজিইআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম নিয়ে তদন্ত করতে ডব্লিউজিইআইডি ২০১৩ সালের ১২ মার্চ থেকে বাংলাদেশ সফরের জন্য একাধিকবার আগ্রহ জানিয়ে এসেছে। সর্বশেষ অনুরোধ ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডব্লিউজিইআইডি গুম নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছে, তাদের অনেকেই আবার ফেরত এসেছেন। এ থেকে বোঝা যায় গুম নিয়ে তোলা অভিযোগ প্রমাণিত নয়। আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতা নিয়ে সব হারানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সরকারের বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করেছে যে কিছু দুর্বৃত্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে গুমের মতো অপরাধ সংঘটিত করছে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কোনো অপরাধ, অপকর্ম ও সীমা লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে।

ডব্লিউজিইআইডির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, গুমের অভিযোগের ঘটনায় আটজনের বাস্তবসম্মত তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ডব্লিউজিইআইডি এটিকে স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে প্রচেষ্টা বাড়াতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সব অনিষ্পন্ন বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে প্রচেষ্টা বাড়াতে বলা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন নবায়ন না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

হককথা/এমউএ