নিউইয়র্ক ১০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মুখোমুখি উত্তপ্ত বিতর্ক ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাসের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • / ৬৫ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাস। প্রথমজন বৃটেনের সাবেক চ্যান্সেলর। দ্বিতীয়জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দু’জনের চোখেই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন ধরা দেবে কার কাছে! পুরো বৃটেন তাকিয়ে আছে সেদিকে। ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধান ও একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সর্বশেষ টিকে আছেন এই দুই প্রার্থী। এর মধ্যে একজন হবেন সেই সৌভাগ্যবান। সেই দৌড়ে প্রথম হতে প্রথমবার মুখোমুখি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তারা। বৃটেনের অর্থনীতির ভবিষ্যত কি তা নিয়ে একজন অন্যজনের ধ্যান ধারনা, দৃষ্টিভঙ্গিকে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে ছিন্নভিন্ন করে নিজেকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে ট্যাক্স ইস্যুতে দু’জনের অগ্নিঝরা বিতর্ক হয়েছে।
ঘন্টাব্যাপী বিবিসি স্পেশাল বিতর্ক হয়। এতে লিজ ট্রাসকে আক্রমণ করে ঋষি সুনাক বলেন, মিস ট্রাসের ট্যাক্স কর্তন পরিকল্পনায় কয়েক লাখ মানুষকে দুর্দশায় ফেলবে এবং আগামী নির্বাচনে এর জন্য মূল্য দিতে হবে কনজার্ভেটিভ পার্টিকে। পাল্টা জবাব দেন লিজ ট্রাস। তিনি বলেন, ঋষি সুনাক যে ট্যাক্স বাড়িয়েছেন, তা মন্দার দিকে নিয়ে যাবে।
দু’জনের মধ্যে এখন দৃষ্টিভঙ্গির এত ফারাক হলেও মাত্র তিন সপ্তাহ আগেও তারা ছিলেন একই মন্ত্রীপরিষদে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে কথা হতো। তবে স্টোক-অন-ট্রেন্টের ভিক্টোরিয়া হলের মঞ্চে তাদের মধ্যে দেখা গেছে ক্ষোভ। বিতর্কের পরে লিজ ট্রাসের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক খুব বেশি আগ্রাসী ছিলেন। তিনি নিজেকে বিজয়ীভাবে দেখাতে চেষ্টা করেছেন। তবে এমন অভিযোগ জোর দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ঋষি সুনাক ক্যাম্প।
তবে বিতর্কের শেষের দিকে তাদের মধ্যে উত্তম আদর্শের প্রকাশ ঘটে। লিজ ট্রাস বলেন, তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে তার টিমে ঋষি সুনাককে রাখতে পছন্দ করবেন। অন্যদিকে রাশিয়া ইস্যুতে লিজ ট্রাসের অবস্থানের প্রশংসা করেন ঋষি সুনাক। কিন্তু বিতর্কের শুরুর দিকে ট্যাক্স ইস্যু আধিপত্য বিস্তার করে ছিল। তা নিয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। এ সময় ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স বৃদ্ধি বাতিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন লিজ ট্রাস। ইন্স্যুরেন্স বৃদ্ধি বলতে বোঝায় করপোরেশনের ট্যাক্স বৃদ্ধি। জবাবে ঋষি সুনাক বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ট্যাক্স কর্তন করবেন না তিনি। কারণ, করোনাভাইরাস মহামারি বড় খরচের খাত সৃষ্টি করেছে। তা চেপে বসেছে ‘দেশের ক্রেডিট কার্ডের’ ওপর। তার ভাষায়, তা আমাদের সন্তান এবং নাতিপুতিদের ওপর বর্তাবে।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মুখোমুখি উত্তপ্ত বিতর্ক ঋষি সুনাক ও লিজ ট্রাসের

প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঋষি সুনাক এবং লিজ ট্রাস। প্রথমজন বৃটেনের সাবেক চ্যান্সেলর। দ্বিতীয়জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দু’জনের চোখেই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন ধরা দেবে কার কাছে! পুরো বৃটেন তাকিয়ে আছে সেদিকে। ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধান ও একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সর্বশেষ টিকে আছেন এই দুই প্রার্থী। এর মধ্যে একজন হবেন সেই সৌভাগ্যবান। সেই দৌড়ে প্রথম হতে প্রথমবার মুখোমুখি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তারা। বৃটেনের অর্থনীতির ভবিষ্যত কি তা নিয়ে একজন অন্যজনের ধ্যান ধারনা, দৃষ্টিভঙ্গিকে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে ছিন্নভিন্ন করে নিজেকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে ট্যাক্স ইস্যুতে দু’জনের অগ্নিঝরা বিতর্ক হয়েছে।
ঘন্টাব্যাপী বিবিসি স্পেশাল বিতর্ক হয়। এতে লিজ ট্রাসকে আক্রমণ করে ঋষি সুনাক বলেন, মিস ট্রাসের ট্যাক্স কর্তন পরিকল্পনায় কয়েক লাখ মানুষকে দুর্দশায় ফেলবে এবং আগামী নির্বাচনে এর জন্য মূল্য দিতে হবে কনজার্ভেটিভ পার্টিকে। পাল্টা জবাব দেন লিজ ট্রাস। তিনি বলেন, ঋষি সুনাক যে ট্যাক্স বাড়িয়েছেন, তা মন্দার দিকে নিয়ে যাবে।
দু’জনের মধ্যে এখন দৃষ্টিভঙ্গির এত ফারাক হলেও মাত্র তিন সপ্তাহ আগেও তারা ছিলেন একই মন্ত্রীপরিষদে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে কথা হতো। তবে স্টোক-অন-ট্রেন্টের ভিক্টোরিয়া হলের মঞ্চে তাদের মধ্যে দেখা গেছে ক্ষোভ। বিতর্কের পরে লিজ ট্রাসের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন, সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক খুব বেশি আগ্রাসী ছিলেন। তিনি নিজেকে বিজয়ীভাবে দেখাতে চেষ্টা করেছেন। তবে এমন অভিযোগ জোর দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ঋষি সুনাক ক্যাম্প।
তবে বিতর্কের শেষের দিকে তাদের মধ্যে উত্তম আদর্শের প্রকাশ ঘটে। লিজ ট্রাস বলেন, তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে তার টিমে ঋষি সুনাককে রাখতে পছন্দ করবেন। অন্যদিকে রাশিয়া ইস্যুতে লিজ ট্রাসের অবস্থানের প্রশংসা করেন ঋষি সুনাক। কিন্তু বিতর্কের শুরুর দিকে ট্যাক্স ইস্যু আধিপত্য বিস্তার করে ছিল। তা নিয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। এ সময় ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স বৃদ্ধি বাতিল করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন লিজ ট্রাস। ইন্স্যুরেন্স বৃদ্ধি বলতে বোঝায় করপোরেশনের ট্যাক্স বৃদ্ধি। জবাবে ঋষি সুনাক বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ট্যাক্স কর্তন করবেন না তিনি। কারণ, করোনাভাইরাস মহামারি বড় খরচের খাত সৃষ্টি করেছে। তা চেপে বসেছে ‘দেশের ক্রেডিট কার্ডের’ ওপর। তার ভাষায়, তা আমাদের সন্তান এবং নাতিপুতিদের ওপর বর্তাবে।
হককথা/এমউএ