‘মূলধারায় সম্পৃক্ততা ছাড়া প্রবাসীদের দাবী বাস্তবায়ন সহজ হবে না’
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০১৫
- / ৬১২ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আম্ব্রেলা সংগঠন’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাসাইটিকে অধিকতর গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক সামাজিক সংগঠনে পরিণত করার পাশাপাশি প্রবাসীদের প্রাণের দাবী নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মান ও কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য দাবী আদায়ে মূলধারায় সম্পৃক্ততা ছাড়া দাবীগুলো বাস্তবায়ন সহজ হবে না বলে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি ডাক দিলে আমরা অবশ্যই সাড়া দেবো, সবরকম সহযোগিতা দেবো। তবে এজন্য চাই গণ সংযোগ, সোসাইটির সাথে প্রয়োজন সর্বস্তরের প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা।
বাংলাদেশ সোসাইটিকে গণমুখী ও প্রবাসীদের দাবী-দাওয়া বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সোসাইটির পক্ষ থেকে কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে কর্মকর্তাদের মতবিনিময়কালে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। ইতিপূর্বে আগে সোসাইটির কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। আগামীতে পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় করা হবে বলে সোসাইটির কর্মকর্তারা জানান।
সিটির এলমহার্স্টস্থ বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক কার্যালয়ে ২৪ মে রোববার সন্ধ্যায় এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার। সভায় প্রায় অর্ধশত সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/প্রতিনিধি তাদের মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। সভায় সোসাইটির পক্ষ থেকে চারটি আলোচ্য সূচীর আলোকে এই সভা আহ্বান করা হয়। সূচীগুলোর মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ সোসাইটিকে অধিক গণমূখী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠনে পরিণত করা, সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ ডে প্যারেড উদযাপন, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ।
সভায় সোসাইটির সাবেক সভাপতি অসুস্থ্য এনামুল মালেকের রোগমুক্তি কামনায় সবার দোয়া কামনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য সোসাইটির আজীবন সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ সদস্য বৃদ্ধি এবং এই সদস্যপদ ধরে রাখার ব্যাপারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উৎসাহী করার পরামর্শ দেন। সেই সাথে অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশ সোসাইটির ছায়াতলে আনার উদ্যোগ এবং ঐ সকল সংগঠনের মাধ্যমে আর্থিক তহবিল বৃদ্ধি এবং নতৃুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তাদের মধ্যে একজন নিউইয়র্ক সিটির পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ফ্লাশিং মেডো পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনার করার প্রস্তাব করেন। আবার কেউ কেউ অফিস সময়ের পর বা বন্ধের দিন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় সোসাইটির অফিসে কনস্যুলেট সেবা অব্যাহত রাখার দাবী জানান।
সভায় সোসাইটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত বিকেল ৫টায় সভাটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভা শুরু হয় বেশ বিলম্বে। ফলে এনিয়ে কোন কোন বক্তা ক্ষোভও প্রকাশ করে সময়ের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।