নিউইয়র্ক ০২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘কোথায় আছেন তারা’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২০:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪৪ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : গুমের শিকার ব্যক্তিদের দুর্দশা বিবেচনায় সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ৩০ আগস্ট পালিত হয় আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষে ‘কোথায় আছেন তারা’ শিরোনামে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সিজিএস জানিয়েছে, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল বাংলাদেশে বলপূর্বক গুমের প্রকৃতি ও ধরণ অনুসন্ধান করে। প্রতিবেদনে ৭১টি মামলার বিবরণ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বলপূর্বক গুমের অভিযোগে অভিযুক্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

সিজিএসের পাবলিক রিলেশন্স কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় দেবনাথের পাঠানো ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে অন্তত ৫২২টি বলপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের শেষে ৭১টি মামলা যোগ হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯৩।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালের ৭১টি ঘটনার মধ্যে ১১ জন ভিকটিম রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী, যা মোট ঘটনার ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তারপরই সবচেয়ে বেশি গুমের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীরা, তারা সংখ্যায় আটজন, যা মোট ঘটনার ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এই ৭১টি ঘটনার মধ্যে ২৩ জন ভিকটিম ফিরে এসেছেন। তবে ১৬ জন ভিকটিম এখনো নিখোঁজ। এই ৭১টি ঘটনার মধ্যে পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, যা মোট ঘটনার ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।

ভৌগোলিকভাবে গুমের ঘটনাগুলো ১৮টি জেলাতে ঘটেছে উল্লেখ করে সিজিএস প্রতিবেদনে জানায়, ৭১টি ঘটনার মধ্যে ২৬টিই ঢাকা জেলায় ঘটেছে। এরপরেই রয়েছে চট্টগ্রাম, যেখানে এমন ঘটনা ঘটেছে আটটি। সূএ : জাগো নিউজ
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘কোথায় আছেন তারা’

প্রকাশের সময় : ০৯:২০:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : গুমের শিকার ব্যক্তিদের দুর্দশা বিবেচনায় সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ৩০ আগস্ট পালিত হয় আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দিবসটি উপলক্ষে ‘কোথায় আছেন তারা’ শিরোনামে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সিজিএস জানিয়েছে, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল বাংলাদেশে বলপূর্বক গুমের প্রকৃতি ও ধরণ অনুসন্ধান করে। প্রতিবেদনে ৭১টি মামলার বিবরণ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বলপূর্বক গুমের অভিযোগে অভিযুক্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

সিজিএসের পাবলিক রিলেশন্স কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় দেবনাথের পাঠানো ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে অন্তত ৫২২টি বলপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালের শেষে ৭১টি মামলা যোগ হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯৩।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালের ৭১টি ঘটনার মধ্যে ১১ জন ভিকটিম রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী, যা মোট ঘটনার ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তারপরই সবচেয়ে বেশি গুমের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীরা, তারা সংখ্যায় আটজন, যা মোট ঘটনার ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এই ৭১টি ঘটনার মধ্যে ২৩ জন ভিকটিম ফিরে এসেছেন। তবে ১৬ জন ভিকটিম এখনো নিখোঁজ। এই ৭১টি ঘটনার মধ্যে পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, যা মোট ঘটনার ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।

ভৌগোলিকভাবে গুমের ঘটনাগুলো ১৮টি জেলাতে ঘটেছে উল্লেখ করে সিজিএস প্রতিবেদনে জানায়, ৭১টি ঘটনার মধ্যে ২৬টিই ঢাকা জেলায় ঘটেছে। এরপরেই রয়েছে চট্টগ্রাম, যেখানে এমন ঘটনা ঘটেছে আটটি। সূএ : জাগো নিউজ
হককথা/এমউএ