নিউইয়র্ক ১০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পশ্চিমবঙ্গে মন্ত্রিসভায় রদবদল, ৮ নতুন মুখ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৭৪ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থকাণ্ডের পর তড়িঘড়ি এই রদবদল ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৪টায় রাজ্যটির মন্ত্রিসভায় ৯ জন মন্ত্রী শপথ নেন। এর মধ্যে নতুন মুখ ৮ জন।
পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে এদিন শপথ নেন ৫ জন। তারা হলেন- পার্থ ভৌমিক, বাবুল সুপ্রিয়, উদয়ন গুহ, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, প্রদীপ মজুমদার।
স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ২ জন। তারা হলেন- বীরবাহ হাঁসদা ও বিপ্লব রায় চৌধুরী।
২০২১ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বীরবাহ হাঁসদাকে। সেক্ষেত্রে পদোন্নতি পেয়ে তাকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হলেন তিনি।
অন্যদিকে রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন ২ জন। তারা হলেন- সত্যজিৎ বর্মন, তাজমুল হোসেন। শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য বিনিময় করেন শপথ নেওয়া মন্ত্রীরা। যদিও শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয় এখনও বন্টন করা হয়নি। সন্ধ্যার দিকে মন্ত্রণালয় বন্টন করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিন শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যটির রাজ্যপাল লা গনেশন। শপথ গ্রহণের শুরুতে দেশটির জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতার মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, সাংসদ, বিধায়করা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কলকাতায় নিযুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রধানরাও।
এদিনের আমন্ত্রিত তালিকায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিমান বসুর মতো বিরোধী দলের নেতারা। যদিও তাদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। অন্যদিকে আমন্ত্রিত হলেও উপস্থিত ছিলেন না মমতার ভাতিজা ও দলের সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জি।
উল্লেখ্য, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোর পরই গত ২৩ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অভিযোগ সামনে আসার পর পার্থর হাত থেকে সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেড়ে নেন মমতা। এমনকি দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থকে। এতদিন সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল মমতার হাতে। তাছাড়া এর আগে বিভিন্ন সময় রাজ্যের দুই সিনিয়র মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি এবং সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর সেই সব মন্ত্রণালয়গুলোও ফাঁকা ছিল। যদিও পার্থর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেয়ার পরই বিরোধীদের দাবি ছিল গোটা মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও জানায় বিরোধীরা। এরপরই গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে। এমন জল্পনা থেকেই গত সোমবার নবান্নে সংবাদ সম্মেলন করে মমতা জানান, ‘একটা ছোট্ট রদবদল করা হবে। কারণ সিনিয়র মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, সাধন পান্ডে মারা গেছেন। পার্থ চ্যাটার্জি কারাগারে আছেন। ফলে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ফাঁকা পড়ে আছে। কাউকে না কাউকে তো এই কাজগুলো করতেই হবে। আমার একার পক্ষে সবটা নিজের ঘাড়ে রাখা সম্ভব নয়। সকলে ভাগাভাগি করে করতে হবে।’ তিনি এও জানিয়েছিলেন যে ‘৪-৫ জনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দলের কাজে লাগানো হবে। এবং ৫-৬ জনকে নতুনভাবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তি করা হবে। সেই মতোই এদিন মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটলো। মন্ত্রিসভায় ৮ নতুন মুখই বিভিন্ন জেলায় দলের সাংগঠনিক পদে ছিলেন। সেখান থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়ে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হল।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পশ্চিমবঙ্গে মন্ত্রিসভায় রদবদল, ৮ নতুন মুখ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থকাণ্ডের পর তড়িঘড়ি এই রদবদল ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৪টায় রাজ্যটির মন্ত্রিসভায় ৯ জন মন্ত্রী শপথ নেন। এর মধ্যে নতুন মুখ ৮ জন।
পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে এদিন শপথ নেন ৫ জন। তারা হলেন- পার্থ ভৌমিক, বাবুল সুপ্রিয়, উদয়ন গুহ, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, প্রদীপ মজুমদার।
স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ২ জন। তারা হলেন- বীরবাহ হাঁসদা ও বিপ্লব রায় চৌধুরী।
২০২১ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বীরবাহ হাঁসদাকে। সেক্ষেত্রে পদোন্নতি পেয়ে তাকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হলেন তিনি।
অন্যদিকে রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন ২ জন। তারা হলেন- সত্যজিৎ বর্মন, তাজমুল হোসেন। শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য বিনিময় করেন শপথ নেওয়া মন্ত্রীরা। যদিও শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মন্ত্রণালয় এখনও বন্টন করা হয়নি। সন্ধ্যার দিকে মন্ত্রণালয় বন্টন করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিন শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যটির রাজ্যপাল লা গনেশন। শপথ গ্রহণের শুরুতে দেশটির জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতার মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য, সাংসদ, বিধায়করা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, কলকাতায় নিযুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রধানরাও।
এদিনের আমন্ত্রিত তালিকায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিমান বসুর মতো বিরোধী দলের নেতারা। যদিও তাদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। অন্যদিকে আমন্ত্রিত হলেও উপস্থিত ছিলেন না মমতার ভাতিজা ও দলের সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জি।
উল্লেখ্য, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোর পরই গত ২৩ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অভিযোগ সামনে আসার পর পার্থর হাত থেকে সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেড়ে নেন মমতা। এমনকি দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থকে। এতদিন সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল মমতার হাতে। তাছাড়া এর আগে বিভিন্ন সময় রাজ্যের দুই সিনিয়র মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি এবং সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর সেই সব মন্ত্রণালয়গুলোও ফাঁকা ছিল। যদিও পার্থর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেয়ার পরই বিরোধীদের দাবি ছিল গোটা মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও জানায় বিরোধীরা। এরপরই গত কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে। এমন জল্পনা থেকেই গত সোমবার নবান্নে সংবাদ সম্মেলন করে মমতা জানান, ‘একটা ছোট্ট রদবদল করা হবে। কারণ সিনিয়র মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, সাধন পান্ডে মারা গেছেন। পার্থ চ্যাটার্জি কারাগারে আছেন। ফলে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ফাঁকা পড়ে আছে। কাউকে না কাউকে তো এই কাজগুলো করতেই হবে। আমার একার পক্ষে সবটা নিজের ঘাড়ে রাখা সম্ভব নয়। সকলে ভাগাভাগি করে করতে হবে।’ তিনি এও জানিয়েছিলেন যে ‘৪-৫ জনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দলের কাজে লাগানো হবে। এবং ৫-৬ জনকে নতুনভাবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তি করা হবে। সেই মতোই এদিন মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটলো। মন্ত্রিসভায় ৮ নতুন মুখই বিভিন্ন জেলায় দলের সাংগঠনিক পদে ছিলেন। সেখান থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়ে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হল।
হককথা/এমউএ