নিউইয়র্ক ১২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ভারতে ফিরল চিতা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১১৪ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫২ সালে ভারতে বিলুপ্ত ঘোষিত হয় চিতা। এর ৭০ বছর পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে বিচরণ করতে শুরু করেছে সবচেয়ে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণীটি। খবর বিবিসি।

আজ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতার একটি দল দেশটিতে পৌঁছেছে। বিড়াল প্রজাতির প্রাণীটি মধ্য ভারতের একটি জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেয়ার আগে এক মাসব্যাপী কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।

নামিবিয়ার উইন্ডহোক থেকে বোয়িং ৭৪৭ বিমানে ভারতের গোয়ালিয়রে পৌঁছে চিতাগুলো। আন্তঃমহাদেশীয় এ যাত্রায় তাদের সঙ্গে ছিল বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ, পশুচিকিৎসক ও জীববিজ্ঞানীর একটি দল। গোয়ালিয়র থেকে চিতাগুলোকে হেলিকপ্টারে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে নেয়া হয়। সেখান প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তাদের মুক্ত করে।

এর মাধ্যমে এই প্রথমবার বড় মাংসাশী প্রাণী এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশের বন্য জীবনে ফিরিয়ে আনা হলো। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নমিবিয়া থেকে ২০টি চিতা আনা হচ্ছে ভারতে। ওই অঞ্চলে বিশ্বের মোট ৭ হাজার চিতার এক-তৃতীয়াংশ বাস করে।

নামিবিয়া থেকে আসা প্রথম ব্যাচের চিতার মধ্যে তিনটি পুরুষ ও বাকিরা নারী। ভারতে এক সময় সিংহ ও বাঘের মতো অন্যান্য বড় বিড়াল প্রজাতির সঙ্গে জঙ্গল ভাগাভাগি করলেও ৭০ বছর আগে একদম অদৃশ্য হয়ে যায় চিতা। বিশ্বের দ্রুততম স্থলচর প্রাণীগুলো ঘণ্টায় ৭০ মাইল গতিতে পৌঁছতে সক্ষম।
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিলুপ্তির ৭০ বছর পর ভারতে ফিরল চিতা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫২ সালে ভারতে বিলুপ্ত ঘোষিত হয় চিতা। এর ৭০ বছর পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে বিচরণ করতে শুরু করেছে সবচেয়ে দ্রুতগামী স্থলচর প্রাণীটি। খবর বিবিসি।

আজ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতার একটি দল দেশটিতে পৌঁছেছে। বিড়াল প্রজাতির প্রাণীটি মধ্য ভারতের একটি জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেয়ার আগে এক মাসব্যাপী কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।

নামিবিয়ার উইন্ডহোক থেকে বোয়িং ৭৪৭ বিমানে ভারতের গোয়ালিয়রে পৌঁছে চিতাগুলো। আন্তঃমহাদেশীয় এ যাত্রায় তাদের সঙ্গে ছিল বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ, পশুচিকিৎসক ও জীববিজ্ঞানীর একটি দল। গোয়ালিয়র থেকে চিতাগুলোকে হেলিকপ্টারে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে নেয়া হয়। সেখান প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তাদের মুক্ত করে।

এর মাধ্যমে এই প্রথমবার বড় মাংসাশী প্রাণী এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশের বন্য জীবনে ফিরিয়ে আনা হলো। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নমিবিয়া থেকে ২০টি চিতা আনা হচ্ছে ভারতে। ওই অঞ্চলে বিশ্বের মোট ৭ হাজার চিতার এক-তৃতীয়াংশ বাস করে।

নামিবিয়া থেকে আসা প্রথম ব্যাচের চিতার মধ্যে তিনটি পুরুষ ও বাকিরা নারী। ভারতে এক সময় সিংহ ও বাঘের মতো অন্যান্য বড় বিড়াল প্রজাতির সঙ্গে জঙ্গল ভাগাভাগি করলেও ৭০ বছর আগে একদম অদৃশ্য হয়ে যায় চিতা। বিশ্বের দ্রুততম স্থলচর প্রাণীগুলো ঘণ্টায় ৭০ মাইল গতিতে পৌঁছতে সক্ষম।
হককথা/এমউএ