ইউরোর রেকর্ড পতন, ২০ বছরে সবচেয়ে কম

- প্রকাশের সময় : ১২:৩১:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
- / ৬৭ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা ইউরোর দাম মঙ্গলবার আরো কমেছে। ২০০২ সালের পর ইউরোর দাম কখনো এতটা কম হয়নি।
এখন ইউরোর মূল্য হলো এক দশমিক শূন্যদুইআটএক ডলার। দুই দশকের মধ্যে ইউরোর দাম সবচেয়ে কমে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ইইউ আর্থিক মন্দার দিকে এগোচ্ছে?
ইউরোপের দেশগুলিতে এখন জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় অর্থনীতিও বেসামাল হয়ে গেছে।
কতটা ভয়ংকর পতন?
ডলারের তুলনায় ইউরোর দাম মঙ্গলবার এক দশমিক তিন শতাংশ কমেছে। এই বছর ডলারের তুলনায় ইউরোর দাম আট শতাংশ কমেছে। ১৯৯৯ সালে ইউরো চালু হয়। তারপর তা ডলারের প্রায় সমমূল্যে পৌঁছে যাচ্ছে, এমন ঘটনা আগে কখনো হয়নি।
এর পাশাপাশি, মঙ্গলবার ফ্যাংকফুর্ট, লন্ডন ও প্যারিসে শেয়ার বাজার এক শতাংশ পড়ে গেছে। ফলে ইউরোপের আর্থিক সংকট নিয়ে মানুষের চিন্তা বেড়েছে।
অন্য দেশের মুদ্রার অবস্থাও ভালো নয়। জাপানের ইয়েন, অস্ট্রেলিয়ার ডলারের দাম কমছে। ভারতেও টাকার দাম কমছে।
ইউরো
ইউরো বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত এবং প্রচলিত মুদ্রা৷ এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সাধারণ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত৷ ইইউ-এর ২৮টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৯টি দেশে এই মুদ্রার প্রচলন রয়েছে৷ যেসব দেশে ইউরো চলে, তাদের ‘ইউরোজোন’ বলা হয়৷ এছাড়া কসোভো, মন্টেনিগ্রো এবং ভ্যাটিকান সিটিতেও ইউরোর চল রয়েছে৷
কী হতে পারে?
ইউরোজোনে ইউরোপের ১৯টি দেশ আছে। সেখানে মন্দার সম্ভাবনা বাড়ছে।
সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ইউরোজোনে বাণিজ্যিক বৃদ্ধির হার কমেছে। জীবনধারণের খরচ বেড়েছে। এর ফলে জিনিসের চাহিদাও কমছে।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের সমীক্ষা অনুযায়ী, মে মাসের ইউরোজোনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ছিল ৫৪ দশমিক আট, জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২-তে। সংস্থার চিফ বিজনেস অ্যানালিস্ট ক্রিস উইলিয়ামসন বলেছেন, দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার উৎপাদন শিল্প নীচের দিকে যাচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়া বাজারে পড়ছে। জিনিসের দামও বাড়ছে। অত্যাবশ্যক নয় এমন জিনিস ও পরিষেবা চাপের মুখে পড়েছে।
গত সোমবার ইউরোজোন সেন্ট্রাল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, এরপর যদি শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট দেখা দেয়, তাহলে মন্দা আসতে পারে।
জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)
হককথা/এমউএ